রেজানুর রহমান
স্বাধীনতার পঞ্চাশ। কতদূর এগুলো দেশ? ধরা যাক একজন প্রবাসী অনেক বছর পর দেশে ফিরেছেন। তার কাছে পরিবর্তনটা সহজেই চোখে পড়বে। কী রেখে গিয়েছিলাম, আর কী দেখছি? বিস্ময়কর পরিবর্তন। উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় বিস্ময়কর অগ্রগতি বাংলাদেশের। পাশের দেশ ভারতের কলকাতা থেকে আমার একজন বন্ধু এসেছিলেন। তার মুখে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা শুনে দারুণ গর্ব হচ্ছিল। “৫০ বছরে তোমরা অনেক এগিয়েছে। তোমাদের পদ্মা সেতুতে যাওয়া-আসার রাস্তা তো দেখি সুইজারল্যান্ডের মতো। ঢাকায় মেট্রোরেল হচ্ছে। ঢাকাকে তো চেনায় যায় না রে ভাই”।
একজন প্রবাসী বন্ধু বললেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই দেশটার অনেক পরিবর্তন লক্ষ করলাম। ২০ বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমানের বাংলাদেশ এক নয়। এক আড্ডায় দেশ নিয়ে কথা হচ্ছিলো। প্রবাসী বন্ধুর কথা শুনে আড্ডায় উপস্থিত অন্য একজন বন্ধু উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, ২০২২ সালের শেষ দিকে দেশে থাকলে বুঝতে পারবি পরিবর্তন কাকে বলে। ২০২২ সালেই খুলে যাবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ঢাকার রাস্তায় মেট্রোরেল চলবে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হয়ে যাবে। ভাবতে পারিস দেশটার চিত্র তখন কেমন হবে?
বন্ধু কথা শুনে কল্পনায় ২০২২ সালকে দাঁড় করালাম। খুলে গেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। চালু হয়েছে মেট্রোরেল। মাথার ওপর দিয়ে চলছে রেলগাড়ি। নদীর নিচ দিয়ে আধুনিক সড়ক পথে চলছে যানবাহন। এত কল্পনা নয়। স্বপ্নও নয়। পুরোটাই বাস্তব। স্বাধীনতার পঞ্চাশে এমন অনেক অর্জনের কথা বলা যাবে। যা শুধু অহংকারের নয়, বিস্ময়করও বটে।
আমাদের ওই আড্ডায় দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসার পাশাপাশি দেশের মানুষকে নিয়েও কথা উঠলো। কেমন আছে দেশের মানুষ? এই প্রশ্নে একটু যেন দ্বিমত প্রকাশ করতে শুরু করলেন কেউ কেউ। একপর্যায়ে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে গেলো। এক পক্ষের মন্তব্য- দেশের মানুষ অতীতের তুলনায় অনেক ভালো আছে, সুখে আছে, শান্তিতে আছে। অন্যপক্ষের মন্তব্য দেশের মানুষ ভালো নেই। মোটেই শান্তিতে নেই। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। ধনী আরও ধনী হচ্ছে। উভয় পক্ষই অকাট্য যুক্তি দাঁড় করাতে থাকলেন। দেশের মানুষ ভালো আছেন, এই পক্ষ মাথাপিছু আয়ের যুক্তি দাঁড় করালেন। অন্য পক্ষ প্রশ্ন তুললেন এই মাথাপিছু আয় কার বা কাদের? বস্তিতে যে বাস করে তার? বেকার যুবকের? এই করোনাকালে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের? গরিব কৃষকের? দুই পক্ষের তর্কযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। এরকম তর্ক অনেকেই করেন। কিন্তু এটা তো সত্য যে গত ৫০ বছরে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলে অবজ্ঞা করেছেন তারাই এখন বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ৫০ বছরে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কী হতে পারে।
তবে হ্যাঁ, বাইরের কে কী বললো সেটা না ভেবে, আমরা নিজেরা কী বলছি, কী ভাবছি সেটাই আসল। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিতে চাই। একটি গ্লাস। কিছু পানি আছে গ্লাসে। গ্লাসটি নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলো। এক পক্ষ বললেন, গ্লাসটি অর্ধেক খালি। অন্য পক্ষ বললেন গ্লাসটি অর্ধেক ভরা। এখন প্রশ্ন হলো, আপনি কোন পক্ষে? অর্ধেক খালি নাকি অর্ধেক ভরা’র পক্ষে? আমি অর্ধেক ভরার পক্ষে। কেন? কারণ অর্ধেক ভরা বলার মধ্যে একটা স্বপ্ন ও সাহস আছে। অর্ধেক ভরা। তার মানে আর কিছু পানি দিলেই গ্লাসটা ভরে যাবে। এটাই সাহস। ৫০ বছরের বাংলাদেশকেও সেভাবে দাঁড় করাতে চাই। অনেক এগিয়েছি। স্বপ্ন আর সাহসকে সঙ্গী করে বাকিটা পথ এগিয়ে যাওয়া এখন আর কঠিন হবে না। ওই যে দেশের মানুষের কথা উঠলো। বাকিটা পথ এগিয়ে যাবার জন্য দেশপ্রেমিক মানুষের ঐক্যবদ্ধ শক্তিটা এখন জরুরি।
এখন প্রশ্ন হলো, দেশের মানুষ কি দেশের কল্যাণ প্রশ্নে এক কাতারে দাঁড়িয়ে আছেন? একথা সত্য, রাজনীতি, একমাত্র রাজনীতিই এই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করে। রাজনীতি মানে ক্ষমতার লড়াই। যেকোনও মূল্যে মসনদটা আমার চাই। এই মানসিকতায় দেশের ব্যাপক উন্নয়ন অগ্রযাত্রাও কারও কারও কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছি। ৫০ বছর পর সেই আদর্শ ও ভাবনার সঙ্গে আছি কী সবাই? ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট চিকিৎসক নুজহাত চৌধুরী ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী, করপোরেট ব্যক্তিত্ব শমী কায়সার উপস্থিত ছিলেন। দু’জনই শহীদ বুদ্ধিজীবীর কন্যা। সভায় বক্তৃতাকালে নুজহাত চৌধুরী একটি স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ তুললেন- বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস এলেই বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল তাদের টকশোতে আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অসহায় পরিবারের পক্ষে কথা বলার জন্য আমি টেলিভিশনে কথা বলতে যাই। কিন্তু টকশোতে গিয়ে যখন দেখি আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে যাকে ডাকা হয়েছে তিনি বা তারা বুদ্ধিজীবী নিধন আদর্শের অনুসারী তখন খুব কষ্ট পাই। স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি কর্তৃত্ব করবে, তাদের সাথে কথা বলে, সমঝোতা করে চলতে হবে- এটা আমি মেনে নিতে পারি না। নুজহাত চৌধুরী দেশের তরুণদের কথা তুলে বললেন, ওরা নানা কারণে বিভ্রান্ত। অনেকে রাজনীতি মোটেই পছন্দ করে না। অথচ রাজনীতিই দেশের স্বাধীনতা এনেছে। আগামীতে দেশকে এগিয়ে নিবে এই তরুণরাই। কাজেই তরুণরা কেন রাজনীতি-বিমুখ হয়ে যাচ্ছে তা ভেবে দেখা দরকার।
ঢাকায় চিলাহাটি সমিতি নামে একটি সংগঠন আছে। উত্তরের জনপদ নীলফামারী ছেড়ে সীমান্ত ঘেঁষা জনপদ চিলাহাটি। মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে চিলাহাটি সমিতি ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ওই অনুষ্ঠানেও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির উত্থান প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভও জানালেন। অনেকে তরুণদের কথাও বললেন। তরুণেরা একটু যেন বিভ্রান্ত। অনেকেই রাজনীতি পছন্দ করে না। কেন করে না তা ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রদ্ধাভাজন মুক্তিযোদ্ধারা।
এ কথা তো সত্য, দেশে এখনও বিভাজনের রাজনীতি চলছে। প্রচারমাধ্যমজুড়ে প্রতিদিন সংবাদ শিরোনাম হয় দুই দলের বাদানুবাদ, বক্তৃতা, বিবৃতি আর বাহাস। টেলিভিশনের টকশোতেও দুই দলের তর্ক। সরকারি দলের সাথে বিরোধী দলের কেউ না কেউ থাকবেন। এটাই নিয়ম। তা না হলে টকশো জমে না। টিআরপি বাড়ে না। একশ্রেণির মানুষ আছেন যারা রাত জেগে টেলিভিশনের এসব টকশো দেখে অনেক মজা পান। টকশোতে সরকারি দলের কেউ কুপোকাত হচ্ছেন দেখলে অনেকেই হাততালি দেন। কয়েক দিন আগে গভীর রাতে একটি টেলিভিশনের টকশোতে দেখলাম, সরকারি দলের একজন নেতার সাথে প্রতিপক্ষ বক্তা দারুণ তর্ক করছেন। কথিত আছে, প্রতিপক্ষ বক্তার পিতা রাজাকার ছিলেন। দেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছেন। ছেলেও পিতার আদর্শের অনুসারী। দুর্ভাগ্য, এই ধরনের লোকের সাথেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে টকশোতে বসতে হয়। শুধু কি টেলিভিশনের টকশো? আরও অনেক জায়গায় স্বাধীনতাবিরোধীরা একটু একটু করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। দেশের ইউপি নির্বাচনে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে কাছে টেনে নিয়েছেন অনেকে। এসব দেখে দেশের তরুণেরা আরও বিভ্রান্ত হচ্ছে।
সত্যি কথা বলতে কী, দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ-তরুণী রাজনীতি পছন্দ করে না। মুক্তিযুদ্ধ ও মহান স্বাধীনতা নিয়ে বানানো নাটক সিনেমা পছন্দ করে না। গল্প উপন্যাস পড়ে না। এজন্য কি তরুণদের দায়ী করবো আমরা? মোটেই না। একটা সময় তো এই দেশে বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেই দেওয়া হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধকে বলা হয়েছে গণ্ডগোলের বছর। একটা প্রজন্ম পাঠ্যপুস্তকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস না পড়েই বড় হয়েছে। তাদের কাছে কে মুক্তিযোদ্ধা কে রাজাকার বিষয়টি জরুরি হয়ে ওঠেনি। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের কথা তাদের মাঝে তেমন একটা প্রভাব ফেলে না। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি দেশের ক্ষমতায় থাকার সময় সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লুকিয়েছে। ৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এটাই প্রকৃত ইতিহাস। অথচ স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক করেন অনেকে। আমরা বাঙালি না বাংলাদেশি, এই বিতর্কেরও অবসান হয়নি। তরুণেরা এসব বিতর্ক মোটেই পছন্দ করে না। অথচ বিতর্ক চলছেই...।
তবে সত্যিকার অর্থে দেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা ৫০ বছরের অর্জনের কথা বলছি। কিন্তু প্রকৃত অর্জনের শতকরা ৯০ ভাগ অর্জিত হয়েছে এবং হচ্ছে বর্তমান সরকারের আমলে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম এবং আপসহীন নেতৃত্বই প্রিয় মাতৃভূমিকে বিশ্বে উচ্চতার আসনে বসিয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পা ফেলেছে। এজন্য আমরা গর্ব করতেই পারি। কিন্তু ঘরের শত্রু বিভীষণ বলে একটা কথা আছে। অসুস্থ রাজনীতিই এই বিভীষণদের উৎসাহিত করছে। দেশটা এগিয়ে যাক সবাই কি তা চায়? সহজ উত্তর, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চায় প্রিয় মাতৃভূমি যেভাবে এগিয়েছে সেভাবেই আরও এগিয়ে যাক। কিন্তু দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রত্যাশার কি কোনও মূল্য আছে, যদি না দেশের রাজনীতি সঠিক পথে এগোয়? পাশাপাশি একটি জরুরি প্রশ্ন- দেশের সাধারণ মানুষ কি সেই অর্থে রাষ্ট্রের কাছেও গুরুত্ব পাচ্ছে? এই করোনাকালে পেশা হারিয়েছে অনেক মানুষ, বেকারত্ব বেড়েছে। ধনী গরিবের বৈষম্য বেড়েই চলছে। দুর্নীতি থামছেই না।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে সবচেয়ে জরুরি হলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি রোধ করা। সেই সাথে জরুরি তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দেওয়া। আমরা স্বীকার করি বা না করি, তরুণরাই দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময় জগৎকে এগিয়ে নিচ্ছে মেধাবী তরুণ-তরুণীরাই। প্রচারমাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণেরাই। ব্যবসা-বাণিজ্যেও মেধাবী তরুণদেরই জয়জয়কার। ক্রীড়াঙ্গন, বিশেষ করে ক্রিকেটের জয়রত তো তরুণদের হাতেই। নাটক, সিনেমা সংগীতেরও প্রাণ এই তরুণেরাই। তবে রাজনীতিতে মেধাবী তরুণ-তরুণীদের তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। ছাত্র রাজনীতি এখন আর মেধাবী তরুণদের আকৃষ্ট করে না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী ঘটনা, বিশেষ করে বুয়েটে আবরার হত্যার ঘটনার পর ছাত্র রাজনীতি নিয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিনে দিনে জোরদার হচ্ছে। অখ্যাত অনেক কলেজ শাখার প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের নেতাও দামি গাড়ি চালায়। দামি মোবাইল ব্যবহার করে। দলের আদর্শ উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনও জ্ঞান নেই। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, মিছিল মিটিং আর চাঁদাবাজিতে তুখোড় হবার প্রবণতাই বর্তমান সময়ে অনেকাংশে ছাত্র-রাজনীতির শক্তি হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ছাত্ররাজনীতির ব্যাপারে আগের মতো এখন আর আগ্রহী হয় না।
শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, দেশের সব ক্ষেত্রেই মেধাবী তরুণদের অংশগ্রহণের পথ মসৃণ করা জরুরি। আবারও বলি, আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে আজকের তরুণরাই। কাজেই তরুণদের প্রতি আরও মানবিক ও যত্নবান হওয়া সময়ের দাবি।
আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। একই সাথে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় তুলে ধরেছেন তিনি। অশেষ কৃতজ্ঞতা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও।
বিজয়ের ৫০ বছরে সব দেশপ্রেমিক মানুষের জন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা। দেশকে ভালোবেসে ভালো থাকুন সবাই।
লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, সম্পাদক- আনন্দ আলো
সান নিউজ/এফএইচপি