নিজস্ব প্রতিবেদক : “বাংলার কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা, অথচ সরকারের অব্যবস্থাপনায় সেই পণ্য কয়েকগুণ বেশি দামে কিনতে হয়” বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, “কয়েক বছর ধরে কোরবানির চামড়া পানির দরে বিক্রি হয়েছে। অনেকেই চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে ফেলেছে। চামড়ার ক্রেতা বাড়াতে পারেনি সরকার তাই জাতীয় সম্পদ চামড়া নষ্ট হয়েছে। আর বঞ্চিত হয়েছে এতিম ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।”
শনিবার (৩ অক্টোবর) বনানীর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কয়েকশ নেতাকর্মী জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, “আমদানির সঙ্গে জড়িত হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী এখন নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। আর বাড়তি মূল্যের জন্য মন্ত্রণালয়ের রোষানলে পড়ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।”
তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য বিক্রি করে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট সময়ে পরিকল্পিতভাবেই পণ্য আমদানি করতে হবে। নিত্যপণ্যের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সহসাই স্বাভাবিক হবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই ১৮ কোটি মানুষকে বাঁচাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জাতীয় পার্টি সব সময় দেশ ও মানুষের স্বার্থে সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় পার্টি অত্যান্ত সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি। দীর্ঘ দিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ যেমন পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলের মত বড় বড় উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রশংসিত হয়েছে। আবার খুন, গুম, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির কারণে তেমনি সমালোচিত হচ্ছে। আর বিএনপি নানা কারণে অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আছে। বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আবু সাঈদ স্বপন।
সান নিউজ/এস