নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : দেশের শীর্ষ কওমি আলেম প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে হেফাজতে ইসলামের আমিরের পদটি শূন্য রয়েছে। এই পদটি পূরণের জন্য ইতোমধ্যে নানা রকম তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে এই অরাজনৈতিক সংগঠনটির ভিতরে ও বাহিরে। শুধু তাই নয়, ইসলামভিত্তিক এই বৃহৎ সংগঠনটির পরবর্তি আমীর কে হচ্ছেন তা নিয়ে কৌতুহলি দেশের জনগণও।
অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির হতে যাচ্ছেন সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী! আল্লামা বাবুনগরী বর্তমানে সংগঠনটির মহাসচিব।
নতুন আমির হওয়ার দৌড়ে আরও কয়েকজন শীর্ষ আলেমের নামও আলোচনায় রয়েছে। তাদের মধ্যে হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীও রয়েছেন। আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী হলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা। মামা-ভাগ্নের সখ্যতায় শেষ পর্যন্ত ভাগ্নে জুনায়েদ বাবুনগরীকেই আমির পদে সমর্থন দিতে পারেন মামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে সংগঠনটির ভিতরে।
এছাড়াও যাদের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তারা হলেন, নায়েবে আমির আব্দুল কুদ্দুস, কওমি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষাবোর্ড বেফাক সভাপতি ও সরকারি স্বীকৃতি নিতে গঠিত আল হাইয়াতুল উলায়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হক, নায়েবে আমির ও ঢাকার আমির মাওলানা আল্লামা নূর হোসেন কাশেমী এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা শেখ আহমদ।
আগামী ১৫ নভেম্বর হতে যাচ্ছে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সম্মেলন (কাউন্সিল)। সংগঠনটির জন্মস্থান ও সদর দপ্তর হাটহাজারী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় এই সম্মেলনে অংশ নেবেন ৩৫০ জন কাউন্সিলর। ভোটাভুটি নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকার এই শূরা সদস্যরাই নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবেন, কে হবেন সংগঠনটির পরবর্তী আমির।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সারাক্ষণকে বলেন, কেন্দ্রীয় সম্মেলন সফলে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে ৩৫০ জন শীর্ষনেতা সম্মেলনে অংশ নেবেন। তারাই সম্মেলনের কাউন্সিলর ও শূরা কমিটির সদস্য। তাদের মতামতের ভিত্তিতে হেফাজতের পরবর্তী আমিরকে নির্বাচিত করা হবে।
সান নিউজ/এস