নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেউ কেড়ে নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ করেন জিয়াউর রহমান।
তিনিই মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেক্টর কমান্ডারও তিনি। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করলেন, তার খেতাব কেড়ে নেবেন? এ অধিকার কারো নেই।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার অধিকার জামুকার নেই। এ খেতাব দেওয়া হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য। তৎকালীন সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দিয়েছে। এই খেতাব বাতিল করার অধিকার যদি সরকারের থাকে, তাহলে নতুন করে বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম খেতাব দিন। যেহেতু এটা দেওয়ার এখতিয়ার নেই, সুতরাং কেড়ে নেওয়ারও অধিকার নেই। তিনি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহ করে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বাঙালি সেনাদের সংগঠিত করেন। সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ দেশের মাটিতে শেখ হাসিনার সব অপকর্মের বিচার করা হবে। জনগণের আদালতেই সেই বিচার হবে। সময় এলে সব হিসাব নিকাশ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যার পিতার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা নেই, সেই এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে পারে। শেখ মুজিব মারা যাওয়ার পর ৭৬ সালে মতিয়া চৌধুরী ডাকসু থেকে তার ছবি নামিয়ে ফেলেন। তার পিতার প্রতি অশ্রদ্ধা জানান। কিন্তু শেখ হাসিনা এদের মন্ত্রী বানিয়েছেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আঘাত এলে পাল্টা আঘাত হবে। পুলিশের কাজ পুলিশ করুক। যারা চাকরি করতে চান, তারা জনগণের পক্ষে থাকুন। আর যদি হাসিনাকে রক্ষা করতে চান, যা পারেন, করতে থাকুন, কামাই করুন। তাদের বিষয়ে আমার কোনো কথা নেই। সময় এলে জনগণ সব হিসাব নেবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মানে জিয়া, গণতন্ত্র মানে জিয়া, জিয়া মানে বাংলাদেশ। জিয়ার খেতাব নিয়ে আমরা ব্যবসা করি না। এটা আমাদের গর্ব। এই খেতাব কেড়ে নিলে হিসাব নেওয়া হবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
সান নিউজ/বিএস