নাজমুল হাসান: হয়তো এটা আমার দুর্ভাগ্য আমি অনন্ত জলিলের কোন সিনেমা দেখিনি। বা দেখা হয়নি। কারণ তাকে প্রথম থেকে কেন যেন ভালো লাগতো না কিন্তু আস্তে আস্তে তার সম্পর্কে টুকিটাকি জানার চেষ্টা করি এবং সেখান থেকে ভালো লাগার মত কিছু উপাদান বেরিয়ে আসে। বাংলাদেশের সিনেমা কে টেকনিক্যালি আধুনিক যুগে প্রবেশ করানো তার বড় সফলতা।
আরও পড়ুন: নতুন রুপে হাজির হলেন চাঁদনী
প্রচলিত ৪০ লাখ টাকা ব্যয় নির্মাণ কৃত ছবির নায়ক নন তিনি। ব্যক্তি জীবনে একজন সফল ব্যবসায়ী ও সিআইপি হিসেবে সম্মানিত তিনি। শত হাজার কোটি টাকার মালিক। সঙ্গত কারণেই নিজে উদ্যোক্তা হয়ে সিনেমা শিল্পের বিপর্যয় ঠেকাতে হাল ধরতে চেয়েছিলেন সেই লক্ষ্যে বিনিয়োগ করছিলেন কোটি কোটি টাকা।
সম্প্রতি তার একটি ছবি কে কেন্দ্র করে আলোচনা সমালোচনার তুঙ্গে রয়েছেন এই মানুষটি। ব্যাপক সামাজিক ট্রলের শিকার হয়ে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আর সিনেমা নির্মাণ করবেন না।
আরও পড়ুন: আমার ভাল্লাগে না
আমার কাছে সোজাসুজি মনে হয় অনন্ত জলিলের চিন্তাধারা সক্ষমতা ও সৃজনশীলতা তথাকথিত চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের কলিজায় আঘাত করেছে। তাই যেকোনো উপায়ে অনন্ত জলিলকে এই শিল্প থেকে বের করে দেওয়ার চক্রান্তটা বেশ ভালোভাবেই সফল হলো। দেশের যেকোনো সেক্টরে যাই না কেন এমনই অবস্থা।
এদেশের মানুষ বিভিন্ন সংস্থা সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে যারা হরতা কর্তা সেজে বসে আছেন আর কিছু না পারেন ষড়যন্ত্রটা খুব দক্ষতার সাথে করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আর সিনেমা বানাব না
পরিশেষে বলবো অনন্ত সিনেমা করলে কেউ তাকে ঠেকাতে পারবে না না। আর না করলেও তার কিছু যায় আসে না। কিন্তু একজন উদ্যোক্তার বা বিনিয়োগকারীর মন ভেঙে দিয়ে কার কার কত পারসেন্ট লাভ হলো সেটা জানার আগ্রহ থেকেই যাচ্ছে।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
সান নিউজ/কেএমএল