প্রশান্ত কথা
হেফাজতে ইসলাম ও আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়ার প্রধান আল্লামা শাহ আহমদ শফী গতকাল শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরন করেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সকল রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন গুলো।
বাংলদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) ও হেফাজতে ইসলাম ও আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়ার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার মত্যুতে শূন্য হয় এ পদটি। গুরুত্বপূর্ণ এই তিন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃত্বে কে আসবেন- তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
আজ আহমদ শফীর দাফনের পর বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। শুক্রবার এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেন, আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলামের পরবর্তী আমির কে হবেন তা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
আহমদ শফীর মৃত্যুতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রভাব তো পড়বেই। হুজুরের মতো তো আর মানুষ পাওয়া যাবে না। আমার দায়িত্ব হলো এখন কাউন্সিল ডাকা। কাউন্সিলরা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। আশা করি আমরা আগের মতো সব সামলে নিতে পারবো তবে কিছুটা সময় লাগবে।
সর্বশেষ গত জুনে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সহকারী পরিচালকের পদ থেকে হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে আহমদ শফীকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
এরই মধ্যে আহমদ শফী ও বাবুনগরী একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা জানান। এরপরও গত একমাসে আবারও পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকে। সর্বশেষ গত বুধবার হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করার প্রেক্ষিতে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণ ও আহমদ শফীকে মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে পরর্বতী আমির কে হবে। তবে সকল মানুষের প্রত্যাশা একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। বন্ধ হবে মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর র্নিযাতন।
সান নিউজ/পিডিকে/বিএস | Sun News