নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ইতিহাসে ভোটারবিহীন এবং একতরফা নির্বাচনের রেকর্ড গড়েছিল বিএনপিই। তাই এখন আর এদেশের মানুষ ভোটাধিকার হরণের জনক বিএনপির মুখের কথা বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং মাগুরা উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি অনিয়মের রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় সবচেয়ে আজ্ঞাবহ ও বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ছিল আজিজ কমিশন। যার প্রমাণ এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগের তুমুল আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সে চেষ্টা বানচাল হয়ে যায়। তাই বিএনপি নেতাদের বলছি কারো সমালোচনা করার আগে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন।
ওবায়দুল কাদের বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিং করার সময় এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, বিএনপি যখন জনগণের ভোটের অধিকার, নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলেন তখন হাসি পায়। স্মৃতিতে ভাসে তাদের আমলের সময়ে সৃষ্ট রেকর্ডের কথা।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনায় কারো ওপর নির্ভরশীল নয়। সরকারের হাতিয়ার হচ্ছে একমাত্র দেশের জনগণ। সরকার ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএনপি অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে যাচ্ছে এও বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, নিজস্ব ক্ষমতা এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের দায়িত্ব। আর ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কমিশনকে সহযোগিতা করা’ বলেন আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি এপর্যন্ত পদে পদে বাধা প্রদান ছাড়া একটি শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কোনো সহযোগিতাই করেনি, উল্টো তারা নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশন যদি বিএনপিকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় তবেই তাদের ভাষায় কমিশন নিরপেক্ষ।
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠা দল আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও এখনো রাজপথ ছাড়েনি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এখনো গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতা এবং দেশি-বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
সান নিউজ/এমআর/এসএস