নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়াউর রহমানের খেতাবে হাত দিলে সেই হাত পুড়ে ছাই হয়ে যাবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (১৫ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচ তলায় ঢাকা জেলা বিএনপির এক বিক্ষোভ সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, জিয়াউর রহমানের খেতাবে হাত দিলে সেই হাতে ফোসকা ফুটবে, আগুনে পুঁড়ার মতো ছাই হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এরা যে কত বড় একটা মহা কলঙ্কের তিলক নিজেদের কপালে আঁকার চেষ্টা করছে- এখনো বুঝছে না। কবি-সাহিত্যিক-গীতিকাররা সবপক্ষ যে গানের লাইনটি বলেন, ‘মানি না, মানি না, কলঙ্ক আমার ভালো লাগে’, অর্থাৎ কিছু কিছু লোকের কলঙ্কের তিলক পরতে ভালো লাগে, সেই জাতের মধ্যে শেখ হাসিনা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই দেশটা প্রজাতন্ত্রের, সেই প্রজাতন্ত্রের নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মালিক জনগণ। সেই জনগণের মালিকানা ফেরত আনার জন্যই আমাদের আগামী দিন পথ চলতে হবে। তাতে বাঁধা আসবে, বাঁধা অতিক্রম করতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছুতে হবে। সেই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, জিয়ার বাংলাদেশে জনগণের সামনে হাজির করতে হবে। এটাই হবে আমাদের জন্য বেস্ট রিভেঞ্জ।
সরকারের দমনপীড়নের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানান তিনি।
প্রতিবেশী দেশের তল্পিবাহক সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে গয়েশ্বর বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের সংজ্ঞা হলো, ‘বাই দি পিপল, ফর দি পিপল, অব দি পিপল’। আমি বছর সাত-আট আগে বলেছিলাম যে, সি গর্ভামেন্ট নট বাই দি পিপল, নট ফর দি পিপল, নট বাই দি পিপল্। দিস গর্ভামেন্ট বাই দি ইন্ডিয়া, ফর দি ইন্ডিয়া, অব দি ইন্ডিয়া।
তিনি বলেন, আজকে যা কিছুই হচ্ছে সে বিষয়ে ভারতের একটি অংশ বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে না পেলেও মনের দিক থেকে তারা এই দেশটাকে শোষণ করছে। শোষণের যে ক্ষেত্রস্থল তৈরি করার দায়িত্বটা শেখ হাসিনা নিয়েছেন। সেই কারণে বংশ পরম্পরায় শেখ হাসিনা অর্থাৎ এই দলটি যেন তাদের খেদমতে সমসময় নিয়োজিত থাকতে পারেন সেজন্য তাদের একটা চেষ্টা আছে। জনগণ তাদের সমর্থন করলো কি করলো না সেটা তাদের কাছে বড় বিষয় না।
জেলা সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় বিক্ষোভ সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, নিপুণ রায় চৌধুরী, তমিজউদ্দিন আহমেদ, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, যুব দলে গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সান নিউজ/টিএস/এসএস