নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার কর্মকাণ্ডের জন্য ১৩ বছর পর এবার কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) খেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন।
শোকজ এ বলা হয়, ১/১১ এর সময়ে দলকে বিভক্ত করে মহাসচিব হওয়ার পরও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা করে ভাইস চেয়ারম্যানের মত পদ দিয়েছিলেন হাফিজকে। এরপরও বিভিন্ন সময়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা করতে অপরাগতা প্রকাশ করা, কৃষক দলের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি তা করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন সময়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অবজ্ঞা করে বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে মনে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ সব অভিযোগের কারণেই মূলত তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। আর এ নোটিশের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলেও জানান রিজভী।
এছাড়াও বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, শওকত মাহমুদ দলের নাম ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন-এমন সুস্পষ্ট অভিযোগ পেয়েছে বিএনপি।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেনও তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে জন্য শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টা এবং হাফিজউদ্দিন আহমেদকে ৫ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব জমা দিতে বলা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিশ দুটি সোমবার সন্ধ্যা ৭টার পর কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি সময় সংবাদকে জানান, এখনও এমন কোনো চিঠি পাননি তিনি। এমন অভিযোগ সম্পর্কে আগে থেকে তিনি জানতেনও না বলে জানান হাফিজ।
অন্যদিকে শওকত মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের তিনি পানি সম্পদমন্ত্রী ছিলেন।
শওকত মাহমুদকে ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। এর আগে তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
শওকত মাহমুদ বিএনপির সমর্থিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদেরও ভারপ্রাপ্ত আহবায়কও তিনি।
সান নিউজ/এসমে