সিনেমা
মতামত

সিনেমা নিষিদ্ধ করে দিলে কেমন হয়

জসিম আহমেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
ক্ষমতাবান, বিত্তশালী ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে আরাম-স্বাচ্ছন্দ্য দেয় না এমন শিল্প-সংস্কৃতির দরকার কি? একটি আইন করে বা প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দেশে চলচ্চিত্রসহ সব মাধ্যমের শিল্পচর্চা একেবারে নিষিদ্ধ করে দিলে কেমন হয়? বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রের সংশোধিত নীতিমালা এমন প্রশ্নের সুযোগ করে দিলো।

এ বছরের ৩১ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্বাহী আদেশে দেশীয় চলচ্চিত্রে বিদেশি অভিনয়শিল্পী, কলা-কুশলী, সংগীতজ্ঞ, সংগীত শিল্পী এবং বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২১ (সংশোধিত) জারি করতে গিয়ে কার্যত চলচ্চিত্র নির্মাণকেই কঠিন করে দিয়েছে।

এই নীতিমালায় বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী, কলা-কুশলীদের অংশগ্রহণ জটিল করে দেওয়া হয়েছে। নতুন নীতিমালার কয়েকটি ধারায় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা এবং ধর্মের সংবেদনশীলতার কথা বলে একটি চলচ্চিত্র আটকে দিতে বা নিষিদ্ধ করতে যে সব অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই আলোচনার দাবি রাখে। এর সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে একজন লেখক-পরিচালকের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন জড়িত।

খুবই অবাক লাগছে, মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন প্রণয়ন করলে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ আছে। অথচ নির্বাহী আদেশে চলচ্চিত্র (যে মাধ্যমেরই হোক) নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন একটি নীতিমালার গেজেট প্রকাশের পরও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ থেকেই বিরোধিতা তো দূরের কথা, কোনো আলোচনার প্রয়াস নেওয়া হয়নি। অথচ টেলিভিশন ও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পেশাজীবীদের অনেকগুলো সমিতি ও সংগঠন আছে।

নীতিমালার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে যে সব কারণে একটি সিনেমার অনুমোদন বাতিল করা হতে পারে, সেদিকে একটু নজর দেওয়া যাক:

(ক) বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের জনগণ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও পোশাকের প্রতি যদি কোনোভাবে ঘৃণার উদ্রেক করে।

ব্যাপারটি অস্পষ্ট। কস্টিউমের কারণে কিভাবে ঘৃণার উদ্রেক হয়। শাড়ি, লুঙ্গি, পাজামা-পাঞ্জাবি— এগুলো বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এসব পোশাক পরা কাউকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখানো যাবে না? নাকি এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ইউনিফর্মধারী— যাদের পোশাকে চেনা যায় তাদের বোঝানো হয়েছে? তাদের কাউকে এমনভাবে দেখানো যাবে না যার ফলে ওই পোশাকধারীর ওপর জনমনে ঘৃণা তৈরি হয়?

(খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বা সংহতি নষ্ট হয় এমন মনোভাব ব্যক্ত করা।

প্রশ্ন হচ্ছে, সিনেমা কিভাবে দেশের অখণ্ডতা বিনষ্ট করতে পারে? এর কোনো নজির আছে? কেউ একজন মনে করলো কোনো একটা সিনেমার কোনো একটা চরিত্রের বক্তব্যে রাষ্ট্রের অখণ্ডতা বা সংহতি বিনষ্ট হয়েছে তাহলে পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ করে দেওয়া হলো না, সেই ভাবনা যতই অমূলক হোক? কোনো সিনেমা এমনটি ঘটাতে পারলে 'জোকার'র মতো ছবি কি আমেরিকায় মুক্তি পেত?

(ঘ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো বিদ্রোহ, নৈরাজ্য বা হিংসাত্মক ঘটনার প্রদর্শন।

প্রশ্নটি খুবই যৌক্তিক যে, কোনো অঞ্চলের দুই শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত হলো বা কোনো বাহিনীতে বিদ্রোহ দেখা দিলো। কোথাও রাজনৈতিক সংঘাতে নৈরাজ্য, হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলো— টেলিভিশন বা সংবাদপত্রে তা প্রকাশিত হলো। সত্য ঘটনা অবলম্বনে একজন লেখক-পরিচালক চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেন। রাজনৈতিক দলের কোনো কর্মীর ধারণা হলো, রাজনৈতিক এজেন্ডা থেকে এই ছবি বানানো হয়েছে এবং তিনি মামলা ঠুকে দিলেন। ছবিটি যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা নির্ণয় করবে কে? একজন চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক রাজনীতি সচেতন হবেন এটা কি অস্বাভাবিক? তার রাজনৈতিক ভাবনার প্রকাশ তার চলচ্চিত্রে থাকতেই পারে। এমনকি, রাজনৈতিক কর্মীও সিনেমা বানাতে পারেন। প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতা, নৈরাজ্য ও হিংসাত্মক ঘটনার বাস্তব চিত্র ধারণ করে তিনি নন-ফিকশন অথবা সেই ঘটনা নিয়ে ফিকশন তৈরিতে বাধাগ্রস্ত হবেন কেন? যেহেতু দেশে রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, রাজনৈতিক এজেন্ডা বা উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণ কেন করা যাবে না?

(চ) আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আইন অমান্যের পক্ষে প্ররোচিত করে এমন কিছু প্রদর্শিত হলে।

ফিকশনের কোনো চরিত্রের আইন ভঙ্গ করাকে যদি প্ররোচনা মনে করা হয় তাহলে নির্মাতা কী করতে পারেন? সভ্যতার ইতিহাসের শুরু থেকে আইন অমান্য করার নজির আছে। সিনেমা আবিষ্কার হলো মাত্র একশ বছর হয়েছে। এর আগে পৃথিবীতে আইন অমান্যের কোনো ঘটনা ঘটেনি? আইন অমান্যের জন্য কল্পিত গল্পের চিত্রায়নকে দায়ী করা যায়?

(ছ) প্রতিরক্ষা বাহিনী পুলিশ বা অন্য কোনো বাহিনীর সদস্য যারা দেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত তাদের উপহাস করা হলে অথবা তাদের প্রতি ঘৃণার উদ্রেক করে এমন কিছু করা হলে। তবে এসব বাহিনীর লোকদের নিয়ে যদি কোনো চরিত্র চিত্রায়ন করে তা 'দূষণমুক্ত' করার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় তাহলে অনুমোদনযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

এই ধারায় পরোক্ষভাবে বলে দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে মন্দ চরিত্রে দেখানো যাবে না। সারা বিশ্বেই শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভালোমন্দ দুই চরিত্রে দেখানো হয় এবং এ দেশেও অতীতে একইভাবে দেখানো হয়েছে। কোনো বাহিনীর কেউ মন্দ হওয়া মানে পুরো বাহিনী যে মন্দ নয়, দর্শক কি বোঝেন না?

এমনকি, একটা বাহিনীর কোনো একটা ইউনিটের সব সদস্য মন্দ হলেও কি পুরো বাহিনীর গায়ে কালিমা লাগে? জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিপথগামী সদস্যরা জড়িত ছিল। এতে পুরো দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর গায়ে কালিমা লাগেনি। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ভালোবাসি, সম্মান করি।

এর বাইরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রসঙ্গটিও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে— একজন লেখক, নির্মাতার পক্ষে আদৌ কি সম্ভব সারা দেশের সব মানুষের মনস্তত্ত্ব বোঝা? এদেশে কে কোন কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হন, কারো বোঝার ক্ষমতা আছে? এই অনুচ্ছেদের ধারাগুলো অতি সংবেদনশীলদের হাতে 'অস্ত্র' তুলে দিবে— কারণে বা অকারণে।

এছাড়াও, উল্লেখিত নীতিমালার অন্যান্য অনুচ্ছেদের ধারা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও প্রশ্নের সুযোগ আছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি উদাহরণ এসব প্রশ্নের স্বপক্ষে শক্ত ভিত্তি দাঁড় করিয়েছে।

১) মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও বিশ্বব্যাপী আলোচিত মোস্তফা সরয়ার ফারুকী'র 'শনিবার বিকেল' দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের আশংকায় নিষিদ্ধ হয়ে আছে। গুলশানের হলি আর্টিজানে সংঘটিত ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে সিনেমাটির গল্প। মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক এই ঘটনা বিশ্ববাসীর অজানা নয়।

২) এ বছর 'মেকাপ' নামে একটি চলচ্চিত্রকে অপ্রদর্শনযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে সেন্সর বোর্ডে থাকা খোদ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের প্রভাবে। ছবিটিতে নাকি চলচ্চিত্রের লোকদের চরিত্রায়ন এমনভাবে করা হয়েছে যা প্রদর্শিত হলে তাদের ভাবমূর্তি বলে আর কিছু থাকবে না!

৩) সাম্প্রতিক বহুল আলোচিত একটি ওয়েব সিরিজে পুলিশ কর্মকর্তার নেতিবাচক চরিত্রায়নের অভিযোগে নতুন প্রজন্মের এক সৃজনশীল পরিচালককে একটি বিশেষ বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের নামে এখতিয়ার বহির্ভূত হয়রানি করেছে।

৪) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা 'ন ডরাই'র কেন্দ্রীয় চরিত্রের নামকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নামার চেষ্টা করেছিল। এমনকি, তারা মামলার হুমকি দিয়ে উকিল নোটিশও পাঠিয়েছিল। ছবির প্রযোজক সরকারি দলের এক প্রভাবশালী নেতার পরিবারের সদস্য এবং নিজেও সরকারি দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে খুব একটা সুবিধা পায়নি শেষ পর্যন্ত। তবে একজন সাধারণ প্রযোজক-পরিচালক হলে কী হতো তা সহজে অনুমান করা যায়।

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভাবমূর্তি নষ্ট, সম্মানহানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সিনেমা সেন্সরে আটকে দেওয়া, মামলা, জেল, হামলা, হুমকি ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানির অনেক উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে আছে। এর কিছু প্রকাশিত হয়, বাকিগুলো থেকে যায় আড়ালে।

'শনিবার বিকেল' অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। বিশ্ববাসী এই ছবিটিকে একটি ফিকশন হিসেবে দেখেছে। গুলশানের মর্মান্তিক ঘটনায় বাংলাদেশ ভিকটিম। বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের প্রতি সভ্য সমাজ ও দেশের সহানুভূতি আছে। ভাবমূর্তি নষ্টের কী কারণ থাকতে পারে তা বোধগম্য নয়। প্রকৃত অর্থে এই যুগে সিনেমা কি আসলেই আটকে রাখা যায়, যখন সিনেমা হল কার্যত আকাশে?

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ছবিটি নিষিদ্ধের সংবাদ প্রকাশ করেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে লেখক-পরিচালক ও শিল্পীর বাকস্বাধীনতা নেই বলে জেনেছে দুনিয়া। এতে কি রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে?

সব সম্প্রদায় ও পেশায় ভালো-মন্দ মানুষ আছেন। গুটি কয়েকের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুরো কমিউনিটি, ধর্ম বা পেশার সবার নয়। রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, আইনজীবী, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা বা যেকোনো পেশার কোনো একজন মানুষ অপরাধে জড়াননি এমন তো নয়। দেশের গণমাধ্যমে এ বিষয়ক সংবাদ নিয়মিত আসে।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা কি ব্যতিক্রম? কাস্টিং কাউচ নিয়ে নিকট অতীতের হ্যাশট্যাগ 'মি টু' আন্দোলনে বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এমন অভিযোগ থেকে এ দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি কি মুক্ত? তাহলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা ঢালাওভাবে গায়ে নিলেন কেন? অন্য পেশার মন্দ লোকের চরিত্রায়ন তারা করতে চান কিন্তু, নিজেদের কমিউনিটির মন্দ লোকের চরিত্রায়ন দেখাতে চান না। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের নামে একটি সিনেমা আটকে দেওয়ার সুপারিশ করেন— এটা কি যৌক্তিক?

সিনেমা ও নির্মাতার বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সেন্সর বোর্ডে থাকা চলচ্চিত্রের প্রতিনিধিরা হীনমন্যতা দেখিয়েছেন। চলচ্চিত্র পেশায় নিয়োজিতদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন— এমন অভিযোগ আসতেই পারে।

থানা-পুলিশ, সিআইডি, ডিবি বা পিবিআই তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এক্ষেত্রে আইনসম্মত উপায় হচ্ছে সমন জারি করা। খুবই জরুরি, জন-গুরুত্বপূর্ণ বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িত থাকলে ভিন্ন বিষয়। কয়েকদিন আগে দিনাজপুরে এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির মতো গুরুতর অভিযোগে। অথচ একজন পুলিশ কর্মকর্তার অপরাধের দায় পুরো বাহিনীর নয় কথাটি সংশ্লিষ্টদের বুঝতে সমস্যা কোথায় তা বোধগম্য নয়। যা ঘটেছে তা বলতে গেলে বা সিনেমায় দেখালে লেখক ও পরিচালক অপরাধী হয়ে যাচ্ছেন, এমনকি শুরুতে সব চরিত্র কাল্পনিক— ডিসক্লেইমার দেওয়ার পরও।

সাম্প্রতিক অনেক ঘটনায় দেশের প্রকৃত শিল্পীরা ভীত। মাথার ওপর আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়। কথায় কথায় মামলা দায়ের এবং সব পেশা ও গোত্রের মানুষের অনুভূতিতে আঘাতের মামলার আশংকায় অনেকেই বাকস্বাধীনতার আশা এবং শিল্পচর্চা ছেড়ে বিকল্প পেশা খুঁজছেন। এ সময়ে আসা বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রের নতুন নীতিমালা মেনে অর্থবহ সিনেমা তৈরি প্রায় অসম্ভব। এ ধরনের কড়াকড়ি কার্যত সিনেমা নিষিদ্ধের মতোই বলে মনে করছেন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা।

সিনেমা নির্মাণের পরিবেশ উন্নত ও সহজ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করা যেখানে জরুরি সেখানে সিনেমা তৈরির পথ রুদ্ধ করে দেওয়া কাম্য নয়।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আজ বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-বেলজিয...

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ছে 

জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলায় ত...

বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ ২য় স্থানে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বে বায়ুদূষণ...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আজ সারা দিনের আবহাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে অস্থায...

আজ বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-বেলজিয...

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ছে 

জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলায় ত...

বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ ২য় স্থানে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বে বায়ুদূষণ...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আজ সারা দিনের আবহাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে অস্থায...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা