সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ বুধবার (২০ মার্চ) ৬ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ রমজান ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
ঘটনাবলী:
১৬৮৬ - কলকাতার সুতানটি গ্রামে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৭৩৯ - নাদির শাহ দিল্লি দখল করেন।
১৮১৪ - যুবরাজ উইলিয়াম ফ্রেডরিক নেদারল্যান্ডসের রাজা হন।
১৯৩৫ - ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান’র জন্ম
জন্মদিন:
১৪৯৭ - আটাওয়ালপা, ইনকা সম্রাট।
১৬১৫ - মোঘল সম্রাট শাহজাহানের প্রথম পুত্র দারাশিকো।
১৮২৮ - হেনরিক ইবসেন, একজন নরওয়েজীয় নাট্যকার যিনি আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের সূত্রপাত করেছেন।
১৮৪২ - গুরুপ্রসাদ সেন, পূর্ববঙ্গের অধুনা বাংলাদেশের প্রথম এম.এ. এবং বিহারের প্রথম ইংরাজী দৈনিক 'বিহার হেরল্ড' এর প্রতিষ্ঠাতা। (মৃ.১৯০০)
১৯২০ - চিন্ময় লাহিড়ী, বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। (মৃ.১৯৮৪)
১৯২৯ - বাংলা ছড়ার গানের যশস্বী কণ্ঠ শিল্পী সনৎ সিংহ। (মৃ.২০১৩)
১৯৬৬ - অলকা যাজ্ঞিক, ভারতীয় নেপথ্য গায়িকা।
১৯৮৯ - তামিম ইকবাল, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
আরও পড়ুন: আণবিক শক্তি কমিশন গঠিত
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৯২৫ - জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন উপনিবেশ ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়। (জ.১৮৫৯)
১৯২৬ - কাজী ইমদাদুল হক, ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি কবি। (জ.১৮৮২)
১৯৪৪ - মন্মথনাথ ঘোষ (বিদ্যাবিনোদ), বাঙালি শিল্পোদ্যোগী ও সাহিত্যিক। (জ.১৮৮৩)
১৯৬২ - বীরেশচন্দ্র গুহ, ভারতের প্রখ্যাত প্রাণরসায়ণ বিজ্ঞানী। (জ.১৯০৪)
১৯৭৩ - শ্যামাপদ গোস্বামী, প্রখ্যাত বাঙালি সাঁতারু। (জ.১৯০৫)
১৯৮৮ - অখিলবন্ধু ঘোষ, বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী। (জ.১৯২০)
১৯৯১ - রমা চৌধুরী, ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি শিক্ষাবিদ ও লেখিকা। (জ.১৪/১০/১৯৪১)
১৯৯৩ - বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক। (জ.৩১/০৭/১৯০৪)
২০১৩ - বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সিঙ্গাপুরে পরলোকগমন।
২০১৪ - ভারতের বিখ্যাত রম্যলেখক ও সাংবাদিক খুশবন্ত সিং। (জ.১৯১৫)
২০১৭ - লেখিকা অধ্যাপক জুবাইদা গুলশান আরা।
২০২০ - পি. কে. ব্যানার্জি নামে সুপরিচিত ভারতীয় ফুটবলার ও প্রশিক্ষক প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। (জ.১৯৩৬)
আরও পড়ুন: লিপ ডে, বছরের অতিরিক্ত একটি দিন
দিবস:
আন্তর্জাতিক সুখ দিবস।
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী দিবস। (খালেদা জিয়া)
বিশ্ব মৌখিক স্বাস্থ্য দিবস। (২০১৩)
আজ ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে বা বিশ্ব মৌখিক স্বাস্থ্য দিবস। মুখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, মুখের রোগের জন্য দায়ী বিভিন্ন ঝুঁকির কারণ কমাতে এবং মুখের সার্বিক সেবা দেয়ার জন্য প্রতি বছর ২০ মার্চ ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশেও এ দিনটিকে বিভিন্নভাবে পালন করা হয়।
মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পূর্বশর্ত হলো মুখ পরিষ্কার রাখা। মুখ পরিষ্কার রাখতে মুখে যেসব সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আমাদের শরীরের সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে মুখ প্রথম সারিতে থাকে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব চিন্তা দিবস
সঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার না করার কারণে প্রায়ই আমাদের মুখে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সেসব সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই আজকের এ বিশ্ব মৌখিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে।
১০ টি উন্নত দেশে পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা গেছে, দাঁতের সুরক্ষার জন্য বাচ্চাদের ঠাণ্ডা পানীয় ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখেন অর্ধেকেরও কম অভিভাবক। যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এ সমীক্ষায় উত্তরদাতা অভিভাবকদের ৩২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা তাদের বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় চিনিযুক্ত খাবার ও ঠান্ডা পানীয়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বেতার দিবস
বছরে কমপক্ষে একবার সন্তানদের দাঁতের চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া উচিত। অল্প বয়স থেকেই মৌখিক স্বাস্থ্য সমস্যা এড়িয়ে চলা উচিত। মুখের রোগকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভ্যাস থেকেই বোঝা যায় আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা একেবারেই তলানিতে।
ইউনিসেফের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বে যে বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি চিনিযুক্ত পানীয় খেয়ে থাকে তাদের ওজন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ১৯৭৫ সালে ২০ জনের মধ্যে ১ জন এ সমস্যায় ভুগত। এখন ৫ জনের মধ্যে ৪ জন শিশু এ রোগে আক্রান্ত।
সুতরাং নিজের ও সন্তানের মৌখিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। ব্রাশ করার সময় কয়েকটি ভুল প্রায় সকলেই করে থাকেন, সেসব ক্ষেত্রে সচেতন হন৷
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠা
দাঁত ব্রাশ করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেমন- আড়াআড়িভাবে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতে ঘর্ষণ হয়। উল্লম্বভাবে অর্থাৎ উপর নিচে ব্রাশ করুন। খাবারের অংশ সাধারণত মাড়ি আর দাঁতের সংযোগস্থলে জমা হয়।
তাই ব্রাশ এমনভাবে করা উচিত যা মাড়ির প্রান্ত থেকে দাঁতের ডগা পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে ওই জমে থাকা খাবারের অংশ সরাতে সাহায্য করে। আড়াআড়িভাবে ব্রাশ করলে ওই জমে থাকা অংশ আরও ভেতরে ঢুকে যেতে পারে।
সাধারণত ব্রাশ করার সময় ব্রাশ করার দিকে আমরা কেউই মনোযোগ দিই না। ভালো করে মন দিয়ে ব্রাশ করুন, কোন কোন অংশ বাদ পড়ে যাচ্ছে তা খেয়াল রাখুন।
সান নিউজ/এনজে