বি. খন্দকার: আজকে খুশির ঈদ অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল আজহা অথচ আমাদের কারোরই মুখে হাসি নেই। গাড়ির ভিতরে আমার সুটকেস আর বুটের মধ্যে আত্মীয়দের জন্য কোরবানির গোশত। গন্তব্য এয়ারপোর্ট।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের কাজ জ্ঞান ছড়ানো, ঘৃণা নয়
ড্রাইভার আমাকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে তারপর আত্মীয়দের বাসায় গোশত দিতে যাবে। পেটের তাগিদে ও পরিবারের জন্য আজ রাতের ফ্লাইটেই আমাকে প্রবাসে ফিরে যেতে হচ্ছে।
পেছনে কোলে থেকে জোর করে ফেলে আসা দুধের বাচ্চার আর্তনাদ আর স্ত্রীর চোখে পানি এখন চোখের সামনে ভাসছে। নিজেকে সামলাবো নাকি পরিবারকে বুঝাবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
আরও পড়ুন: "সুশিক্ষা ও চাকরি"
প্রচন্ড কষ্ট এবং মানসিক যন্ত্রণায় প্রাইভেটকারের ভেতরের এসির বাতাসটাও খুব ভারী লাগছে, বুকটা চেপে ধরে আছে। নিঃশ্বাস নিতেও খুব কষ্ট হচ্ছে।
বাবা ছাড়া প্রথম কোরবানির ঈদ, সকাল থেকেই খারাপ লাগছিলো, বারবার বাবার কথা মনে পড়ছিলো। আত্মীয়স্বজন কারো সাথে দেখা করাতো দূরের কথা ফোনে কথা বলারও সুযোগ পেলাম না।
আরও পড়ুন: “আমি একজন সাধারণ প্রবাসী”
আজ সারাদিনের মধ্যে ৫ মিনিটের জন্যও আমার ছোট বাচ্চাকে একবারও কোলে তুলে নিতে পারিনি।
আমাদের দাম্পত্য জীবনের প্রথম ঈদুল আজহা অথচ একসাথে একটা ফ্যামিলি ফটো তোলারও সুযোগ এবং সময় পাইনি। শুধু টাকার পেছনে ছুটতে গিয়ে আজ নিজের পরিবারকেও কাঁদাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রূপ আর রান দেখিয়ে দুনিয়া চলেনা
বাস্তবতা অনেক কঠিন। কিছু পাওয়ার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়।
হে আল্লাহ আমার পরিবারকে আপনার কাছে দিয়ে গেলাম আপনি তাদেরকে সর্বদা বিপদ মুক্ত রাখবেন। ঈদ মোবারাক।
আরও পড়ুন: আমাদের ঐতিহ্য “ বানিয়ারা”
লেখক:
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
ইউনাইটেড গ্লোরি অব বাংলাদেশ (ইউজিবি)