নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হরতাল চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে চলছে মিছিল ও সমাবেশ।
হরতাল চলাকালে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থেকে চলছে না দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ কোনো যানবাহন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ হরতাল চলবে।
নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের দাবিতে এ হরতালের ঘোষণা দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
এর আগে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার এবং উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকেরবাজারে তার কিছু অনুসারীকে নিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ফখরুল ইসলাম সবুজকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেয়ার খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা নিজেই থানার ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন এবং পৌর এলাকায় হরতালের ঘোষণা দেন।
কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীরা বসুরহাট-বাংলাবাজার সড়কের থানার দুই পাশে বাস-ট্রাক দিয়ে অবরোধ করে রাখেন। এছাড়া বসুরহাট বাজারের সব প্রবেশপথ অবরোধ করে রাখেন দলীয় নেতাকর্মীরা। ফলে কোম্পানীগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্নসহ বসুরহাট বাজারে অচল অবস্থা বিরাজ করে।
সান নিউজ/এম