নিজস্ব প্রতিবেদক : আমাদের দুর্ভাগ্য ১৪ দলের আন্দোলনে শহীদ রাসেল এখন দলীয় শহীদে পরিণত হয়েছেন। ১৪ দলের আন্দোলনের ফসল রাজনৈতিক ক্ষমতা এখন দলীয় ক্ষমতায় পরিণত হয়েছে। পত্রিকায় বিবৃতি ও দিবস পালন ছাড়া ১৪ দলের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা এই প্রশ্ন শুধু জনগণেরই নয়, ১৪ দলের নেতাকর্মীদেরও।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে রাসেল আহমেদ খান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান।
তিনি আরও বলেন, বলা হয় মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় ১৪ দলের শরিকদের সাথে আওয়ামী লীগের দূরত্ব বেড়েছে। কিন্তু ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি মন্ত্রিত্ব পেয়েও গ্রহণ করেনি, সে কথা তারা ভুলে যায়। ১৪ দল কেবল ক্ষমতার রাজনীতির জন্য গঠন করা হয়নি। ১৪ দল গঠন করা হয়েছিল দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে রাজনীতি এবং রাষ্ট্র গঠনের জন্য।
রাশেদ খান মেনন বলেন, রাসেলসহ ১৪ দলের আন্দোলনের শহীদ নেতাকর্মীদের ভুলে যাওয়া এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতার রাজনীতি এতই প্রবল যে, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলনের শহীদদেরও আমাদের ভুলে যেতে সময় লাগেনি। এই অমানিশার কালে নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের পথ দেখায়। আমরা অবশ্যই সেই পথ অনুসরণ করব।
২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রাসেল আহমেদ খান। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটিকে শহীদ রাসেল দিবস হিসেবে পালন করেন ওয়ার্কার্স পার্টি। এদিন সকালে রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরের সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন, যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলি খান কলিন্স, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি রুবেল আহমেদ খান প্রমুখ।
সান নিউজ/এসএ/এস