নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের সব রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে করেছিল একটি মাফিয়া রাষ্ট্র। তারা তাদের সহযোগীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা ফোকলা করে দিয়েছে। ওরা আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল পতিত আওয়ামী লীগ।’
আরও পড়ুন : নভেম্বরের মাঝামাঝি নামবে শীত
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি করছে বিএনপি। র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের র্যালি প্রমাণ করবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সেদিন পরাজিত করেছিল ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে। সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ৭ নভেম্বর ছিল গণতন্ত্র মুক্তির দিন, ৭ নভেম্বর ছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন, আধিপত্যবাদকে পরাজিত করার দিন। এদিন নতুন বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠাতার দিন।’
আরও পড়ুন : ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে জনগণ আরেকটা অভ্যুত্থান দেখেছে। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। কিন্ত তার দোসররা এখনো রয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে আসবে, অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন থেকে তাদের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এখানে গণতন্ত্র ছাড়া ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে না। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো।’
আরও পড়ুন : বিআরটিসি বাসে আগুন
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শ্রমিকদলের সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।
সান নিউজ/এমআর