নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, “আন্তর্জাতিকভাবে বা দেশিয়ভাবে বলেন, বর্তমান সরকার নানা দিক থেকেই চাপে রয়েছে। তাদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। প্রকাশ্যে বলছি, আমরা এই সরকারের পতন চাই। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের জন্য যা করা দরকার আমরা তাই করবো। সুতরাং এটা কোন ষড়যন্ত্র নয়। তথাকথিত সুবিধাবাদীরা বলছেন, সরকার হঠানোর নীল নকশা চলছে। এই অবৈধ ভোটার বিহীন সরকারকে হটাতে সারা বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে যার যার দল থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসনবিরোধী কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরি ফেলানি।
নুর বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে না পারার অভিযোগ করলেও এখন সরকারি দলের নেতারা এই অভিযোগ করছেন। চুনোপুঁটি কোন নেতা নয়, সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তিনি খোলা মাঠে নেতাকর্মীদের বলেছেন, এখন ভোট হয় না। শেখ হাসিনা মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি- এটা ওবাদুল কাদের ভাইয়ের কথা। ওবায়দুল কাদেরের ভাই সরকারি দলের এমন পর্যায় থেকেও ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।”
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, “দেশে বড়ো বড়ো রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচন, ভোটাধিকার হরণের নির্বাচন। তাহলে আপনারা কেন সেদিন রাজপথে নামেননি? আমরা ছোট পরিসরে হলেও আন্দোলন করেছি; কিন্তু আপনারা এতো বড়ো দল হয়েও কেন শুধু প্রেসক্লাবে পরে থাকবেন? সেদিন কেন বিক্ষোভ মিছিল করেন নি?”
হাজি সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমের প্রসঙ্গে নুর বলেন, “র্যাবের অভিযানে হাজি সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমকে আটক করার পরে আইন বহির্ভূত বিদেশি মদ, অস্ত্র ও ওয়াকিটকিসহ অনেক জিনিস রাখার দায়ে দুটি মামলার একটিতে ৬ মাস এবং আরেকটি মামলায় ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার আলোচনা শেষ হওয়ার পরেই পুলিশ তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশ বলেছে, সেরকম কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এখন কে মিথ্যাবাদী, পুলিশ নাকি র্যাব? কে প্রতারক, পুলিশ নাকি র্যাব? এখনে র্যাব যদি প্রতারণা ও নাটক করে থাকে; তাহলে এ পর্যন্ত র্যাব কত প্রতারণা ও নাটক করেছে? আর যদি ধরে নেই ক্ষমতাসীন দলের প্রতারক দস্যুদের বাঁচাতে পুলিশ এই মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। তাহলে পুলিশ গত ১২ বছরে এমন কত প্রতিবেদন দিয়েছে?”
সান নিউজ/এস