নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ এখন জুয়াড়ি ও ধর্ষণের দল। ক্যাসিনো সম্রাট ও পাপিয়াদের দল বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দলের তকমা হারিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বেহায়া স্বৈরাচার সরকারকে বিদায়ে গণঅভ্যুথানই একমাত্র পথ।
গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির প্রতিবাদ ও জনজীবনের নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই, এ সরকারকে কেউ অধিকারও দেয়নি। তারাই ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোটচুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। সেই থেকে দেশে ডাকাতদের রাজত্ব চলছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পাপ বাপকে ছাড়ে না। যারা জনগণের ভোট চুরি করে, আসুন শপথ নই, এ পাপিদের ছাড়বো না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বললেন, বিরোধীদল যত নাড়াচাড়া করে, আমি তত মাটিতে বসে যাই। তিনি বিরোধী দল সম্পর্কে উপহাস করলেন।
তিনি বললেন, একশ্রেণি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না কেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তাকে ছাড়া আওয়ামী লীগের সবাইকে টাকা দিয়ে কেনা যায়। টাকা দিয়ে যে দলের নেতাদের কেনা যায়, ওই দলের নেতারা কিভাবে দেশ চালাতে পারে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ওসি প্রদীপের বিচার কী হবে? সিনহাকে হত্যা করা হলো। নেভি অফিসারকে মারা হলো, কিন্তু নেভি অফিসার চাকরিতে থাকায় বাহিনী ছাড় দেয়নি, ব্যবস্থা নেওয়া হলো। কিন্তু ওসি প্রদীপ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলো, তার বিচার কী হবে? এগুলো চাপা পড়ে গেলো। এরাই গুজব ছড়িয়ে অন্য ইস্যু সামনে নিয়ে আসে।
ফেয়ার ভোট হলে দেশের কোথাও নৌকা পাওয়া যাবে না। এ সরকার এতো বেশি খেয়েছে, এখন আরও ক্ষুধা লেগেছে। এজন্য বলছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কোথাও কথা বলতে দেয় না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে। দেশে-বিদেশে কোথাও কথা বলা যায় না। তারা এতো ডিজিটাল করলো দেশ, কিন্তু স্কুলে অনলাইনে ক্লাস করাতে পারে না।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সম্প্রতি বললো, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব নয়। করোনার পর পৃথিবীর সব দেশ প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললো, কিন্তু বাংলাদেশে খুলে না, তার উল্টো। হাটবাজার, গণপরিবহন সব জায়গায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না, শুধু স্কুল খুললেই সমস্যা।
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, আমেরিকার সিনেটররা সম্প্রতি দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশের একটি বাহিনী আছে, তারা সেদেশের অজস্র মানুষকে গুম করেছে। হত্যা করেছে। তাদের যেন আমেরিকা ঢুকতে দেওয়া না হয়। এর চেয়ে অসম্মানের আর কী হতে পারে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য রফিক শিকদার, রাজিয়া আলিম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ওলামা দলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম ও তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য মিলন ইসলাম প্রমুখ।
সান নিউজ/এম/এস