খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন
নাম করা জনপ্রিয় একটি ক্লাবে এতো লোকজনের মাঝে যৌন নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা করা কীভাবে সম্ভব? ওই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। পরিবেশ এবং দৃষ্টি নন্দন স্থাপনার জন্য প্রচুর লোক সমাগম। শুনেছি রাত ১টা পর্যন্ত ভিড় থাকে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনি ঠাণ্ডা মাথার অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি। এর আগেও তিনি নাম করা অন্য একটি ক্লাবের পর পর কয়েকবারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
ক্লাব কালচারে নারীদের অতীব সম্মানের সাথে দেখা হয়। ক্লাবে যে কোন নারীর সাথে অসদাচরণ মানে ব্ল্যাক বল পাওয়া অর্থাৎ ক্লাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া। কোন কোন ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকার মেম্বারশিপ নিমিষেই বাজেয়াপ্ত ঘোষণা।
যে কোন নারীর সাথে বাজে ব্যবহার ক্লাবের রেপুটেশনের জন্য হানিকর। তার মত অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তির পক্ষে এতো কাঁচা কাজ কেমনে সম্ভব? সব পুরুষ ধোঁয়া তুলসী পাতা বলছি না, কিন্তু সত্যি সত্যি কেউ চাইলে বা মিন করলে তার জন্য ঢাকা শহরে জায়গার অভাব তো নেই।
ক্লাব মানে জনসম্মুখ, হাজার হাজার জনতা, দেশের সব শ্রেণ-িপেশার লোকদের উপস্থিতি। যে কোন ঘটনা নিমিষেই পুরো দেশ তথা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যায়। তিনি নিজে অনেকগুলো ক্লাবের মেম্বার এবং ক্লাব কালচারে অভ্যস্ত ব্যক্তি। সামাজিক কোন ক্লাবে কোনদিন বিন্দুমাত্র নোংরামি দেখিনি।
ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের প্রশ্নই উঠে না। সামান্য টোন করাকে নোংরা ইঙ্গিত ধরে নিয়ে সেখানে গর্হিত অপরাধ বলে বিবেচিত। তবে মিছেই কেন মেয়েটির সাথে খারাপ ব্যবহার করবে? জোর করে ওর গলায় মদ ঢেলে দেবে?
কেবল ধর্ষকের নাম শুনে না যেই সোশ্যাল ক্লাবের কথা বর্ণনা করা হয়েছে অর্থাৎ ক্লাব লাউঞ্জে ধর্ষণ অসম্ভব বলে মনে করি। সেখানে ক্লাব মেম্বার ছাড়াও শত শত কর্মচারী, সিকিউরিটিতে ভরপুর। ঘটনাটি নিয়ে আমি কনফিউজড, দ্বিধায় ভুগছি। পুরো ব্যাপারটি ধোঁয়াশায় ঘেরা।
তবে মেয়েটি যদি মানসিক এবং শারীরিক যে কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে তার জন্য আমার সমবেদনা এবং সহানুভূতি থাকবে।
লেখক: খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন
সম্পাদক, পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ