নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান দিবস
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ১১ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৩ রজব ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: রানী ভিক্টোরিয়ার প্রয়াণ
ঘটনাবলী:
১৪৯৪ - প্রথম ফার্দিনান্দের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় আলফনসো নেপলসের রাজ সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৬৬২ - ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর জাঞ্জিবারে স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করে।
১৮০২ - ফ্রান্সের নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
১৮৩১- - পোল্যান্ডের স্বাধীনা ঘোষণা করা হয়।
১৮৭১ - জার্মানির চিকিৎসক হানসেন কুষ্ঠ রোগের জীবাণু আবিষ্কার করেন।
১৮৯০ - নেলি ব্লে তার বিশ্বভ্রমণ শেষ করেন, সময় লেগেছিল ৭২ দিন।
১৮৯৯ - প্রথম রেডিও প্রস্তুতকারী কোম্পানি চালু হয়।
১৯১৫ - আলেকজান্ডার গ্রাহামবিল ইউএস ট্রান্সকন্টিনেন্টাল টেলিফোন সার্ভিস উদ্বোধন করেন। নিউ ইয়র্ক থেকে কথা বলেন সানফ্রান্সিসকোতে টমাস ওয়াস্টনের সঙ্গে।
১৯১৭ - ২৫ মিলিয়ন ডলারে যুক্তরাষ্ট্র ড্যানিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রয় করে।
১৯১৮ - ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে বলশেভিক রাশিয়া থেকে আলাদা হয়।
১৯১৯ - লিগ অব ন্যাশনস্-এর প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৪২ - থাইল্যান্ড জাপান একজোট হয়ে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪৮ - সত্যেন্দ্রনাথ বসু কলকাতায় বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৫০ - ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
১৯৫৫ - সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে।
১৯৬৩ - জুম্মার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মত বাইতুল মোকারম জামে মসজিদে নামাজ পড়া হয়।
১৯৬৪ - পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয়।
১৯৬৫ - ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘ ত্যাগ করে।
১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় চেকোস্লাভিয়া ও টোঙ্গা।
১৯৭৫ - চতুর্থ সংশোধনী পাস করে বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির বদলে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির সরকার কায়েম হয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
১৯৭৫ - বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) ব্যবস্থার প্রবর্তন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী উত্থাপন করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে প্রচলিত সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বাতিল করে বাকশাল ব্যবস্থা চালু করা হয়। সংসদে উত্থাপনের মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এই বিল সংসদে পাশ হয়। বাকশাল ব্যবস্থা ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা।
১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যান্য রাজনৈতিক দল ভেঙে দিয়ে 'বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ' (বাকশাল) নামে জাতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এই দলের চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু নিজে এবং সম্পাদক হন এম মনসুর আলী।
আরও পড়ুন: হিন্দু কলেজ স্থাপিত
বাকশাল ব্যবস্থার অধীনে কোন অদলীয় শ্রেণী ও পেশা ভিত্তিক সংগঠন এবং গণসংগঠন করার কোন অধিকার নেই। ট্রেড ইউনিয়ন মাত্রই তাকে বাকশালের অঙ্গদল শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
এ ব্যবস্থায় জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ এবং জাতীয় ছাত্রলীগ বাদে কোন শ্রমিক, কৃষক, মহিলা, যুব ও ছাত্র সংগঠন থাকতে পারবে না। উপরিউক্ত সংগঠনগুলি হচ্ছে বাকশালেরই অঙ্গ সংগঠন (অষ্টাদশ ধারা)।
আরও পড়ুন: মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত
যদিও ১৫ আগস্টের পর বাকশালের কুশীলবরা "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" নামে পুনরায় রাজনীতিতে আসেন তবুও বাকশাল ১৯৮৬ সালে "নৌকা" এবং ১৯৯১ সালে "বাইসাইকেল" প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। পরবর্তীতে দলের বেশীরভাগ সদস্য আওয়ামী লীগে যোগ দিলে দলটি চূড়ান্তভাবে বিলুপ্ত হয়।
৬ জুন, ১৯৭৫ বাকশাল ব্যবস্থায় দেশে ৪ টি দৈনিক ছাড়া আর সকল সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়। ঐ ৪ টি ছিল- দৈনিক ইত্তেফাক, দ্য বাংলাদেশ টাইমস, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ অবজারভার।
বাকশাল গঠনের অব্যবহতি পরে ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে খুন হলে এ প্রক্রিয়া থেমে যায়।
১৯৭৯ - চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক অনন্ত সিংয়ের মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: স্ট্যালিনের জন্ম, মান্টোর প্রয়াণ
জন্মদিন:
৭৫০ - বাইজেন্টাইন সম্রাট চতুর্থ লিও খাজার।
১৭৩৬ - ইতালীয় ফরাসি গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোসেফ-লুইস লাগ্রাঙ্গে।
১৭৫৯ - স্কটিশ কবি ও গীতিকার রবার্ট বার্নস।
১৮২৪ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত - বাঙালি কবি ও নাট্যকার। (মৃ.২৯/০৬/১৮৭৩)
১৮৫০ - অর্ধেন্দুশেখর মুস্তফি বাঙালি অভিনেতা, নাট্য লেখক এবং মঞ্চ ব্যক্তিত্ব। (মৃ.০৫/০৯/১৯০৮)
১৮৫৬ - অশ্বিনীকুমার দত্ত, বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক। (মৃ.০৭/১১/১৯২৩)
১৮৬৩ - মানকুমারী বসু বাংলার সর্বজনবিদিত অন্যতম মহিলা কবি ও লেখিকা। (মৃ.২৬/১২/১৯৪৩)
১৮৭৪ - সাহিত্যিক ও নাট্যকার সমারসেট মম। (মৃ.১৬/১২/১৯৬৫)
১৮৮২ - বিখ্যাত ইংরেজ মহিলা কথাশিল্পী ভার্জিনিয়া উলফ। (মৃ.২৮/০৩/১৯৪১)
১৮৮৪ - রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় , ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ, জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্ব। (মৃ.০৯/০৯/১৯৬৩)
১৯১৭ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাশিয়ান রসায়নবিদ ইলিয়া প্রিগোগিনে।
১৯২৩ - আরভিড কার্লসন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ ফার্মাকোলজিস্ট ও চিকিৎসক।
১৯৩৪ - আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ এবং ভাষাসৈনিক।
১৯৪২ - ইউসেবিও, প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার।
১৯৪৭ - টোস্টাও, প্রাক্তন ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
১৯৪৯ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ জেনেটিসিস্ট ও জীববিজ্ঞানী স্যার পল ম্যাক্সিম নার্স।
১৯৬৭ - ফরাসি সাবেক ফুটবলার ও অভিনেতা ডেভিড গিনলা।
১৯৭৮ - রাশিয়ান সাইক্লিস্ট ডেনিস ম্যানচভ।
১৯৮৪ - রবিনিয়ো, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
আরও পড়ুন: সূর্যসেনের ফাঁসি হয়
মৃত্যুবার্ষিকী:
৪৭৭ - ভান্ডালসের রাজা গেন্সেরিক।
১৮৫২ - রাশিয়ান এডমিরাল মানচিত্রাঙ্কনবিদ ও এক্সপ্লোরার ফেবিয়ানগটলিয়েব ভনবেলিংশাউসেন।
১৮৬৮ - রামগোপাল ঘোষ, ইয়ং বেঙ্গল গ্রুপের নেতা, সফল ব্যবসায়ী, বাগ্মী ও সমাজ সংস্কারক।
১৯০৮ - ইংরেজ লেখক অউইডা।
১৯৫৪ - মানবেন্দ্র নাথ রায়, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। (জ.২১/০৩/১৮৮৭)
১৯৫৭ - আমাশয় রোগের জীবাণু আবিষ্কারক জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশি।
১৯৭৯ - অনন্ত সিং, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের অন্যতম নায়ক এবং রাজনীতিবিদ। (জ.০১/১২/১৯০৩)
১৯৮২ - রাশিয়ান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ মিখাইল সুসলভ।
১৯৯০ - আমেরিকান অভিনেত্রী আভা গার্ডনের।
২০০৪ - হাঙ্গেরিয়ান ফুটবলার মিক্লস ফেহের।
২০০৫ - আমেরিকান স্থপতি ফিলিপ জনসন।
২০১০ - ইরাকি জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলী হাসান আল-মজিদ।
২০১৫ - গ্রিক গায়ক, গীতিকার ও খাদ প্লেয়ার ডেমিস রউসোস।
২০২১ - বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম নৌপ্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক (অব.)। (জ. ১২/০১/১৯৩৬)ৎ
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান
দিবস:
জাতীয় মতদাতা দিবস। (ভারত)
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সান নিউজ/এনজে