নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সরকারের অধীনে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। তার প্রমাণ দেশে মা বোনেরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে না। বিনা বিচারে হত্যাসহ তাদের মতের সঙ্গে দ্বীমত পোষণকারীদের গুম করে হত্যা করা হয়। কক্সবাজারে ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ কোথায় যাবে। জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব যাদের, তাদের দ্বারাই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই পদত্যাগ করুন, অতীতের সব নির্বাচন বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এটাই একমাত্র সমাধান। করোনা বলেন আর যাই বলেন নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব এসব মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরের পাশে এমন একটি নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোটও পড়ে না, আমরা মনে করি ৫ শতাংশও পড়েনি। তারা বলছে নির্বাচন সন্তোষজনক হয়েছে। একটা মানুষের লজ্জা-শরম থাকে, এদের তাও নাই। তারা বলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে।
নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে গেছে ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কথাটাতো মিথ্যা বলেননি। নির্বাচনতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে ২০১৪ সাল থেকেই। আপনারা ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ যাতে পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে না পারে পরিকল্পিতভাবে সে ব্যবস্থা করেছেন। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে ক্ষমতায় গেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছেন, পুলিশকে ব্যবহার করেছেন। মিডিয়াকে ব্যবহার করেছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি ইউনুস মৃধা, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান, শামসুল হক শামসু, মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম নকি, কৃষক দলনেতা হাসান জাফির তুহিন, তাঁতী দল নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
সান নিউজ/এসকে/এস