নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে আগামী ‘জাতীয় নির্বাচন’ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে দলের বর্ধিত সভার তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো প্রয়োজনে সেনারা জীবন উৎসর্গে প্রস্তুত
মহাসচিব বলেন, মানুষ অনেক আশা-ভরসা নিয়ে ছিলে যে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পরে, দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। এ সময় অতিদ্রুত দেশের জনগণকে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। তবে আমরা দুঃখের সাথে দেখছি, সেই লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা আমরা পাচ্ছি না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কি পরিমান ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।
এদিকে, দেশের অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়, দ্রব্যমূল বৃদ্ধি পাচ্ছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ক্রমাণ্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ থাকছে না।
এ সময় অবিভক্ত বাংলায় যেই সমস্ত বরেণ্য, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, যারা বিশেষ করে পূর্ব বাংলার ভূখন্ডে জন্ম হয়েছিলো, তাদের নামগুলোকে বাদ দিয়ে এখন কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নামকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির বর্ধিত সভা আজ
তিনি বলেন, আমরা দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি, শেখ হাসিনাকে তাড়িয়েছি, আমরা এখন নির্বাচনের অপেক্ষা করছি। আমাদের দেশের জনগণের যেই আশা আকাঙ্ক্ষা, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের যেই স্বপ্ন একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রূপান্তরিত করবার, সেই গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করার জন্য, বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দেশের বাইরে থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এমএইচ