নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিসহ অন্যান্য সকল অপবাদ মুছে ফেলে মূল আদর্শে ফিরতে চায় যুবলীগ। আর সে উদ্দেশ্যেই পরিচ্ছন্ন ইমেজের দক্ষ ও অভিজ্ঞ তরুণরাই এবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা হতে যাচ্ছেন। জেলা পর্যায়ের জনপ্রিয় কয়েক জনকেও নিয়ে আসা হচ্ছে কেন্দ্রে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) যুব লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে শেখ ফজলে শামস পরশকে চেয়ারম্যান এবং মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় । সম্মেলনের পর প্রায় এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুবলীগ।
দেশের রাজনীতিতে যুবলীগের যেমন সুনাম রয়েছে, তেমনি কতিপয় নেতাকর্মীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সেই সুনাম অনেকটা ক্ষুণ্নও হয়েছে। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি, বিভিন্ন হামলা-মামলা, টেন্ডারবাজি ও কমিটি বাণিজ্যের কারণে গত বছর বেশ আলোচনায় আসে যুবলীগ। ফলে ভেঙে দেওয়া হয় যুবলীগের কমিটি।
যার হাত ধরে গড়েছিল যুবলীগ, সংকটে পড়ে সেই শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে। তবে সম্মেলনের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকা চূড়ান্ত করে যুবলীগের শীর্ষ দুই নেতা সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিতে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি বিবেচনায় কমিটির পরিধি বড় করা, বিতর্কিত কাউকে না রাখাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, নতুন মুখ হিসেবে দুই জন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হতে যাচ্ছেন। ২০টি পদ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির আকার হচ্ছে ১৭১ সদস্যের। সাংগঠনিক জরিপ রিপোর্ট, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন। সবকিছু খতিয়ে দেখেই প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেবেন।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে যুবলীগ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আদলে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংগঠন। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
সান নিউজ/এসএ