বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের আজ ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রলীগ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটার দিকে সভাস্থলে আসেন তিনি। পায়রা উড়িয়ে, পতাকা উত্তোলন করে এবং জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী জানান, ‘সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় কার্জন হলে কেক কাটা হয়। ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।’
শুরুতে সংগঠনটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামে দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাষা আন্দোলন ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্রসংগঠনটি।
এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। এর অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, ৭টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হয়।
সান নিউজ/সালি