নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তায় ফেলানীর ভাস্কর্য স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) শিশুকল্যান মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসন বিরোধী কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর হক নুর, এনডিএম’র এ চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এলভার্ড পি কষ্টা, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও সভাপতি একেএম রাকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি কিশোরি ফেলানি।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, 'ফেলানী হত্যা দিবস আমাদের নিজেদের স্বার্থে দুটি কাজ করতে হবে। দুইটা ভাস্কর্য করতে হবে। একটা কুড়িগ্রামের সীমান্তে, যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর একটা বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তায়। এটার উদ্বোধন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে ওনার (শেখ হাসিনার) দেশের প্রতি কতটা দরদ আছে। বোঝা যাবে উনি কি সত্যিকার অর্থে শেখ মুজিবুর রহমানের স্পিডের কন্যা নাকি ভারত সরকারের পুতুল কন্যা। আর ভারতীয় দূতাবাসের সামনে রাস্তার নাম হওয়া উচিত ফেলানী।'
তিনি বলেন, 'আমরা কথায় কথায় বলি এটা মুসলমানদের দেশ। আলেম সমাজের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ। তারা গান-বাজনা শুনলে বিয়ে পড়াবেন না, জানাজা পড়াবেন না। এইসব দিকে সময় ব্যয় না করে জনগণের অধিকার আন্দোলনের জন্য সোচ্চার হোন।'
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, 'বাংলাদেশ একটি প্রতারণার স্বর্গরাজ্য, বাংলাদেশ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন ইউরোপে যেখানে ২ ডলার, আমাদের এখানে সাড়ে ৪ ডালার বা ৫ ডলার। ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্যয় খুব কম। যদি এক ডলার দাম হয় তাহলে ৪০ টাকা লাভ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যদি ভ্যাকসিনের দাম দুই টাকা হয় তাহলে আমাদের এখানে ৫ ডলার কেন? কারণ আমরা চুরি করি, দুর্নীতি করি, সেই কারণে ভ্যাকসিনের দাম বাড়ছে।'
তিনি বলেন, 'আজ সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে কেনো আমি ভোট দেবো? কেন আমার ভোট চাই? এই দেশের মালিক আমরা। আমরা সবাই মিলে এই দেশের মালিক। তাই যদি হয় তাহলে দেশের পরিচালনায়, শাসনে আমাদের বক্তব্য রাখার অধিকার থাকতে হবে। সমালোচনা করার অধিকার থাকতে হবে। জবাবদিহি করার অধিকার থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে দখল করা ছাড়াই ভারতের সিকিমটট রাজ্যে পরিণত হবে। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত করা ছাড়া মুক্তির উপায় নাই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র না আসার একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগ নয় বিরোধী দলও সমভাবে দায়ী।
সান নিউজ/টিএস/এস