নিজস্ব প্রতিবেদক : মূর্তি ও ভাস্কর্যকে ভুল ব্যখ্যা দিয়ে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। কারণ এ দেশের মানুষ আপনাদেরকে ৭১ সালেও চিনতে ভুল করেনি, এখনও করবে না। ভাস্কর্য মানেই শিরক নয়। বিশ্বের অনেক ইসলামি দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে।
হেফাজতিরা যদি ভাস্কর্যের বিরোধীই হয়, হাটহাজারীর কাছেই খাগড়াছড়ি শহরের দ্বারপ্রান্তে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেবের একটি বৃহদাকার ভাস্কর্য রয়েছে। মানুষের এই মূর্তি ভেঙে এরা প্রমাণ করতে পারেন এ বিষয়ে তারা কতটা সিরিয়াস।
রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান এ সব কথা বলেন। মহান আল্লাহ তালাআ, পবিত্র কুরআন ও মহানবীকে (সা.) কটুক্তির প্রতিবাদের সীমারেখা এবং আমাদের করণীয় ও ভাস্কর্যকে মূর্তি পূজার সঙ্গে তুলনা করার পোস্টমর্টেম শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে কুরআন ও হাদীসের আলোকেও তিনি বিভিন্ন ব্যখ্যা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন,ভাস্কর্য স্থাপনকে মূর্তি স্থাপনের সঙ্গে তুলনা করে শিরক সংস্কৃতি বলে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করার দাবি মামার বাড়ির আবদার বলেই মনে হয়। বাঙালি সংস্কৃতি বিজাতীয় সংস্কৃতি নয় এটি আমাদের স্বজাতীয় নিজস্ব সংস্কৃতি।
এ সংস্কৃতিতে যেসব জিনিষ শিরক বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীবাদিতার মিশ্রণ ছাড়াই পালিত হয়ে আসছে সেটিকে হঠাৎ করে শিরকী সংস্কৃতি বলা নোংরা রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। বুখারী শরিফের হাদিস অনুযায়ী মূর্তি মানেই শিরকের উপকরণ নয়। হযরত আয়শা (রা.)- এর ঘরে খেলনার ঘোড়ার ছোট মূর্তি রাখা ছিল।
রাসূল (সা.) তো নিষেধ করেননি। এই ছোট পুতুল বা মূর্তি পূজার জন্য ছিল না বরং খেলার জন্য ছিল। তাই রাসূল (সা.) নিষেধ করেননি। একইভাবে যেসব ভাস্কর্য সৌন্দর্য চর্চা ও রুচিশীলতার পরিচয় বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনার স্মৃতিফলক হিসাবে স্থাপিত হয় তা ইসলামী শিক্ষানুযায়ী নিষিদ্ধ নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ-সভাপতি মুফতি জোবাইদ আলী, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন ফোরকান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এসএ