নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: সুচিত্রা সেন’র প্রয়াণ
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ৪ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৬ রজব ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’র প্রয়াণ
ঘটনাবলী:
৪৭৪ - দ্বিতীয় লিও এক বছরের থেকেও কম সময়ের জন্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন।
১৪৮৬ - এলিজাবেথ অব ইয়র্কের সঙ্গে ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৫৩৫ - স্পেনীয় দখলদার (Spanish conquistador) ফ্রান্সিস্কো পিজারো পেরুর রাজধানী, লিমা আবিষ্কার করেন।
১৬৪২ - প্রথম ইউরোপীয় হিসাবে আবেল তাসমান নিউজিল্যান্ডে পা রাখেন।
১৬৭০ - ওয়েল্শ্ অ্যাডমিরাল স্যার হেনরী মোরগেন পানামা দখল করেন।
১৭০১ - প্রথম ফ্রেডরিক প্রুশিয়ার রাজা হন।
১৭৭৮ - ইংরেজ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুক হাওয়াই দ্বীপ আবিষ্কার করেছিলেন।
১৮৬২ - বঙ্গীয় আইন পরিষদ গঠিত হয়।
১৮৭১ - ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদে প্রথম ভিলহেল্ম জার্মানীর প্রথম সম্রাট ঘোষিত হন।
১৯১২ - বৃটিশ অভিযাত্রী রবার্ট ফ্যালকন স্কট দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করেন। তিনি প্রথম দক্ষিণ মেরুতে পর্দাপন করেছিলেন বলে প্রথমে ভাবলেও পরে বুঝতে পারেন তার ভুল হয়েছে।
১৯১৯ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধ - ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে প্যারিস শান্তি সম্মেলন শুরু হয়।
১৯৩৮ - সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন।
১৯৪৪ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ - সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনী রাশিয়ার লেনিনগ্রাড শহরটিকে নাৎসি জার্মান বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি করে।
১৯৪৮ - হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা বন্ধ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গান্ধী তার ১২১ ঘণ্টার অনশনের অবসান ঘটিয়েছিলেন।
১৯৫০ - ভারত ধর্মনিরপেক্ষ গণরাষ্ট্র হিসাবে ঘোষিত হয়।
১৯৫৬ - জাপান জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৭৮ - নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাজ্য সরকার ইউরোপের মানবাধিকার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়।
১৯৭৯ - ইরানের বিপ্লবী জনগণ স্বৈরচারী শাহ সরকারের শেষ প্রতিনিধি অর্থাৎ শাপুর বখতিয়ারের সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ করে।
১৯৯৭ - একাকী এবং কারো সাহায্য ছাড়াই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড।
১৯৯৮ - দ্রুজ রিপোর্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও মনিকা লিউনস্কির সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়।
২০০২ - সিয়েরালিয়নে গৃহযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২০০৬ - সংযুক্ত আবর আমিরাতে প্রথম কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মার্টিন লুথার কিং’র জন্ম
জন্মদিন:
৮৮৫ - ডাইগো, জাপানের সম্রাট।
১৮৪২ - মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে,প্রখ্যাত ভারতীয় বিচারপতি, লেখক ও সমাজ সংস্কারক।
১৮৫৪ - টমাস আউগুস্তুস ওয়াটসন, একজন আমেরিকান যিনি আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের সহকারী ছিলেন এবং টেলিফোন আবিষ্কারের অন্যতম প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃত।
১৮৬৭ - নিকারাগুয়ার কবি রুবেন দারিওর।
১৮৭৮ - সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন।
জোসেফ স্তালিন বা ইওসিফ ভিসসারিওনোভিচ স্তালিন, যিনি জোসেফ স্তালিন নামেই সমধিক পরিচিত, একজন জর্জীয় সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯২৪-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাসে দীর্ঘতম নেতা।
লেনিনের মৃত্যুর পর তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হন (১৯২২-১৯৫২) এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রীপরিষদের চেয়ারম্যান (১৯৪১-১৯৫৩) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে জাতীয় শোক পালন
প্রথমদিকে সম্মিলিত নেতৃত্বের অংশ হিসেবে দেশ পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে ১৯৩০’র দশকে তিনি সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন। আন্তঃযুদ্ধ যুগের সব থেকে আলোচিত সমাজতান্ত্রিক ব্যাক্তিত্বদের একজন ছিলেন তিনি। তিনি স্তালিনবাদ এবং সোভিয়েত সাম্রাজ্যবাদের প্রবক্তা।
স্তালিন সোভিয়েত ইউনিয়নে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অর্থনীতি ব্যবস্থার প্রচলন করেন। তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় সবটুকুই অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর ছিল। স্তালিনের দ্রুত শিল্পায়ন ও কৃষিকার্যের যৌথীকরণের মাধ্যমে পুরো দেশটি অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়।
কিন্তু একই সময়ে অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের দরুন বহু মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়। ১৯৩০-এর দশকে স্তালিন নিজের ক্ষমতা শক্ত করবার জন্য নিপীড়ন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান
ফলে কমিউনিস্ট পার্টির শত্রু সন্দেহে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়, বা সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ার শ্রম শিবিরে নির্বাসিত করা হয়। রাশিয়ার অনেক জাতিগোষ্ঠীকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উৎখাত করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।
স্তালিনের শাসনকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয় এবং নাৎসি জার্মানির পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্তালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বের দুই পরাশক্তির একটিতে পরিণত হয়, যা ৪০ বছর পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত থাকে
১৮৮২ - এ. এ. মিলনে, ইংরেজ লেখক, কবি ও নাট্যকার।
১৯০৩ - প্রখ্যাত রসায়নবিদ,গবেষক ও লেখক দুঃখহরণ চক্রবর্তী। (মৃ.২৪/০৯/১৯৭২)
১৯১৭ - আজিজুর রহমান, বাংলাদেশী কবি এবং গীতিকার।
১৯২১ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি আমেরিকান পদার্থবিদ ইয়োইচিরো নাম্বু।
১৯৩৫ - মমতাজউদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশি নাট্যকার ও অভিনেতা।
১৯৩৭ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ জন হিউম।
১৯৪৫ - মোনাজাত উদ্দিন, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশী সাংবাদিক। (মৃ. ১৯৯৫)
১৯৪৯ - স্থবির দাশগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ। (মৃ.২০২৩)
১৯৫৪ - পার্থ প্রতিম মজুমদার, প্রখ্যাত মূকাভিনয় শিল্পী।
১৯৬০ - মার্ক রাইল্যান্স, ইংরেজ অভিনেতা, মঞ্চ পরিচালক এবং নাট্যকার।
১৯৮৪ - জাপানি ফুটবলার মাকটো হাসেবে।
১৯৮৮ - জার্মান টেনিস খেলোয়াড় আঙ্গেলিকুয়ে কেরবের।
১৯৯০ - বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের সঙ্গীত শিল্পী হৃদয় খান।
আরও পড়ুন: সূর্যসেনের ফাঁসি হয়
মৃত্যুবার্ষিকী:
৪৭৪ - প্রথম লিও, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট।
১৩৬৭ - প্রথম পিটার, পর্তুগালের রাজা।
১৬৭৭ - জান ভান রিয়েবেক, ডাচ রাজনীতিবিদ ও কেপ টাউনের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৬২ - জন টাইলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশম রাষ্ট্রপতি।
১৯৩৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ লেখক ও কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং। (জ.৩০/১২/১৮৬৫)
১৯৪৭ - কুন্দনলাল সায়গল, ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা। (জ.১১/০৪/১৯০৪)
১৯৫১ - যতীন্দ্রমোহন রায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। (জ.১৮৮৩)
১৯৫৫ - পাকিস্তানি লেখক ও চিত্রনাট্যকার সাদাত হাসান মান্টোর।
সাদত হাসান মান্টো ১৯১২ সালের ১১ মে পাঞ্জাব লুধিয়ানার পাপরউদি গ্রামের ব্যারিস্টার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মান্টোর পূর্ব পুরুষ কাশ্মিরী বংশোদ্ভূত ছিলেন। মান্টোর পিতা ছিলেন একজন আদালতের বিচারক। কঠোর শাসনেও মান্টো ছোটবেলা থেকে বোহেমিয়ান হয়ে ওঠেন।
লেখাপড়ার হাতে খড়ি অমৃতসরের মুসলিম হাই স্কুলে। কিন্তু স্কুলের গন্ডিতে তার মন প্রাণ হাঁপিয়ে উঠতো। পড়ালেখায় অমনোযোগীতার কারণে স্বভাবতই ২ বার এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন।
কিন্তু স্কুলের পাঠ্য বহির্ভূত গল্প-উপন্যাসের বই পড়ার প্রবল আগ্রহ তাকে তরুণ বয়সেই অমৃতসর রেল স্টেশনের হুইলার বুকস্টল থেকে বই চুরিতে প্রলুব্ধ করেছিলো। ১৯৩১ সালে কলেজে পাঠকালীন অবিভক্ত ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামের অশান্ত পরিবেশে মান্টোর লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটে।
আরও পড়ুন: নীলিমা ইব্রাহিম’র জন্ম
১৯৩২ সালে পিতার মৃত্যুর পর মান্টো আরো অসহায় হয়ে পড়েন। পরিবারের অর্থ কষ্ট লাঘবের জন্যে তখন থেকেই তিনি আয়-উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। সে সময় তার্কিক লেখক আবদুল বারি আলিগের সঙ্গে মান্টোর সাক্ষাৎ ঘটে। এই সাক্ষাৎ সাদত হাসান মান্টোর জীবনে একটি মাইলফলক।
তিনি একজন বেতার লিপি লেখক ও সাংবাদিকও ছিলেন। তার ছোট গল্পের সংকলন Kingdom's end and other stories, একটি উপন্যাস, ৩ টি প্রবন্ধ সংগ্রহ ও ব্যক্তিগত স্কেচের ২ টি সংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে। বোম্বাই চলচ্চিত্র জগত অর্থাৎ বলিউডে মান্টোর অজস্র কাজ রয়েছে।
বহু সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে প্রথম শ্রেনীর চিত্রাভিনেতা ও পরিচালকদের কাছে মান্টোর কদর ছিল। আট দিন, চল চলরে নওজোয়ান, মির্জা গালিব ইত্যাদি সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটিং তার কৃতিত্ব।
আরও পড়ুন: ১০ জানুয়ারি মহাবীরের ফেরা
মান্টো বিরুদ্ধে ৬ বার অশ্লীলতার অভিযোগে মামলা হয়। ভারতে ও পাকিস্তান ২ দেশেই তার গল্পকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় অশ্লীলতার অভিযোগে। তার বিটার ফ্রুট গল্পের জন্যে অশ্লীলতার অভিযোগে তাকে লাহোর আদালতে অভিযুক্ত হয়ে আসতে হয় ১৯৫০ সালের ২৯ আগস্ট।
সাদাত হাসান মান্টো আর্থিক দুরবস্থার কারণে ভাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি। স্বত:প্রবৃত্ত হয়ে তরুন আইনজীবী শেখ খুরশিদ আহমেদ (পরে পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী হন) ও আরও ৩ জন তরুন উকিল মান্টোর পক্ষে সওয়াল করেন।
তার গল্পে বোহেমিয়ান জীবন, সমাজের অন্ধকার জীবনের জটিলতা, মাতাল, পাগল, ভবঘুরে, পতিতারা ঘুরে ফিরে এসেছে। দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে জরিমানাও দিতে হয়েছে। তার অধিকাংশ কাজ পৃথিবীর বহুভাষায় অনূদিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবিনয় রায়ের’র জন্মদিন
সালমান রুশদি মান্টো সম্পর্কে বলেন "Undisputed master of modern Indian short story"। মান্টো নিজে বলতেন 'তাকে উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক বলা হলেও ক্লাসের পরীক্ষায় তিনি উর্দুতে কখনো পাশ করতে পারেননি'।
তার জীবনী নিয়ে পাকিস্তানে ২০১৫ সালে ' মান্টো' চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। ভারতেও ২০১৮ সালে নন্দিতা দাস তার জীবনের উপর নির্মাণ করেন একই নামের চলচ্চিত্র।
ক্রমাগত নিম্ন মানের সুরা পানে ‘মান্টো “লিভার সিরোসিস”-এ আক্রান্ত হন। তার জীবনযাত্রাও ছিল চূড়ান্ত বাউণ্ডুলে এবং বেপরোয়া।
শরীরের প্রতি অযত্ন, অপ্রতুল চিকিৎসা, আর্থিক অনটন ইত্যাদিতে জর্জরিত মান্টোর বেঁচে থাকার প্রবল আগ্রহ ব্যাধির কাছে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৫৫ সালের ১৮ জানুয়ারি তার অকাল প্রয়াণ ঘটে তার দ্বিতীয় আবাস ভূমি লাহোরে।
১৯৮৩ - মীরা দত্তগুপ্ত ,ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও জননেত্রী। (জ.০৫/১০/১৯০৬)
১৯৯২ - সুবোধকুমার চক্রবর্তী, রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত ভ্রমণকাহিনী লেখক। (জ.২৫/০৩/১৯১৯)
১৯৯২ - হামিদুল হক চৌধুরী, রাজনীতি ও আইনজীবী।
১৯৯৫ - আডল্ফ ফ্রিড্রিশ ইয়োহান বুটেনান্ড্ট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ।
১৯৯৬ - এন. টি. রামা রাও, ভারতীয় অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, রাজনীতিবিদ, অন্ধ্রপ্রদেশ-এর ১০তম মুখ্যমন্ত্রী। (জ.২৮/০৫/১৯২৩)
২০০৩ - হরিবংশ রাই বচ্চন, প্রখ্যাত ভারতীয় হিন্দি কবি। (জ.২৭/১১/১৯০৭)
২০১৭ - র্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট, ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট তারকা। (জ.১১/০৬/১৯৩৯)
২০১৮ - চন্ডী লাহিড়ী, প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট। (জ.১৩/০৩/১৯৩১)
২০২২ - নারায়ণ দেবনাথ, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী। (জ.১৯২৫)
সান নিউজ/এনজে