নিজস্ব প্রতিবেদক : গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারাই হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে বড় প্রতিশোধ। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, যার হাতে অস্ত্র আছে, মানুষ খুন করে তার অস্ত্র কেড়ে নিয়ে সঠিক পথে আনাই হবে বড় অস্ত্র। সেক্ষেত্রে কাউকে আঘাত করতে হয় না। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান এমন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন।
বুধবার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
থানার সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, নাজিম উদ্দীন মাস্টার প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান কোনো রাজনীতিবিদ ও কোনো দল নিয়ে কটাক্ষ করে সমালোচনা করতেন না। অন্যারা কী করে তা মানুষ জানে। কী করবেন তা নিয়ে কথা বলতেন। তিনি জনগণকে স্বপ্ন দেখাতেন। আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গঠনের ভিশন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।
গয়েশ্বর জিয়া ছিলেন উন্নয়নের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক, আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের প্রতীক, সততা ও নিষ্ঠা প্রতীক। আমরা তাকে নিয়ে বুক ভরা গর্ববোধ করি, আমাদের তো বুক ভরা শক্তি। কারণ, আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কেউ কোনো নেতিবাচক কথা উচ্চারণ করতে পারে না। যারা করে হিংসা-ঈর্শার কারণে করে। যারা জিয়াকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে ওদের নিয়ে ভালো কথা কেউ বলে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া আজ গৃহবন্দী, আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রবাসে কেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এত নির্যাতন কেন? কারণ আমরা একজন দেশপ্রেমিক নেতা জিয়াউর রহমানের পথে আছি। যেহেতু আমাদের চেতনা, আমাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। তাহলে আমরাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান আমাদের দৃশ্যের আড়ালে হলেও মনের আড়ালে নয়। আমি, আমরা, দেশ-বিদেশে গণতন্ত্রমনা মানুষ তাকে স্মরণ করে। তরুণরা স্লোগান দেয়, জিয়া তোমায় মনে পড়ে। যতদিন গণতন্ত্র অন্ধকারে থাকবে, ততদিন গণতন্ত্র আলোর মুখ দেখবে না, ততদিন এদেশের মানুষ জিয়াকে মনে করবে। আমরা জিয়াউর রহমানের পথে হেঁটে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণের হাতে তাদের ক্ষমতা ফিরিয়ে ফিরিয়ে দেব, এটা হোক আমাদের আগামীর শপথ।
সান নিউজ/টিএস/কেআর