নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণফোরামকে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসাবে গড়তে চেয়েছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। অন্যদল থেকে আসা সেই সব নেতাকে নিয়ে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। দল এখন দিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদেরকে এক রাখতে এখন মুখোমুখি হতে হচ্ছে বর্ষীয়ান রাজনীতিক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে। সম্প্রতি গণফোরামের বিদ্রোহী একটি অংশ সভাপতির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে আলাদা কাউন্সিলের ডাক দেন। এ লক্ষ্যে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে কমিটিও করেছে কামাল হোসেনের একসময়ের ‘বিশ্বস্ত’ ১১ নেতা। ডিসেম্বরে কাউন্সিল করে নতুন নেতা নির্বাচন করার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। তবে এর আগে আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে একইসময়ে মুখোমুখি হতে চলেছে কেবল ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা গণফোরামের দুই অংশ।
প্রবীণ রাজনীতিক কামাল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন অথচ এখন বিদ্রোহী অংশের নেতা হিসেবে আছেন তাদের মধ্যে বেশ সক্রিয় ১১ জন। এর মধ্যে মোস্তফা মহসিন মন্টু ছাড়াও অন্যরা হলেন- দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাবেক নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, আসাদুজ্জামান, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রায়হান, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ফজলুল হক সরকার, এম এ মতিন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন নেতা আছেন যারা প্রত্যেকেই কামাল হোসেনের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে ছিলেন।
একই দিনে একই স্থানে দুই গ্রুপের কর্মসূচি ঘোষণা অনুযায়ী, কামাল হোসেন ও রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণফোরাম ১৭ অক্টোবর প্রেসক্লাবের ভেতরে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা করবে। আর ওইদিনই মোস্তফা মহসিন মন্টুদের অংশ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনসহ সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।
শুধু পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি গণফোরামের দুই অংশ। ইতিমধ্যে মন্টু গ্রুপের নেতারা অনেকটা ‘দখলে’ নিয়েছেন গণফোরামের মতিঝিলের কার্যালয়। এই অবস্থায় পল্টনের আজাদ টাওয়ারে নতুন অফিস নিয়েছে কামাল হোসেনের গ্রুপ। এদিকে গতকাল সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, ডিসেম্বরের কাউন্সিলে যদি ড. কামাল হোসেন অংশ না নেন তাহলে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করা হবে।একই দিনে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডাকায় নেতাদের আসতে বাধা কিংবা বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন কি-না জবাবে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি জানি না। মানববন্ধন ভালো জিনিস, তারা করুক।
সান নিউজ/পিডিকে