সংগৃহিত ছবি
রাজনীতি

অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে আদালত। পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই রায় দেন।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ৫৬ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

এ সময় দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। এদিকে, আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী।

এর আগে, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এই মামলায় মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের অনুমিত দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একই সাথে দণ্ড স্থগিত করা হয়। পরে মামুন আপিল করেন। গত মঙ্গলবার এই আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

২০০৯ সালের (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলাটি করে দুদক। এর পরে ২০১০ সালের (৬ জুলাই) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।

২০১১ সালের (৮ আগস্ট) এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

এই মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জশিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় বলা হয়েছে, গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকার লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ঐ অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নিজ নামে ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাকবিতণ্ডার ভিডিওর বিষয়ে যা বললেন সারজিস

২০১৩ সালের (১৭ নভেম্বর) তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানী ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

এই রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। এ সময় পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এই রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের (৫ ডিসেম্বর) আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের (১৯ জানুয়ারি) মামলার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরই পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। পরে দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের (২১ জুলাই) তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সাথে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

সান নিউজ/এমএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বেতনের কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর তেজগাঁ...

রাজধানীসহ বিভিন্নস্থানে ভূমিকম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকাসহ...

রিমান্ডে সাবেক বিচারপতি মানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছর বৈষম্য ব...

হাসিনাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ...

ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর শ...

জামিনে পেলেন সা'দপন্থী নেতা নূর

জেলা প্রতিনিধি: অবশেষে জামিনে কার...

দেশে ফিরলেন আটক ৫৬ জেলে

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার ট...

বিআরপি বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ঢাকা ক...

তাপমাত্রা বৃদ্ধির আভাস 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে আগামী...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা