সান নিউজ ডেস্ক:
সুপ্রীম কোর্ট বারের ওকালত নামা ক্রয়-বিক্রয়ে নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এক আইনজীবী।
মো. মিজানুর রহমান শিহাব তার ফেসবুক স্টেটাসে এই বিষয়ে অনিয়মের বর্ণনা দিয়েছেন। সান নিউজের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
"অভিনব কায়দায় বারের ওকালত নামা চুরির ঘটনার খবর মনে হয় এখনো অনেকে বিজ্ঞ সদস্য জানতে পারেন নি তাই একটু লিখার চেষ্টা। কত দিন বা কবে থেকে এই চুরি (ডাকাতি বলা ভালো হবে) চলছে তা আল্লাহ ই ভালো জানে...
জড়িতদের কি করা উচিত... SCBA তে আরো কত কি ভাবে টাকা চুরি করতেছে কর্মচারিরা তা কি বিজ্ঞ সদস্য রা কখনো জানতে পারবে কি...
যেভাবে ওকালতনামার টাকা তছরুপ হচ্ছে-
একটি আইডির জন্য একটি সিরিয়াল নং দিয়ে একটি ওকালত নামা প্রিন্ট হয়। তবে সফ্টওয়ারের অপারেটিং সিস্টেমে একটি আইডি নং বিপরীতে একের অধিক ওকালত নামা প্রিন্ট হচ্ছে। যাতে একটির টাকা আমাদের একাউন্টে জমা হয় আর অতিরিক্ত প্রিন্ট গুলো বিক্রয়ের টাকা সংবদ্ব চক্র লোপাট করতেছে।
last Thursday তে সম্মানিত সম্পাদক মহোদয় কে একজন বিজ্ঞ সদস্য ফোন করে বলে যে সে ৫ টি ওকালত নামা নিয়েছে কিন্তু সব গুলোর সিরিয়াল একই। আরেকটি চেম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলে যে, তারা ১৯ টি ওকালত নামা ক্রয় করেছে এর মধ্যে অনেক গুলো (৫-৭ টি) রয়েছে যে গুলোর সিরিয়াল নং একই।
তারপর যারা নিচতলায় বিক্রয় করার দায়িত্বে রয়েছে তাদের কে জিজ্ঞেস করার সাথেই একজন কর্মচারী তৎক্ষনাত দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। সেই একই ঘটনা আজকেও ঘটেছে। মাজে মধ্যে একটি প্রিন্ট দিলে ২-৩ টি ও আসে। একটির টাকা আমাদের হিসেবে যায় আর গুলো উনারা ভাগ বাটোয়ারা করে খায়।
অপারেটিং এর দায়িত্বে রয়েছে আমাদের সিদ্দিক এন্টার প্রাইজ । সম্পাদক মহোদয়ের কথা মত আজকের মধ্যে সিদ্দিক ....জবাব দেওয়ার কথা কবে থেকে এই রকম করতেছে কিন্তু বিকেল ৬ টা পর্যন্ত জবাব দেয় নি।!!
ক্রয়ে অনিয়ম বা চুরি-
১৫০ কেজি লিকুয়েডের মধ্যে ৩৯ কেজি পাওয়া গেছে- একজন কে নোটিস করা হয়েছে....
বিজ্ঞ সদস্যরাও উদাসীন সাধারণ সভায় ও আসেন না। ...নেতারা এক বছরের জন্য আসে দেখতে না দেখতেই চলে যায় ভালো করে কিছু বোঝার আগেই।
বিজ্ঞ সদস্যদের টাকা অনভিজ্ঞ চক্র গোষ্টি ভাগ বাটোয়ারা করে খায়, এই হলো আমাদের অবস্থা।
কিউবিক্যালস বন্টনের কোন নিয়ম তো নেই ...
লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট।