ড. আর এম দেবনাথ: পবিত্র রমজান মাস শেষ হতে চলেছে। সামনে পবিত্র ঈদ। এখন খ্রিস্টীয় এপ্রিল, বাংলা বৈশাখ। কৃষক বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত। দুদিন আগেই আমরা মোটামুটি আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করেছি নববর্ষের অনুষ্ঠান-পহেলা বৈশাখ। অতিমারি করোনা এখন কিছুটা স্তিমিত। জনজীবন বেশ কিছুটা স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন আপদ বিশ্বের সামনে উপস্থিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে মাসাধিককাল ধরে।
ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতি পুনরায় লণ্ডভণ্ড হওয়ার সম্মুখীন। মূল্যস্ফীতি পৃথিবীর সব দেশে। আমরাও এ থেকে মুক্ত নই। বাড়ছে ভোজ্যতেলসহ ভোগ্যপণ্যের দাম। সর্বত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত অস্বস্তি। মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ক্লান্ত, গরিব মানুষ দিশেহারা। শ্রীলংকা দেউলিয়া ঘোষণা করেছে নিজেকে। বৈদেশিক মুদ্রা নেই আমদানির জন্য, ঋণ পরিশোধের জন্য। পাকিস্তানে নতুন সরকার ক্ষমতায় বসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমেরিকাকে দোষারোপ করে আন্দোলন করছেন। সেখানেও অর্থনীতি বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
এমন একটা বিশ্ব ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির মধ্যে আমরা এবার ঈদ উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছি। বলতে গেলে দু’বছর পর এই প্রথম জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদ উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি সর্বত্র। সরকার ব্যস্ত অবকাঠামো ঠিক রাখতে। বিদ্যুৎ ঠিক রাখতে হবে। পরিবহণ ব্যবস্থা যাতে কার্যকর থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যটন শিল্পে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, চারদিকে নজর রাখতে হবে। অধিকন্তু রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার মৌলিক দায়িত্ব। এদিকে সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও ধনী-সবাই ব্যস্ত ঈদের কেনাকাটা নিয়ে।
বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র রমজানের ঈদ। এর কিছুদিন পর উদযাপিত হবে আরেক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব কুরবানির ঈদ। দুই ঈদের বেচাকেনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যস্ততা দুই রকমের। রমজানের ঈদের আনন্দ আসে মাসব্যাপী সিয়াম পালনের পর। পুরো মাসে বেচাকেনা চলে এক ধরনের। মাস শেষে ঈদ উপলক্ষ্যে সওদার তালিকা ভিন্ন। এবার সারা মাস রমজানের বাজার ছিল রমরমা। ঈফতারের বাজার যথারীতি আলোচনার বিষয় ছিল। ছোলা, সয়াবিন, খেজুর, চিনি, আটা, ময়দা, শসা, বেগুন ইত্যাদির বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। যদিও সরকার খোলাবাজারে অনেক ভোগ্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছে।
বেইলি রোড, মৌলভীবাজার, রায় সাহেবের বাজারসহ ঢাকায় নতুন নতুন ইফতারের বাজারে ছিল মানুষের ভিড়। শত হোক, দুই বছর পর খোলামেলাভাবে রমজান পালিত হচ্ছে। ইফতারের বাজারের আকার কত, তার কি কোনো হিসাব আছে? মনে হয় না। তবে এখন নতুনভাবে যোগ হয়েছে বড় বড় হোটেলে সেহরি খাওয়া। গুলশান, বনানীসহ অভিজাত এলাকার ইফতার ও সেহরির বাজার ছিল জমজমাট। সেই সঙ্গে সারা মাস ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বড় বড় ইফতার পার্টি।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ট্রেড ইউনিয়ন, বিভিন্ন ক্লাব আনন্দপূর্ণ ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে তো আছেই। সবচেয়ে উত্তম হতো, যদি সরকার ইফতার ও সেহরির বাজারের আকার সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পারত। তারপরও সহজেই বলা যায়, এ বাজারের আকার হাজার হাজার কোটি টাকার। এবং এতে অংশগ্রহণ আছে গ্রাম ও শহরের সব মানুষের।
এদিকে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বিমানের টিকিট, বাসের টিকিট, লঞ্চ-স্টিমারের টিকিট বিক্রির কাজও শুরু হয়েছে। বস্তুত পরিবহণের এ দিকটা ঈদ উৎসবের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। লাখ লাখ শহরবাসী ঈদ উপলক্ষ্যে ‘দেশের বাড়িতে’ যায়। কত লোক? কাগজে দেখলাম, লঞ্চ-স্টিমারের যাত্রীই এবার হবে ৩০-৪০ লাখ। তারা দক্ষিণাঞ্চলের লোক। নাড়ির টানে সবাই বাড়ি যাবে।
মুশকিল হচ্ছে, ট্রেনের টিকিট, বাসের টিকিট, লঞ্চ-স্টিমারের টিকিট, বিমানের টিকিট-সবই এখন সোনার হরিণ। কমলাপুর স্টেশন, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল লোকে লোকারণ্য। এটি গবেষণার বিষয়, কী করে পবিত্র ঈদ উপলক্ষ্যে ৬০-৭০ লাখ মানুষ কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-রাজশাহী-খুলনা-সিলেট শহর ছেড়ে বাড়ি যায়, আবার দু’-চারদিনের মধ্যে সবাই যার যার কর্মস্থলে ফিরে আসে।
চারদিকে পরিবহণের বিশৃঙ্খলা, মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, দুর্ঘটনা, ফেরির অভাব-এমন বিশৃঙ্খলার মধ্যেই দেখা যায় সব শান্তিপূর্ণভাবেই সমাপ্ত হয়েছে। আমার কাছে এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। বলাই বাহুল্য, এ সপ্তাহখানেক সময় ঢাকা শহর থাকবে কোলাহলহীন, যানজটমুক্ত। নির্মল হাওয়া পাওয়া যাবে সর্বত্র।
ইফতারের বাজারের আকার সম্পর্কে যেমন কোনো ধারণা নেই, তেমনি ধারণা নেই পরিবহণের বাজারের আকার সম্পর্কে। সবই অনুমাননির্ভর কথা। তবে এসব যে বিশাল বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক কর্মযজ্ঞ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিবহণের বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত পর্যটন ব্যবসা। বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, মধ্যবিত্ত পাগলের মতো শহর ছেড়ে পর্যটন কেন্দ্রে ছুটে যায়।
এখন পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, সিলেট, কুয়াকাটা ইত্যাদি। এছাড়া সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রচুর হোটেল-মোটেল, যা এখন গ্রাহকে-পর্যটকে থাকে পরিপূর্ণ। বিমান-ট্রেন-বাস-স্টিমারের টিকিট ব্যবসা, হোটেল-মোটেলের আবাসন ব্যবসা এখন বড় আকারের ব্যবসা। হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ এ ব্যবসার উপকারভোগী। বস্তুত ঈদ উপলক্ষ্যে কোথাও ঠাঁই পাওয়া যায় না।
এ পর্যায়ে কেনাকাটা, শপিংমলের ব্যবসা, বিভিন্ন পেশার ব্যবসার আলোচনায় যাওয়ার আগে নতুন নোটের কথা বলা যাক। প্রতিবছরের মতো এবারও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নোট বাজারে ছেড়েছে। ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট। এসব আবার অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশিতে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ঈদ উপলক্ষ্যে মানুষ নতুন নোট ব্যবহার করতে চায়। এটা লাগে ‘বকশিশ’ প্রদানের ক্ষেত্রে। লাগে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে।
বস্তুত এখন ‘বকশিশ’ একটা নিয়মিত কর্তব্যে পরিণত হয়েছে। অফিস, ক্লাব, ব্যবসায়িক সংগঠন-সর্বত্র এখন ‘বকশিশের’ ছড়াছড়ি। গরিব ও নিচু পদের কর্মচারীরা এখন একে বস্তুত একটি ‘দাবি’তে পরিণত করেছে। এ ছাড়া কীই বা করবে! তাদের সংসার চলে না। মধ্যবিত্তেরই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। গরিবের অবস্থা কী, তার একটা চিত্র পাওয়া যায় ট্রাফিকের মোড়ে মোড়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ভিক্ষুকের সংখ্যা, সাহায্যপ্রার্থীর সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে।
বলতেই হয়, ইদানীং সাহায্যপ্রার্থীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। করোনা অতিমারির আক্রমণ, কর্মচ্যুতি, চাকরিচ্যুতি, ব্যবসাচ্যুতি ইত্যাদির ফলে বহু মানুষ গরিবে পরিণত হয়েছে। মধ্যবিত্ত হয়েছে নিম্নবিত্ত, নিম্নবিত্ত হয়েছে গরিব। এবারের ঈদের এটা একটা বড় দিক। একদিকে মানুষের ক্রয়ক্ষতা হ্রাস পেয়েছে, অপরদিকে মূল্যস্ফীতি ঘটছেই।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়। কাগজে দেখলাম, একশ্রেণির ব্যবসায়ী অতি মুনাফা অর্জনের জন্য নানা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। নকল দ্রব্য বাজারে ছাড়ছে। পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে তারপর ডিসকাউন্ট ঘোষণা করছে। কাপড়ের বাজারেও একই প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সেখানেও নানা প্রতারণার শিকার সাধারণ ক্রেতারা। দাম, মান, স্থায়িত্বের দিক থেকে প্রতারণা।
মনে হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা দুই বছরের লোকসান এবার পুষিয়ে নিতে চাইছে। এমনিতেই ঈদ উপলক্ষ্যে বাজার থাকে চড়া, তার ওপর ‘ডাবল অতিরিক্ত’ মুনাফা করতে চাইছে ব্যবসায়ীরা। তারপরও ক্রেতারা উপায়ান্তর না দেখে বাজারে যাচ্ছে, শপিংমলে যাচ্ছে। সর্বত্র উপচেপড়া ভিড়। গরিবের জন্য রয়েছে ফুটপাতের বাজার, যে বাজার জমে ঈদের এক-দুই দিন আগে।
এই যে কেনাবেচার কার্যক্রম, এর টাকার উৎস কী? বলাই বাহুল্য, প্রথম ও প্রধান উৎস বেতন-ভাতা-বোনাস। দ্বিতীয় উৎস রেমিটেন্স, তৃতীয় উৎস ধান বিক্রির টাকা। তারপর সঞ্চয় ভাঙার পথ তো খোলা আছেই। ঈদ উপলক্ষ্যে এখন সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব অফিসই বেতন ছাড়াও বোনাস দেয়। মুক্তিযোদ্ধারাও বোনাস পান। পোশাক শ্রমিকরা বেতন-বোনাস পান। রেমিটেন্স আসে অনেক বেশি।
অন্যান্য মাসে যা আসে, তার থেকে ২০-২৫ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স আসে ঈদের মাসে। এর অঙ্ক হবে এখন দেড় লক্ষাধিক কোটি টাকা। এর সুবিধাভোগী কোটি খানেক পরিবার। তবে মনে হচ্ছে, পোশাক শিল্পের অনেক শ্রমিক এবারও ঈদের আগে বা ঈদের সময়ে বোনাস ও বেতন নাও পেয়ে থাকতে পারে। এদিকে কৃষকের হয়েছে বিপদ। এখন প্রধান ফসল বোরো উঠছে। ধান ঘরে তোলা শেষ হয়নি।
আবার সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ইত্যাদি অঞ্চলের কৃষক ফসল তোলা নিয়ে ভীষণ অনিশ্চয়তায় ভুগছে। উজানের ঢল তাদের ফসল জলের তলে নিমজ্জিত করছে। এ অবস্থায় ধান বিক্রির টাকা কতটা ঈদের বাজারে আসবে, তা ঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যে, বহু মানুষকে সঞ্চয় ভাঙাতে হবে, ধার-কর্জ করতে হবে। কারণ, শত হোক বছরের একটা উৎসব। এর আনন্দ ম্লান করা যায় না। ছেলেমেয়েদের চাওয়া-পাওয়া না মিটিয়ে কোনো উপায় নেই। এসবের মধ্যেই চলছে কেনাকাটা।
এই ঈদে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় জামা-কাপড়, পায়জামা-পাঞ্জাবি, মেয়েদের বস্ত্রাদি, প্রসাধন সামগ্রী, জুতা-মোজা, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, মসলাপাতি, আটা-ময়দা, চিনি, সেমাই, সয়াবিন তেল ইত্যাদি। জামা-কাপড় ও মেয়েদের বস্ত্রাদিতে ইদানীং যোগ হয়েছে ব্র্যান্ডের কাপড়। ইতোমধ্যেই ঢাকা শহরে গড়ে উঠেছে অনেক ব্র্যান্ডের দোকান। এসব ব্র্যান্ডের দোকানে অবশ্য গরিবের স্থান নেই। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাই এসব দোকানে ভিড় করে। এসব দোকানে বেচাকেনা খুব ভালো। কারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা প্রচুর।
এসব দোকানে ব্র্যান্ডের কাপড়ের সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয় বিদেশি, বিশেষ করে ভারতীয় পোশাক, এমনকি শাড়িও। বস্তুত ঈদের বাজারে ভারতীয় ফ্যাশনের জামা-কাপড়, শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ ইত্যাদি ভালো ব্যবসা হয়। রয়েছে সোনার অলঙ্কার বিক্রির ব্যবসা। ঈদের সময় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার কেনার ধুম পড়ে যায়, যদিও এর দাম খুবই উঁচুতে।
ইদানীং একশ্রেণির ক্রেতার কাছে জনপ্রিয় হয়েছে ‘ডায়মন্ডের’ অলঙ্কার। ‘ডায়মন্ডের’ দোকানেও বেশ ভিড় হয়। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিশেষ করে টেলিভিশন, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান ইত্যাদির বাজারও জমে উঠেছে। গেল বছরে ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল ৩০-৩৫ লাখ ইউনিট। বিক্রি বাড়ছে। সারা দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। নিম্নমধ্যবিত্তও এখন ফ্রিজের মালিক। এবার বেশ গরম পড়েছে। ফলে এয়ার কন্ডিশনারের বাজারও রমরমা।
মফস্বল শহরগুলোতে, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও ঈদের বাজারে রমরমা অবস্থা। বগুড়ার অনেক গ্রামে তৈরি হচ্ছে খেলনা। দুই বছর খেলনা তৈরি বন্ধ ছিল। তারপর রয়েছে চীনা খেলনার প্রতিযোগিতা। মানিকগঞ্জ থেকে আসছে ঈদের পোশাক আড়ংয়ের দোকানে। সেখানকার কারখানাগুলো থেকে পৌনে দুই লাখের মতো পোশাক আসার একটা খবর দেখলাম। ভৈরব বাজার, চট্টগ্রাম ইত্যাদি অঞ্চলে জুতার ব্যবসায় পুনরায় গতি এসেছে।
ভৈরবে জুতার কারখানা শত শত, চট্টগ্রামে এখন ৪০০-এর মতো। চীনা জুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এসব দোকান বাজার ধরে রাখছে। চট্টগ্রামের জুতার কারখানাগুলোতে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বল ধারণা। পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বাবুরহাট ইত্যাদি অঞ্চলে কাপড়ের ব্যবসা জমজমাট, বিশেষ করে শাড়ি-লুঙ্গি। এ কারণে তাঁতের কাজ বেড়েছে। তাঁতিরা এখন ব্যস্ত। মৃৎশিল্পীরাও ব্যস্ত মাটির তৈজসপত্র তৈরির কাজে। ঈদে এসবের মেলা বসে। গরমে এবং ঈদ উপলক্ষ্যে এবার বগুড়ায় তালপাতার পাখার উৎপাদন বেশ বেড়েছে। বেশ চাহিদা এসবের।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের আশঙ্কা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে
নওগাঁ অঞ্চলের টুপি তৈরির কারখানা শ্রমিকদের এখন সময় নেই। এসব ছাড়াও জিঞ্জিরার দর্জি শিল্প/পোশাক শিল্পের এখন রমরমা বাণিজ্য। এক কথায় বলা যায়, এবার দু’বছর পর ঈদের বাণিজ্য হবে দু’বছরের সমান, শত সংকটের মধ্যেও। ব্যবসায়ীরা দৃশ্যত খুব খুশি।
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাননিউজ/এমএসএ