নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যে গণঅভ্যুত্থানেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, জনগণের বৃহত্তর ঐক্য, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্য দিয়ে, একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারকে পরাজিত করতে হবে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা নগরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করছি এবং আমরা সফল হব বলে বিশ্বাস করি এই ২০২১ সালে, নতুন বছরে। আজকে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীত আমরা শপথ নিয়েছি- আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব।
আন্দোলনে সফলতা আসছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল। তারা জনগণকে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করে, জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি করে একটি দখলদারি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা দমনের মাধ্যমে জনগণের যে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য, তাকে তারা দমন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে কখনই দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশে কখনও পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি বছর আমাদের জন্য নতুন শক্তি সঞ্চয় হবে এবং ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, খ্রিস্টীয় নববর্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন বছরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, কালের আবর্তে আরও একটি বছর পেরিয়ে গেল। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় কালের সাক্ষী হয়ে বছরটি বিদায় নিল। গত বছরের সব ব্যর্থতা ও হতাশার গ্লানি ঝেড়ে ফেলে এবং সাফল্যকে সঞ্চয় করে আগামী পথচলার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লুণ্ঠিত গণতন্ত্র উদ্ধার করার সংগ্রামে সবাইকে নতুনভাবে ব্রতী হতে হবে। আমাদের কর্মে নতুন বছরটি যাতে সাফল্য ও সমৃদ্ধির বছরে পরিণত হয় সে লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন বছরটি সবার জীবনে বয়ে আনুক বিজয়, অনাবিল সুখ ও শান্তি, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন। বন্ধ হোক হত্যা, গুম, খুন, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অমানবিকতাসহ সব ধরনের দমনমূলক নৃশংসতা- নববর্ষের শুরুতে আমি এ কামনা করছি।
সান নিউজ/টিএস/এসএম