রাজনীতি

কোনোভাবেই এরশাদকে স্বৈরাচার বলা যাবে না : জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, “কোনোভাবেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার বলা যাবে না। পল্লীবন্ধুকে গায়ের জোরে স্বৈরাচার বলা হয়।”

“পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্রনায়ক। আদালত তাকে বৈধ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বৈধ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন।” যুক্ত করেন জাপা চেয়ারম্যান।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানী সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, “হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামনে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার সুযোগ ছিল। কিন্তু পল্লীবন্ধু গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। পল্লীবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশ উল্টো পথে হেঁটেছে। ’৯৬ সালের পর থেকে পরপর চারবার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ঘুষ, দুর্নীতি, বিচার বহির্ভূত হত্যা বেড়েছে। পল্লীবন্ধুর জাতীয় পার্টির শাসনামলে হত্যার রাজনীতি ছিল না। তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। সংবিধানে ৭০ ধারা সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল স্বাদ ধ্বংস করেছে।”

জিএম কাদের বলেন, “৭০ ধারার কারণে সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারে না। তাতে সরকার প্রধান যা করতে চায় তার বাইরে কিছুই করা সম্ভব হয় না। তাই ৭০ ধারার কারণে সরকারে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, যা স্বৈরতন্ত্রের মতো। তাই সংসদীয় পদ্ধতির প্রকৃত স্বাদ রক্ষা করতে ৭০ ধারা বিলুপ্ত করতে হবে অথবা অন্য কিছু ভাবতে হবে সরকার পদ্ধতি নিয়ে। ৭০ ধারা বিদ্যমান থাকায় নির্যাতন ও দুর্নীতি বেড়ে যায়। সুশাসনের অভাব হয় ও আইনের শাসন কার্যকর করা যায় না।”

১৯৯১ সালের নির্বাচন পদ্ধতির সমালোচনা করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, “৯১ সালে জাতীয় পার্টির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের জেলে আটকে রাখা হয়েছে। প্রচার-প্রচারণা করতে দেয়া হয়নি জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে চেয়েছিল তারা। জাতীয় পার্টিকে মাঠেই থাকতে দেয়া হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসায় জাতীয় পার্টি প্রতিকূল পরিবেশেও ৩৫টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল। জেলে থেকেই পল্লীবন্ধু ৫টি করে আসনে বিজয়ী হয়েছেন ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে।”

তিনি বলেন, “আমরা পল্লীবন্ধুর আদর্শে নতুন বাংলাদেশ গড়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দেব।”

সান নিউজ/এম/এস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

হলিউডে দেখা যাবে দীপিকাকে

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে বর্তমান...

মাটিরাঙ্গায় ভারতীয় কাপড় উদ্ধার

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) বেশ কিছ...

গাঁজা-ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর য...

ড. ইউনূস-বিএনপির বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্র সংস্কার...

সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বারিধা...

দেশের ফিরেছেন ইকবাল হাসান 

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় ১ বছর পর...

মুন্সীগঞ্জে বদরুদ্দোজার দাফন সম্পন্ন

জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের শ্রী...

ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘন্টায় ডে...

৩ পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

জেলা প্রতিনিধি: আগামী (৮-৩১ অক্টো...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা