নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, গণতন্ত্র আজ সাদা কাফনে বন্দি। আমরা কারা অভ্যন্তরে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করছি৷
তিনি বলেন, প্রশাসন এবং আজ্ঞাবহ ইসির সহায়তায় ব্যালটের মাধ্যমে নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে সরকার পরিবর্তনের সুযোগকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী মাফিয়াতন্ত্র।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কারা অভ্যন্তরে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবীতে এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ববি হাজ্জাজ বলেন, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা লেখক মুশতাকের জামিন আবেদন বারবার নামঞ্জুর করার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় এই আইন ঠিক কতটা নিবর্তনমূলক। একদিকে গণমাধ্যমের উপর সরকারের অঘোষিত কঠোর সেন্সরশিপ, অন্যদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা বাংলাদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে কুক্ষিগত করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ভারত বিরোধী লেখালেখির কারণে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের হাতে জীবন দিতে হয়েছে। প্রতিবাদী হবার কারণে আলোকচিত্রী শহিদুল্লাহকে কারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। দেশের আলেম সমাজ হোক, মানবাধিকার কর্মী বা কবি-সাহিত্যিক অথবা সাধারণ শিক্ষার্থী হোক, সরকারের বিরাগভাজন হলেই নেমে আসছে নির্যাতনের খড়গ।
‘দেশের সংবিধানের ৩৯ ধারা আজ শুধুই কাগুজে কথা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের মন চাচ্ছে তো বীর মুক্তিযোদ্ধার পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আবার ইচ্ছে হচ্ছে তো গোপনে আত্মগোপনে থাকা ভয়ঙ্কর অপরাধীদের সাজা মওকুফ করে দিচ্ছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন এনডিএম'র যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন। বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, বিভাগীয় সম্পাদক এ্যাড. দেলোয়ার হোসেন এবং যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন। এছাড়াও এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এবং যুব আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সাননিউজ/টিএস/এসএস