নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেছেন, সেদিনের সংঘর্ষে বাদল আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে, সেই গুলি আমার পাশে থাকা ছাত্রলীগের এক ছেলের গায়ে লাগে। সে এখন ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। এরপর কীভাবে সিএনজিচালক আলা উদ্দিন আসে আমি বলতে পারছি না। আমাকে বাদল হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি কোনো নেতাকর্মীকে অস্ত্র দেইনি। যদি দিয়ে থাকি আল্লাহ আমার বিচার করবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
লাইভে মির্জা কাদের বলেন, রাজনীতি করলে গ্রেফতার হতে হয়। এটা রাজনীতির জন্য কঠিন বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন
তিনি আরও বলেন, আলা উদ্দিনের হত্যাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এটা কেউ মেনে নেবে না। বাদলকে গ্রেফতার করছে এতে আমি খুশি হয়েছি।
মির্জা কাদের বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কারণে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ অপরাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। একরামুল কবির চৌধুরীর কমিটির অনুমোদন হয়নি। তারা যদি তদন্ত রিপোর্ট সেন্ট্রালে পাঠায়, তাহলে তা এক তরফা হবে। তথ্যমন্ত্রীকে দল থেকে তদন্ত করার নির্দেশ দিন। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে ডিজিএফআই, এনএসআই আছে তাদেরকে নির্দেশ দিন। তদন্তে যদি আমি কিংবা আমার কর্মীরা পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিক, আমি কোনো বাধা দেব না।
তিনি বলেন, ‘আমিও চাই কোম্পানীগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হোক। অপরাজনীতি যারা করে তাদের সঙ্গে আমি নাই। অতীতের কর্মকাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে আবারও বলছি- সত্য কথা বলবো, অন্যায়-অবিচার নিয়ে কথা বলবো, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখব এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে আমি থাকব।’
সান নিউজ/এম