নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর সূচনা
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ১৮ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: আব্বাসউদ্দীন আহম’র প্রয়াণ
ঘটনাবলী:
১৪০৯ - জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৪৯২ - গ্রানাডার মুসলিমদের পতন। রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্ডের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল।
১৭৭৭ - আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ: জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্ব আমেরিকান বাহিনী নিউ জার্সিতে ব্রিটিশ বাহিনীর হামলার মুখে পড়ে।
১৭৮৮ - জর্জিয়া আমেরিকার চতুর্থ রাজ্য হিসাবে যুক্ত।
১৮৩৯ - লুই ডাগুয়েরে প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন।
১৮৪৩ - অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আজকের দিনে আমরা যে ডাকব্যবস্থার সাথে পরিচিত তার সূচনা হয় এবং প্রথম ডাকবাক্স স্থাপন করা হয়।
১৮৫২ - লুই নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সের সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি সেকেন্ড রিপাবলিককে উৎখাত করেন।
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯০ - সৈয়দ আমির আলী কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন।
১৯০৫ - রাশিয়া-জাপান যুদ্ধ: পোর্ট আর্থারে রাশিয়ান গ্যারিসনের জাপানের কাছে আত্ম সমর্পণ।
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়।
১৯৩৯ - বোম্বাইয়ের (মুম্বাই) সাধারণ ধর্মঘটে দুই লক্ষ শ্রমিক অংশ নেয়।
১৯৪১ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ব্রিটেনে জার্মানির বিমান হামলা।
১৯৪২ - আমেরিকার ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসন(এফবিআই) জার্মান গুপ্তচরের ৩৩ জনের একটা দলকে দলনেতা ফ্রিটজ জুবার্ট ডোকোনস সহ গ্রেফতার করে। এটা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গুপ্তচর গ্রেফতারের ঘটনা।
১৯৪২ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: জাপান বাহিনী ফিলিপাইনের ম্যানিলা দখল করে।
১৯৪৫ - জার্মানির নুরেম বার্গে মিত্র বাহিনীর বোমা হামলা।
১৯৪৬ - ব্রিটিশ সরকার দেশ বিভাগ নিয়ে আলোচনা করতে নেহরু, বালদেভ সিং, জিন্নাহ ও লিয়াকত আলী খানকে আমন্ত্রণ জানায়।
১৯৫০ - কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন হয়।
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়।
১৯৫৫ - পানামার প্রেসিডেন্ট জোসে এ্যান্টিনিও রেমন কেন্টারা আততায়ীর হাতে নিহত।
১৯৬৫ - পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইয়ুব খান জয়ী।
১৯৬৭ - রোনাল্ড রেগান, সাবেক চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন।
১৯৭১ - স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ফুটবল খেলায় ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ৬৬ জনের মৃত্যু।
১৯৮০ - আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সল্ট-দুই পরমাণু অন্ত্র চু্ক্তির অনুমোদন স্থগিত করে দেয়।
১৯৮০ - ইরানে রাজধানী তেহরানে প্রথম বিশ্বের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনগুলোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৮৮ - বেনজির ভুট্টো প্রথম কোনো মুসলিম অধ্যুষিত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৮৯ - ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা হজরত ইমাম খোমেনী (রহ) অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের কাছে পত্র প্রেরণ করেছিলেন।
১৯৮৯ - ভারতের সংগ্রামী নাট্য ব্যক্তিত্ব সফদর হাশমি ঘাতকদের হাতে নিহত।
১৯৯৪ - মেক্সিকোর চিয়াপাস এলাকায় জাপাতিস্তা সান ক্রিস্তোবাল ডি. লাস কাসাস দখল করে। এতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিহত ৫৭।
১৯৯১ - ভারতের উত্তর প্রদেশে তান্ত্রিক সাধনার জন্য ৮ বছরের বালিকাকে বলিদান।
আরও পড়ুন: টেলিটকের যাত্রা শুরু
জন্মদিন:
১৮২২ - রুডলফ ক্লসিয়াস, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী। (মৃ. ১৮৮৮)
১৮৯২ - নীলরতন ধর, প্রখ্যাত বাঙালি ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী। (মৃ.০৫/১২/১৯৮৬)
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্র জন্মগ্রহণ করেন। (মৃ.১২/০২/১৯৭৮)
১৯১৭ - আহসান হাবীব, বাংলাদেশি কবি ও শিশু সাহিত্যিক।
১৯১৭ - শওকত ওসমান, বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। (মৃ.১৪/০৫/১৯৯৮)
জন্ম সূত্রে তার নাম শেখ আজিজুর রহমান। শওকত ওসমান একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন। তিনি মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসাবে সমধিক পরিচিত ছিলেন।
''ক্রীতদাসের হাসি'' তাঁর প্রসিদ্ধ উপন্যাস। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৬৬ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৭), ১৯৮৩ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ইত্যাদি শীর্ষপর্যায়ী পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হন।
১৯২০ - আইজাক আসিমভ, মার্কিন বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক। (জ.১৯৯২)
১৯২২ - রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ তোয়াহা জন্মগ্রহণ করেন।
১৯২৫ - ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায়। (মৃ.২০১০)
১৯৪৪ - সমিত ভঞ্জ,বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা (মৃ.২৪/০৭/২০০৩)
১৯৪৭ - আযহার আলী আনোয়ার শাহ - বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ।
১৯৪৮ - জুডিথ মিলার, মার্কিন সাংবাদিক।
১৯৪৮ - জয়েস ওয়াডলার, মার্কিন স্মৃতিকথা লেখক।
১৯৪৮ - ডেবোরা ওয়াটলিং, ব্রিটিশ অভিনেত্রী।
১৯৫৩ - শাহনাজ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। (মৃ. ২০১৯)
১৯৬০ - রমন লাম্বা, ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৯৮১ - ম্যাক্সি রোদ্রিগেস, আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
আরও পড়ুন: জিয়া খান’র প্রয়াণ
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগীর গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত হন। (জ.১৩/০৩/১৮৯২)
১৯৭৫ - সিরাজ সিকদার, বাংলাদেশি সমাজবাদী নেতা।
১৯৭৬ - শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক। (জ.১৮/০৩/১৯০১)
১৯৭৭ - প্রমথ ভৌমিক, বাঙালি সমাজবাদী সাংবাদিক। (জ.০৫/১২/ ১৯০১)
১৯৮১ - হোসেন আলী, বাংলাদেশি কূটনীতিক।
১৯৮৯ - সফদার হাশমি, ভারতীয় নাট্যশিল্পী, নাট্যকার ও পরিচালক। (জ. ১৯৫৪)
১৯৯৩ - স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী বিজয়কুমার ভট্টাচার্য। (জ.১৭/০১/১৯৯৩)
১৯৯৯ - অতুল সুর, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, নৃতাত্ত্বিক, অর্থনীতিবিদ, লেখক ও কলকাতা বিশেষজ্ঞ। (জ.১৯০৪)
২০২০ - ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী, বাংলাদেশি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। (জ. ১৯৭০)
আরও পড়ুন: ভাস্কো-দা-গামা’র প্রয়াণ
দিবস:
জাতীয় সমাজসেবা দিবস (বাংলাদেশ)
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমাজসেবায় গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম তেল খনি আবিষ্কৃত
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জাতির পিতার প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, অনাথ প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহীতা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিবর্গসহ সহায় সম্বলহীন মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে লাগসই ও টেকসই প্রকল্প গ্রহণসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মোট ৫৪ টি জনহিতকর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ১ কোটি ১৫ লাখ উপকারভোগীর ভাতা ও অনুদানের টাকা সরাসরি তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে জি-টু-পি পদ্ধতিতে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব মানবীয় সংহতি দিবস
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, সরকারি সেবার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৮ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। পাকিস্তানি কারাগারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: রেডিয়াম আবিষ্কার
এজন্য তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদ সন্নিবেশনের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও সামাজিক নিরাপত্তাবলয় দৃঢ়ীকরণের ফলে দেশে দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জীবনচক্র ভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি দৃঢ় কল্যাণ রাষ্ট্রে উন্নীত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবস, নিঙলং (ভুটান)
নিউ ইয়ার হলিডে (স্কটল্যান্ড)
সশস্ত্র বাহিনীর বিজয় দিবস (কিউবা)
সান নিউজ/এনজে