নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চেয়েছিল বিএনপি। এজন্য ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনের কর্মসূচীও ঘোষণা করতে চেয়েছিল দলটি। বিশেষ করে তারেকপন্থী তরুণ নেতৃত্ব সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু বেগম জিয়ার এক ধমকেই চুপসে গেল বিএনপি। কর্মসূচী থেকে পিছিয়ে গেল। বিএনপি নেতারা বলছেন ‘এখনই বড় ধরনের কর্মসূচীতে যাচ্ছেনা বিএনপি।’
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে শামীম ইস্কান্দারের মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিবকে ‘কঠোর বার্তা’ দেন বেগম জিয়া। তাকে এসব ‘ফাজলামি’ বন্ধ করতে বলেন।
বেগম জিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে বেগম জিয়ার ফিরোজার বাসায় যান শামীম ইস্কান্দার। এসময় বেগম জিয়া বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বলে জানা গেছে। বেগম জিয়া, শামীম ইস্কান্দারের কাছে জানতে চান, বিএনপি এসব কি শুরু করেছে? কার টাকা খেয়ে এসব করছে।
সূত্র মতে, বেগম জিয়া তার ছোট ভাইয়ের কাছে আশংকা প্রকাশ করেন যে, তাকে আবার জেলে নেয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই হয়তো এসব করা হচ্ছে। শামীম ইস্কান্দারও এরকম মনোভাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। শামীম ইস্কান্দার ৮টি গাড়ীতে আগুন দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।
বেগম জিয়ার পরিবারের সব সদস্যই মনে করেন, বিএনপি যদি রাজপথে সহিংসতা করে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি উত্তপ্ত হয়, তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্ত জীবন ব্যাহত হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনে অভিজ্ঞ। আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলন করেছেন। তিনি জানেন আন্দোলন কখন কিভাবে করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বেগম জিয়া শামীম ইস্কান্দারকে বলেছেন, এভাবে কয়েকটা গাড়ী পুড়িয়েই যদি সরকারের পতন ঘটানো যেত, তাহলে তো বাংলাদেশে কোন সরকারই ৬ মাস থাকতো না। এরপর শামীম ইস্কান্দার ফোন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।
জানতে চান, এসব কি হচ্ছে। মির্জা ফখরুল বোঝাতে চান যে, এটা সরকারই করছে বিএনপিকে চাপে ফেলার জন্য। শামীম ইস্কান্দার এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথোপকথনের মধ্যেই বেগম জিয়া কথা বলেন ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে।
তাকে বলেন “আমি সব জানি, সব বুঝি। আমাকে রাগিওনা। তোমাদের সব খবর মানুষকে বলে দেবো। তখন পালাবার পথ পাবে না।” এরপর শামীম ইস্কান্দার এসব রাস্তার আন্দোলন থামাতে বলেন। সূত্র : বাংলা ইনসাইডার
সান নিউজ/এস