জিসান নজরুল, ইবি : জাতীয়বাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য অতীতে যেমন কাজ করেছে আগামীতেও করবে। আগামীতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মিত ছাত্রদের ভেতর থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে আসা হবে। ছাত্রদল একটা বৃহৎ সংগঠন। ছাত্রদলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। শৃঙ্খলা সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে ছাত্রদল। ৫ই আগস্টের পর যে কয়েকটি বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন : ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসাধারণের মধ্যে জনমত সৃষ্টির জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একুশ শতকের উপযোগী একটি মেধাভিত্তিক ও দখলদারিত্ব মুক্ত রাজনীতি করতে হলে শিক্ষার্থীদের অংশীদারের প্রয়োজন আছে। আমরা সেই অংশীদারের রাজনীতি করতে চাই। শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করতে চাই। গেস্টরুম কালচার ও সিট বাণিজ্যের রাজনীতি ছাত্রদল চায় না।
আরও পড়ুন : এলপি গ্যাসের দাম কমল
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্র রাজনৈতিক বন্ধ করা কল্যাণকর হবে না। ছাত্রদের রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যাতে পরবর্তীতে কোন ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় না আসতে পারে এবং গোপনে যারা কাজ করতে চায় তাদের মন বাসনা পূরণ হবে না।
অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ৫ আগস্টের পর অন্য দল থেকে ছাত্রদলে অংশগ্রহণের একটি ঘটনাও ঘটেনি। যেহেতু এটা বড় সংগঠন সেহেতু সংযোজন বিয়োজন থাকতে পারে।
আরও পড়ুন : মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধা নিবেন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ ও আহসান হাবিব, সদস্য রাফিজ, নুর উদ্দিন ও তরিকুল ইসলামসহ শাখা ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী।
সান নিউজ/এমআর