নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারিতে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি অনন্য মাইলফলক। বাঙালি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিনটিকে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আসছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএনপি কেন বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে? এখানেই তাদের স্বাধীনতাবিরোধী চরিত্র ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিদ্বেষ ফুটে ওঠে।”
সোমবার (৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তার খুনিদের সুরক্ষা দেওয়া ও পুনর্বাসিত করেছিল বিএনপি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও তার সম্মানহানির অপচেষ্টার সঙ্গে সমান্তরালভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ ভূ-লুণ্ঠিত হওয়ার ইতিহাস সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক মেলবন্ধন তার ওপর বিএনপি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার অর্থ হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরাহত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হওয়া। শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের কষ্টার্জিত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ এই বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি।”
তিনি আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের দিনে বিএনপি ঘোষিত তথাকথিত বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির কাছে এক অবিনাশী চেতনার নাম, অফুরাণ আত্মপ্রত্যয়ের উৎস; প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের চেতনার ধমনীতে প্রবাহিত শুদ্ধতম নাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব ষড়যন্ত্র বাঙালি জাতি অতীতের মতো কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।
সান নিউজ/এস