নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পদত্যাগের দাবিতে বামপন্থি দলগুলো ইসি সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) ইসি ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে পুলিশি বাধায় শেরেবাংলা নগরের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের উল্টো দিকের সড়কেই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখতে হয়। পরে সেখানেই কর্মসূচি পালন করে তারা।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জোটের মুখ্য সমন্বয়ক কাফী রতন। নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন কমিশন ভোট ডাকাতির আয়োজন করেছিল। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় বসার সুযোগ করে দিয়েছিল। এরপর ইভিএমের মাধ্যমে হয়েছে ডিজিটাল জালিয়াতি। সরকারের দেওয়া তালিকা এখান (ইসি) থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এখানে নির্বাচনের নামে নাটক হয়, জনগণের টাকার অপচয় হয়। ’
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত এ কমিশনের আর কোনো নির্বাচনের আয়োজন করার নৈতিকতা নেই। আজিজ কমিশনের মতোই হুদা কমিশনকেও পদত্যাগ করতে হবে। সরকার এবং এ নির্বাচন কমিশনের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের জনগণের ওপর চেপে বসে থাকার। ’
এর পাশাপশি বক্তব্যে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে এ কমিশনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবিও তোলেন কাফী রতন। আর সেখানেও কোনো বিচার না হলে দেশের জনগণই এ কমিশনের বিচার করবেন বলে জানান তিনি।
বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামান লিপনের সভাপতিত্বে ঘেরাও কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বামপন্থি রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সান নিউজ/এসএম