নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মনতব্য করে বলেন, নারী স্বাধীনতা মানে অশ্লীলতা নয়, এগিয়ে যাওয়া। নারীর স্বাধীনতা মানে তার চিন্তার স্বাধীনতা, লেখাপড়ার অধিকার, এটাই নারী স্বাধীনতা। এটিকে যেন কেউ আটকাতে না পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যা বললেন খসরু
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক র্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এ সকল কথা বলেন। এদিকে, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে এই র্যালির আয়োজন করে মহিলা দল।
এ সময় আ’লীগের গত ১৫ বছরের শাসনকে জঙ্গলের শাসনের সাথে তুলনা করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে একটি জংলি সরকার ক্ষমতায় থাকলে সমাজের মধ্যে জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম থাকে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সেই ভয়ংকর আদিম অরণ্যের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। এ সময় এক রক্তক্ষয়ী মহাবিপ্লবের মধ্য দিয়ে জুলাই-আগস্টের বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেন সমাজের মধ্যে এত অস্থিরতা থাকবে?
দেশে মব ভায়োলেন্স প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, দেশে এখন একটি অস্থিরতা শুরু হয়েছে, মব কালচার। এটা তৈরি হলো কেন? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো সকল গণতন্ত্রকামী সমর্থিত সরকার। দেশে মব কালচারে কত যে নির্যাতন, নিপীড়ন হচ্ছে তার কোনো ইয়ত্তা নাই। এতে কত নারী এবং শিশু নিপীড়িত হচ্ছে তার পরিসংখ্যান আসছে। মহিলা পরিষদ তার মাসিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, জানুয়ারি মাসেই কন্যা নির্যাতিত হয়েছেন ৮৫ জন, নারী নির্যাতিত হয়েছেন ১২০ জন। তার মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭ জন, হত্যাকাণ্ডে শিকার হয়েছেন ১৪ জন। এটি একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি।
তিনি আরও বলেন, যিনি প্রথম ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন তিনি তো নারী। তাহলে নিজেকে কেমন করে চলতে হবে, সন্তানকে কেমন করে মানুষ করতে হবে, এই প্রতিষ্ঠানটা হচ্ছেন মা, আর মা তো একজন নারী।
শিক্ষকদের সম্মান, বড়দের সম্মান দিতে হবে, এটা প্রথমে শেখায় কে? মা। তাই নারীকে কীভাবে চলতে হবে সেটা পুরুষরা যদি প্রতিদিন বলে দেই তাহলে যে আমাদের মা, বোন, স্ত্রীর যে স্বাধীনতা, চিন্তাচেতনা, সেখানে আমি হস্তক্ষেপ করছি। তারা কীভাবে চলবে সেই স্বাধীনতা দিতে হবে। তাতে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নাই।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে কোনো উগ্র গোষ্ঠী যাতে নারীদের শেকলবদ্ধ করতে না পারে সেই প্রচেষ্টাও আমাদের থাকবে। কারণ বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করেছে। সংবিধানে আল্লাহর নাম স্থাপন করেছে, নারী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছে, সেই দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে নারীদের উন্নয়নে এবং অগ্রগতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
সান নিউজ/এএন