নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আবারও দেশের সকল মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
তবে এই কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে বরিশাল বিভাগকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে ৬ মেয়র প্রার্থীর ঘোষিত সমাবেশ থাকায় বরিশালকে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভারচ্যুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ড. মোশাররফ।
ওই কার্যালয়ে ড. মোশাররফ বলেন, শনিবার স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছরের প্রথমেই দেশ, দেশের সরকার প্রধান এবং দেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক এক স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য জবাব না দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে এড়িয়ে যাওয়ার সরকারি অপচেষ্টার নিন্দা জানানো হয়।
সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, দেশের নাগরিক সমাজ এবং দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সংগঠন, সংবাদপত্রে বিষয়টি নিয়ে যেসব উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে দেশের ভাবমূর্তি সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাফিয়া গোষ্ঠীকে সহায়তাসহ রিপোর্টে উত্থাপিত তথ্যাদি ও অভিযোগ সমূহের যুক্তিগ্রাহ্য জবাব তথ্য প্রমাণসহ উপস্থাপন করা সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা কিম্বা ব্যর্থতা শুধু সরকারের অপরাধ প্রমাণ করবে না, দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
তিনি আরও বলেন, সভায় দেশের ভাবমূর্তি ও স্বার্থহানিকর কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি-অনাচার ও মাফিয়াতন্ত্রকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টার মত ধৃষ্টতা প্রদর্শন ও বিরোধীমত দমনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন পর্যন্ত মুছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকারি স্বৈরাচারী অপচেষ্টার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধাদান, মানববন্ধন কর্মসূচীতে আক্রমণ চালিয়ে কেন্দ্রীয়, মহানগর ও অঙ্গ দলের সিনিয়র নেতৃত্বসহ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে আহত করা, সিনিয়র বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ শত শত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে অনেককেই কারাগারে প্রেরণ এবং অজ্ঞাত আসামি বলে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ দল সমূহের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সভায় দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের আশু মুক্তির জোর দাবি জানানো হয়।
সান নিউজ/ টিএস/এসএস