নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: শহীদ আসাদ দিবস
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ১৮ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রজব ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: রানী ভিক্টোরিয়ার প্রয়াণ
ঘটনাবলী:
১৭২৬ - হেনরি লায়লের সভাপতিত্বে কলকাতায় প্রথম ফোর্ট উইলিয়ামে "মেয়র'স কোর্ট" স্থাপিত হয়।
১৮২৭ - কলকাতা শহরে বেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৩১ - বুশ ক্লাবের উদ্যোগে কলকাতা শহরে প্রথম চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।
১৮৩৬ - চার্লস মেটকাফ প্রেস আইন বলবৎ করেন।
১৮৫৫ - কলকাতা থেকে আগ্রা পর্যন্ত টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
১৮৬২ - বঙ্গীয় আইনসভার (বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল) প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮৬৫ - মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের স্বাক্ষর।
১৮৭১ - ভারতে বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষয়িত্রীর অভাব দূর করার জন্য ভারত সংস্কার সভার উদ্যোগে কলকাতার পটলডাঙায় একটি শিক্ষয়িত্রী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
১৮৮৪ - অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারীর ১ম খণ্ড (এ টু এন্ট) প্রকাশিত।
১৮৯৩ - টমাস আলভা এডিসন ১ম চলচ্চিত্র স্টুডিও ব্ল্যাক মারিয়া'র অবকাঠামো নির্মাণ নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট অরেঞ্জে শেষ করেন।
১৮৯৭ - দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাচীনতম ব্যাংক হিসেবে শিনহান ব্যাংক সিউলে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
১৯০৫ - বারাসত-বসিরহাট রেলপথ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
১৯০৮ - পর্তুগালের রাজা প্রথম কার্লোস এবং তার পুত্র যুবরাজ লুইস ফিলিপ লিসবনের তেরিরো ডো প্যাকোতে নিহত।
১৯১৮ - রাশিয়া গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী গ্রহণ করে।
১৯২০ - রাজকীয় ক্যানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
১৯২৪ - যুক্তরাজ্য সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৪২ - ভয়েস অব আমেরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৬ - নরওয়ের অধিবাসী ট্রিগভে হাভডেন লি জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রপুঞ্জের ১ম মহাসচিবের পদে আসীন হন।
১৯৫৩ - কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরির জাতীয় গ্রন্থাগার নামকরণ হয় এবং এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
১৯৬৫ - স্যার উইনস্টন চার্চিলের সম্মানে কানাডার ল্যাব্রাডরে অবস্থিত হ্যামিল্টন রিভারের নামকরণ করা হয় চার্চিল রিভার।
১৯৬৮ - কানাডার তিনটি সামরিক সংস্থা - দ্য রয়েল কানাডিয়ান নেভী, দ্য কানাডিয়ান আর্মি এবং দ্য রয়েল কানাডিয়ান এয়ারফোর্স একত্রিত হয়ে কানাডিয়ান ফোর্সেস হয়।
১৯৭০ - ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে এই দিনে সরকারিকরণ করে তৎকালীন সরকার।
১৯৭২ - প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় সেনেগাল।
১৯৭৯ - ১৫ বছর নির্বাসন শেষে ইরানের তেহরানে আধ্যাত্মিক নেতা রুহুল্লাহ্ খামেনেই'র প্রত্যাবর্তন।
১৯৯৯ - ভূপালের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ইউনিয়ন কার্বাইডের সাবেক সিইও ওয়ারেন এন্ডারসনকে ভারতীয় আইনে আটকের নির্দেশ প্রদান।
২০০৪ - পদাঘাতে সৌদী আরবে ২৫১ জন হজ্বযাত্রী নিহত ও ২৪৪ জন গুরুতর আহত।
২০২১ - মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে আটকের পর জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ চৌধুরী’র জন্ম
জন্মদিন:
১৫৬১ – হেনরি ব্রিগস, ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ। (মৃ. ১৬৩০)
১৮৯৪ – জন ফোর্ড, মার্কিন পরিচালক ও প্রযোজক। (মৃ. ১৯৭৩)
১৯০২ - অনিলকুমার দাস,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী। (মৃ.১৯৬১)
১৯০৫ – এমিলিও জিনো সেগরে, নোবেল বিজয়ী ইতালীয়-মার্কিন পদার্থবিদ ও অধিবিদ্যাবিৎ। (মৃত্যু: ১৯৮৯)
১৯০৭ - গোবিন্দ চন্দ্র দেব, বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবী।
১৯০৯ - ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য,ভারতীয় বাঙালি শিশু সাহিত্যিক ও কল্পবিজ্ঞানের লেখক। (মৃ.১৯৯০)
১৯১৮ - শামসুল হক, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
১৯২২ - শক্তিপদ রাজগুরু, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক।(মৃ.২০১৪)
১৯২৮ - কৃষ্ণ ধর বাঙালি কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯৩০ - অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী। (মৃ.২২/০৬/২০২০)
১৯৩০ - শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের ত্রয়োদশ ও পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি ও ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি।
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ - ১৯ মার্চ ২০২২) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং ২ বার দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপতি।
তিনি প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসাবে এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা-কালীন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৫ বছরের মেয়াদে নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য প্রশংসিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাজী শরীয়তুল্লাহ’র প্রয়াণ
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ। তিনি একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
শাহাবুদ্দিন নান্দাইলে তার বোনের বাড়িতে বড় হন। তার সহধর্মিণী আনোয়ারা আহমদ গত ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
আরও পড়ুন: জহির রায়হান’র প্রয়াণ
সাবেক এই রাষ্ট্রপতির ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বড় মেয়ে অধ্যাপক ড. সিতারা পারভিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
দ্বিতীয় মেয়ে শাহানা স্মিথের বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ছোট মেয়ে সামিয়া পারভীন একজন স্থপতি। তিনি বাস করেন যুক্তরাজ্যে। বড় ছেলে শিবলী আহমদ একজন পরিবেশ প্রকৌশলী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি ছোট ছেলে সোহেল আহমেদ এর সাথে ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান দিবস
শাহাবুদ্দিন ১৯৪৫ সালে নান্দাইলের চন্ডীপাশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৪৮ সালে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৪ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানি সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রথমে লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমি এবং পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাকশাল ব্যবস্থার প্রবর্তন
শাহাবুদ্দিন আহমেদের কর্মজীবনের সূচনা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে। এরপর তিনি গোপালগঞ্জ ও নাটোরের মহকুমা কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সহকারী জেলা প্রশাসক হিসাবে পদোন্নতি পান।
এরপর ১৯৬০ সালে তিনি প্রশাসন হতে বিচার বিভাগে বদলি হন। তিনি ঢাকা ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তাকে ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস
১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের বেঞ্চে তাকে বিচারক হিসেবে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৩-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তাকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়।
১৯৮০ সনের ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ঢাকা ল রিপোর্ট, বাংলাদেশ লিগ্যাল ডিসিসন এবং বাংলাদেশ কেস রিপোর্টসে তার প্রচুরসংখ্যক রায় প্রকাশ করা হয়।
চাকুরিসম্পর্কিত, নির্বাচন নিয়ে কলহ, শ্রম ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক ইত্যাদি কেসে তার গৃহীত বিচারের রায় বহুল সমাদৃত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ৮ম সংশোধনী সম্পর্কিত কেসে তার দেয়া রায় যুগান্তকারী এবং বাংলাদেশের সংবিধানের পরিশোধনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।
আরও পড়ুন: মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৩ সালের মধ্য-ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে বেশ কিছু লোক নিহত এবং অনেক লোক আহত হয়েছিল। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সেই ঘটনার তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
শাহাবুদ্দিন আহমেদের রাজনীতিতে আসাটা কিছুটা নাটকীয়। ৫ ডিসেম্বর ১৯৯০, মওদুদ আহমেদ উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হন।
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হবার পর, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শূন্য রাষ্ট্রপতির পদে এবং নির্বাচন হবার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানরূপে কে আসীন হবেন তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছিল না।
আরও পড়ুন: স্ট্যালিনের জন্ম, মান্টোর প্রয়াণ
এক দল অন্য দলের প্রার্থীর প্রতি অনাস্থা পোষণ করছিল। অবশেষে যখন বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নাম এলো,তখন দুটি দলই ঐকমত্য পোষণ করল যে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন-ই একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ বাংলাদেশের ৫ম জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের পর তিনি আবার তার মূল পদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আওয়ামী লীগের দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদে মনোনয়নের পর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
যদিও সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খুবই সীমিত, তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার সততা এবং প্রজ্ঞা দ্বারা বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান জয় করেন। ১৪ নভেম্বর, ২০০১ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ হতে অবসর গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: মার্টিন লুথার কিং’র জন্ম
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নির্দলীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জননিরাপত্তা আইন নামের একটি বিতর্কিত আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সই করতে অস্বীকৃতি জানান। সেকারণে তার সাথে তৎকালীন সরকার এবং আওয়ামী লীগের তিক্ততা তৈরি হয়েছিল।
পরবর্তীতে সে সম্পর্কের আর উন্নতি ঘটেনি। ২০১৬ সালে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে সরকারি প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে চাওয়ায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের অনেকের বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি।
উনি নিজেকে যতদূর সম্ভব সরকারি বাধা-নিষেধের প্রভাব মুক্ত করে কিছু কথা বলেছিলেন, দেশের কল্যাণের জন্য। এই ধরনের কথা তিনি বলেছিলেন এবং কাজ তিনি করেছিলেন, তাতে পরবর্তীকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কিছুটা রূষ্টই হয়েছিল।
তিনি ২০২২ সালের ১৯ মার্চ, সকাল ১০ টা ২৮ মিনিটে ৯২ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩০ - হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, সামরিক শাসক ও বাংলাদেশের দশম ও দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি।
১৯৩১ - ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশের অষ্টাদশ রাষ্ট্রপতি।
১৯৩৩ - আতাউর রহমান খান খাদিম, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ।
১৯৩৩ - খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ।
১৯৫৫ - আহমেদ জহুর, কবি, সাংবাদিক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৬৯ - গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, আর্জেন্টাইন ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৬৯ - ফ্রাঙ্কলিন রোজ, জ্যামাইকান ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৯৭২ - ক্রিস্টিয়ান জিগে, জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮১ - গ্রেইম স্মিথ, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৯৮২ - শোয়েব মালিক, পাকিস্তানি ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৯৮৪ - ড্যারেন ফ্লেচার, স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৭ - মইসেস হেনরিকুইস, পর্তুগিজ-অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৯৮৭ - রোণ্ডা রাউজি, মার্কিন মিশ্র মার্শাল শিল্পী, পেশাদার কুস্তিগীর ও অভিনেত্রী।
১৯৯৪ - হ্যারি স্টাইলস, ইংরেজ গায়ক ও গীতিকার।
২০০৩ - মো. মিসাদ আলী, কবি ও সাহিত্যিক।
আরও পড়ুন: নীলিমা ইব্রাহিম’র জন্ম
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৯৪৮ - যতীন্দ্রমোহন বাগচী, ভারতীয় বাঙালি কবি। (জ.২৭/১১/১৮৭৮)
১৯৫৮ - ক্লিনটন জোসেফ ডেভিসন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৭৬ - ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, নোবেল বিজয়ী জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী।
১৯৮২ - ভারতের সাঁওতালি ভাষার অলচিকি লিপির বর্ণমালার আবিষ্কর্তা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু র প্রয়াণ দিবস। (জ.০৫/০৫/১৯০৫)
১৯৮৩ - পদ্মা দেবী, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী। (জ.১৯১৭)
২০০৩ - প্রথম ভারতীয় মহিলা মহাকাশচারী ও প্রকৌশলী কল্পনা চাওলা প্রয়াত হন। (জ.০১/০৭/১৯৬১)
আরও পড়ুন: সূর্যসেনের ফাঁসি হয়
দিবস:
বিশ্ব হিজাব দিবস ৷
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সান নিউজ/এনজে