নিজস্ব প্রতিবেদক : এ সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “বর্তমান দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে। নারীর শ্লীলতাহানী, নারীর ওপর নির্যাতন এটা এখন নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে এ সরকার।”
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সিলেটের এমসি কলেজে এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যে লোমহর্ষক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তা সমস্ত জাতি শুধু নয় আমার মনে হয় সমস্ত বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের আমলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শুধু তাই নয়। অর্থনীতি আজ ধ্বংসের মুখে। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আজকে এই দেশে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় আছেন আমাদের মা-বোনেরা। প্রতি মুহূর্তে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো ধরনের কোনো কারণ নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে এই সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতে তারা বিভিন্ন দিকে মানুষের চোখ ডাইভার্ট করছে। আমরা বারবার সরকারকে বলেছি কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই সরকার রাতের আধারে জোর করে জনগণের ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি এবং ভাবি মানুষের স্বাধীনভাবে বসবাস করা উচিৎ তারাই পারবে একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে। তাই, আজকে আমরা যারা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে এখনো বন্দি আছেন। আজকে তিনি অসুস্থ। কিন্তু তার যেটা প্রাপ্য সেটা তাকে দেয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি আজ দেশের বাইরে। তাকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের আজ অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সান নিউজ/এস