নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১ জমাদিউল সানি ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস
ঘটনাবলী:
১২৫৬ - হালাকু খান বর্তমান ইরানের আলামুত ও হাসাসুন শহর দখল ও ধ্বংস করেন। এর মাধ্যমে এ এলাকার ইসলামী শক্তির উপর প্রথম আঘাত আনেন।
১৫১৬ - সালের এই দিনে দক্ষিণ আমেরিকায় আর্জেন্টিনার উপকূল আবিস্কৃত হওয়ার এক বছর পর স্পেনের প্রথম অভিবাসি দলটি ঐ এলাকায় প্রবেশ করে।
১৬৪০ - পর্তুগালের রাজা হিসেবে চতুর্থ জোহানের অভিষেক।
১৭৯১ - যুক্তরাস্ট্র বিল আইন হয়ে ভার্জিনিয়া সাধারণ অধিবেশনে আইন হিসাবে গৃহীত হয়।
১৭৯২ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জীবন বীমা পলিসি জারি হয়।
১৮৫৭ - সিপাহীদের বিদ্রোহ হয়।
১৮৫৯ - চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ সম্পর্কিত গ্রন্থ ‘অরিজিন অফ দ্য এস্পিচেস’-এর প্রকাশ।
১৮৭৭ - টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফ প্যাটেন্ট করেন।
১৯০৬ - লন্ডনের পাতাল রেলপথ চালু।
১৯১৪ - গ্যাস বিস্ফোরনে জাপানের মিটসুবিসি কয়লা খনিতে ৬৮৭ জন নিহত।
১৯১৪ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: সার্বিয়ার সেনাবাহিনী অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বেলগ্রেড দখল করে।
১৯২৮ - ব্রিটেনে সর্বপ্রথম টিভি নাটক প্রদর্শিত হয়।
১৯২৯ - কলকাতায় কবি নজরুলকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।
১৯৩৯ - বিশ্বখ্যাত সিনেমা গন্ড অব দ্য উইন্ড এর প্রিমিয়ার হয় জর্জিয়ার আটলান্টার লুইস গ্যান্ড থিয়েটারে।
১৯৪১ - আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হয়।
১৯৪১ - ইউক্রেনের কিয়েভে জার্মান সেনাবাহিনী ১৫০০০ ইহুদিকে হত্যা করে।
১৯৪৫ - জাপান দখলের পর জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থার শিন্তো ধর্মকে জাপানের রাষ্ট্র ধর্ম বাতিল করেন।
১৯৪৯ - পেইচিংয়ে চীনা গণ পররাষ্ট্র ইনস্টিডিউট প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬১ - জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘে চীনের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে ভোট দেয়।
১৯৬১ - বিখ্যাত নাজি নেতা অ্যাডলফ আইখম্যানকে ইহুদি হত্যাসহ পনেরটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ইজরাইলের রাজধানী জেরুজালেমে।
১৯৬৫ - বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে ১০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭০ - সোভিয়েত মহাকাশযান ভিনিরা-৭ সফলভাবে ভেনাসে ল্যান্ড করে।
১৯৭৫ - পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত পশ্চিম সাহারা এলাকা থেকে স্পেনীয়রা সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
১৯৭৬ - সামোয়া জাতিসংঘের সদস্য পদ পায়।
১৯৭৭ - জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগ দল) গঠিত হয়।
১৯৮৮ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পিএলওর সঙ্গে সরাসারি সংস্রবের ক্ষেত্রে ১৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
১৯৯৩ - সাত বছর আলোচনার পর ১১৭ টি দেশ গ্যাট চুক্তিতে সম্মত হয়।
১৯৯৪ - পালউ জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভ করে।
২০০৪ - ইংরেজিতে ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচারিত স্যাটেলাইট চ্যানেল চালুর বিষয়ে আল-জাজিরার ঘোষণা।
২০০৬ - ঢাকার ধানমন্ডির শংকরে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশের অন্যতম একটি সংস্কৃতিক সংগঠন। বর্তমান ঠিকানা: ধানমণ্ডি ১৫/এ সড়কের ৭২ নম্বর।
আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠার জন্য দেশের মানুষকে আপন সংস্কৃতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত করা; দেশীয় বৈশিষ্ট্য ও স্বাধীন সত্তা বিকাশে পারঙ্গম হবার জন্য মানুষকে যথার্থ শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে তোলা; শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পৃক্তি নিশ্চিত করে পূর্ণ মানব গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কৃতি সমন্বিত শিক্ষার বিকাশ ঘটানো; সংস্কৃতি সাধনা ও চর্চার যথোচিত প্রসার ও বিকাশের মাধ্যমে মানবপ্রীতি ও বিশ্বমানবতার অভিমুখী হবার উদ্দেশ্যে ছায়ানটের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২০০৭ - অস্ট্রেলিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেশটির ৭৮ বছরের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী (জন হাওয়ার্ড) নিজ আসনে পরাজিত হন।
২০২১ - কলকাতার দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর আবহমান অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শিরোপা লাভ করে।
আরও পড়ুন: বিনয় মজুমদার’র প্রয়াণ
জন্মদিন:
৩৭ - নিরো, রোমক সম্রাট। (মৃ.০৯/০৬/৬৮)
নিরো ছিলেন পঞ্চম রোমান সম্রাট। তার মৃত্যুর পর ২ হাজার বছর কেটে গেলেও এখনো তার নাম শুনলে এক কিংবদন্তির কথা মনে পড়ে। তার রাজধানী রোম আগুনে পুড়ছে আর তিনি বাঁশি বাজাচ্ছেন। এ কিংবদন্তির সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে ঠিকই, তবে সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন এক পাগলাটে স্বভাবের সম্রাট।
নিরোর জন্ম ৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর রোম সাম্রাজের অ্যান্টিয়ামে। তার বয়স যখন দুই বছর, তখন তার বাবা মারা যান। নিরোর মা এগ্রিপিনা ছিলেন রোমান সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট অগাস্টাসের বংশধর। তৃতীয় রোমান সম্রাট ক্যালিগুলা ছিলেন এগ্রিপিনার ভাই।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মুক্তি দিবস
ক্যালিগুলা তার পিতামহ টিবেরিয়াসকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসেন। ক্যালিগুলাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনি এগ্রিপিনার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তাকে একটি দ্বীপে নির্বাসন দেন। ৪১ খ্রিষ্টাব্দে ক্যালিগুলা নিহত হলে প্রভাবশালী প্রিটোরিয়ান বাহিনী সম্রাট হিসেবে এগ্রিপিনার সৎ চাচা ক্লডিয়াসকে সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করে। সম্রাট ক্লডিয়াস ছিলেন উদার ও দয়ালু।
তিনি এগ্রিপিনাকে নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনেন। এগ্রিপিনা সম্রাট ক্লডিয়াসের রাজসভার এক উপদেষ্টাকে বিয়ে করেন। পরে কৌশলে তাকে হত্যা করে তার সব সম্পত্তির মালিক হন। এরপর তিনি সম্রাট ক্লডিয়াসের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস
৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ক্লডিয়াস তার স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর এগ্রিপিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এগ্রিপিনার পরামর্শে সম্রাট ক্লডিয়াস নিরোকে দত্তক নেন এবং তার একমাত্র কন্যা ক্লডিয়া অক্টাভিয়ার সঙ্গে নিরোর বিয়ে দেন। ক্লডিয়াস তার পুত্র ব্রিটানিকাসের পাশাপাশি নিরোকেও সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন।
৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ক্লডিয়াস হঠাৎ করেই মারা যান। ধারণা করা হয়, খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যা করেন এগ্রিপিনা। ক্লডিয়াসের পুত্র ব্রিটানিকাসের পরিবর্তে নিরোকে সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করতে তিনি প্রিটোরিয়ান বাহিনীকে রাজি করান।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস
মায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৭ বছরের তরুণ নিরো রোমান সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসেন। সম্রাট নিরোর প্রধান উপদেষ্টা হন এগ্রিপিনা। মূলত ছেলের মাধ্যমে এগ্রিপিনা নিজেই সাম্রাজ্য শাসন করতে চেয়েছিলেন।
৫৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নিরো উদারতা ও ক্ষমাশীলতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সাম্রাজ্য শাসন করেন। এ সময় তিনি উপদেষ্টা পরিষদের স্বাধীনতা বৃদ্ধি, রক্তক্ষয়ী গ্ল্যাডিয়েটর লড়াই বন্ধ, মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আনা, কর হ্রাস করাসহ প্রভুদের বিরুদ্ধে ক্রীতদাসদের অভিযোগ করার অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: শুরু হলো বিজয়ের মাস
এমনকি যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাদেরও ক্ষমা করেন তিনি। খেলাধুলা ও বিনোদনভিত্তিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ নানা কারণে রোমানদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রোমে ৫ বছর পরপর ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশও দেন নিরো।
পপেয়া সাবিনা নামের এক পরস্ত্রীর প্রতি অনুরক্ত হওয়া এবং তাকে বিয়ে করতে চাওয়ার ঘটনায় মায়ের বিরোধিতার মুখোমুখি হন নিরো। পরবর্তী সময়ে দার্শনিক সেনেকার পরামর্শে মায়ের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন নিরো। সেনেকা নিরোকে স্বাধীনভাবে সাম্রাজ্য পরিচালনা করতে উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: পেশাওয়ারের যুদ্ধ সংঘটিত
ছেলেকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে এগ্রিপিনা নিরোকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করেন। নিরো মায়ের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে তাকে প্রথমে জাহাজ ডুবিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন।
কিন্তু সে যাত্রায় বেঁচে গেলে তিনি সরাসরি তার বাহিনীকে মাতৃহত্যার আদেশ দেন। ৫৯ খ্রিষ্টাব্দে এগ্রিপিনা নিরোর অনুগত বাহিনীর হাতে নিহত হন।
৬৪ খ্রিষ্টাব্দে রোম নগরে আগুন লাগে। এক সপ্তাহ ধরে চলা অগ্নিকাণ্ডে নগরের ৭০ শতাংশ এলাকা ধ্বংস হয় এবং অর্ধেক জনসংখ্যা গৃহহীন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: শহীদ ডা. মিলন দিবস
নিরো তখন রোম থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে অ্যান্টিয়ামে ছিলেন। ইতিহাসবিদদের মতে, আগুন লাগার খবরকে নিরো গুজব বলে এড়িয়ে যান। তখন তিনি সম্ভবত কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিলেন।
এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য নিরো রোমের খ্রিষ্টানদের দায়ী করেন। খ্রিষ্টধর্ম তখন মূলত অস্পষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায় ছিল এবং এই ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যাও ছিল কম।
রোমের অগ্নিকাণ্ডের পর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর নেমে আসে ভয়ংকর অত্যাচার। নিরোর আদেশে আগুনে পুড়িয়ে, ক্রুশবিদ্ধ করে ও বন্য প্রাণী লেলিয়ে দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় অনেক খ্রিষ্টানকে। খ্রিষ্টানদের শাস্তি দেওয়ার সময় ঘটা করে উৎসব উদ্যাপনও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মেয়র মোহাম্মদ হানিফ’র প্রয়াণ
অগ্নিকাণ্ডের পর কোষাগারের পাশাপাশি নিজের তহবিল থেকে ত্রাণ দিয়েছিলেন নিরো। এরপর তিনি রোম নগরকে গ্রিক শৈলীতে পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
২ পাহাড়ের মাঝে ‘গোল্ডেন হাউস’ নামের একটি সুবিশাল প্রাসাদ এবং এই প্রাসাদের মাঝখানে স্থাপনের জন্য নিজের ১০০ ফুট উচ্চতার একটি মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেন। এসব কাজ করতে গিয়ে সাম্রাজ্যের কোষাগার নিঃশেষ করে ফেলেন নিরো।
ফলে তার স্বপ্নের প্রাসাদ তৈরির কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হন। নিরোর উপদেষ্টারাও প্রাসাদ নির্মাণ এবং রোম নগরের ব্যাপক পুনর্গঠনের বিরুদ্ধে ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাজী মুহম্মদ মুহসীন’র প্রয়াণ
কোনো কোনো ইতিহাসবিদের মতে, রোম নগরের অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে সম্রাট নিরোর হাত ছিল। তাদের মতে, নিরো রোম নগরটি নিজের পছন্দমতো তৈরি করার জন্য আগুন লাগিয়েছিলেন।
রোম নগরকে নিজের পছন্দমতো গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে নিরো রাজকার্য ছেড়ে দিয়ে অভিনয় ও গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি রোমের সিংহাসন পরিত্যাগ করার চিন্তা করেছিলেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
৬৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে নিরো গ্রিসে একটি দীর্ঘ সফরে বের হন। ১৫ মাসের এই সফরে তিনি সাধুবেশে খালি পায়ে গ্রিসের রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে বেড়ান।
গ্রিক সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহের কারণে তিনি বেশ কয়েকটি গ্রিক নগর তার সাম্রাজ্য থেকে মুক্ত করেন। ৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি রোমে ফিরে আসেন।
সম্রাট নিরোর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, তিনি নিজেকে একজন শিল্পী হিসেবে দাবি করতেন। তিনি মঞ্চে অভিনয় করতেন, বীণাজাতীয় একটি বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন, গান গাইতেন ও কবিতা লিখতেন।
আরও পড়ুন: তিতুমীরের প্রয়াণ
বিভিন্ন খেলাধুলায়ও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। তার উপদেষ্টারা মনে করতেন, এগুলো খুবই লজ্জার ও মানহানিকর কাজ।
নিরোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শাখা–প্রশাখা বিস্তৃত হতে থাকে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনি দার্শনিক সেনেকাসহ ২৩ উপদেষ্টাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেন। ৬৮ খ্রিষ্টাব্দে নিরোর অধীনস্থ এক রাজা নিরোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।
এই সুযোগে নিরোর উপদেষ্টামণ্ডলী ও প্রিটোরিয়ান বাহিনী নিরোকে জনগণের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করে। এর অর্থ হলো, তাকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই হত্যা করা হবে।
আরও পড়ুন: টিপু সুলতান’র জন্ম
নিরো শহরতলির একটি জায়গায় পালিয়ে যান এবং সেখানে একটি ভিলায় আশ্রয় নেন। ৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুন রক্ষীরা তাকে খুঁজে পাওয়ার আগেই তিনি আত্মহত্যা করেন। তখন নিরোর বয়স ছিল মাত্র ৩০ বছর।
১৬২৬ - গ্রেগরি কিং, ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ।
১৭৯৭ - উইলিয়াম ইয়েটস, শিক্ষাবিদ ও বহু ভাষাবিদ, বাংলা মুদ্রণ শিল্পের পথিকৃৎ।
১৮৩২ - গুস্তাভ আইফেল, ফরাসি প্রকৌশলী, আইফেল টাওয়ারের স্থপতি।
১৮৫২ - অঁরি বেকেরেল, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৫৯ - লুডভিক লাযারুস জামেনহোফ, পোলিশ চিকিৎসক, সাহিত্যিক ও ভাষাবিদ।
১৮৭০ - জোসেক হফম্যান, মার্কিন স্থপতি।
১৯০০ - সতীশচন্দ্র সামন্ত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাবেক লোকসভা সদস্য। (মৃ. ১৯৮৩)
১৯০৫ - ইরাবতী কার্বে ভারতের নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং লেখক। (মৃ.১১/০৮/১৯৭০)
১৯০৬ - বন্দে আলী মিয়া, বাঙালি কবি। (মৃ.১৭/০৬/১৯৭৯)
১৯০৮ - রামকৃষ্ণ মিশনের ত্রয়োদশ অধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দ। (মৃ.২০০৫)
১৯১৬ - মরিস উইলকিন্স, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ জীবপদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৩৩ - এমাজউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। (মৃ. ২০২০)
১৯৩৫ - একেএম আবদুর রউফ, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের হস্তলেখক। (মৃ. ২০০০)
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন
মৃত্যুবার্ষিকী:
১২৬৩ - নরওয়ের রাজা চতুর্থ হ্যাকন।
১৯২৫ - প্রগতিবাদী সমাজসেবী শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়। (জ.০২/০২/১৮৪০)
১৯৪০ - মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী বাংলাভাষার লেখক এবং সাংবাদিক।
১৯৪১ - গাব্রিয়েল পেরি, জার্মান নাৎসি বাহিনী ফরাসি কমিউনিস্ট নেতা।
১৯৫০ - বল্লভভাই প্যাটেল উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয়তাবাদী নেতা। (জ.৩১/১০/১৮৭৫)
১৯৬৬ - ওয়াল্টার এলিয়াস ডিজনি, মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক, কাহিনীকার, নেপথ্য কন্ঠ শিল্পী ও অ্যানিমেটর। (জ.০৫/১২/১৯০১)
২০০০ - গৌরকিশোর ঘোষ, বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। (জ.২০/০৬/১৯৩৪)
২০০৬ - নিতুন কুণ্ডু, বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ও উদ্যোক্তা।
২০০৭ - নবেন্দু ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার। (জ.১৯১৭)
২০১৬ - হাইকোর্টের বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী।
২০২০ - সুধীর চক্রবর্তী, বাঙালি অধ্যাপক, লেখক,সঙ্গীত-গবেষক এবং লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ। (জ.১৯/০৯/১৯৩৪)
আরও পড়ুন: মজলুম জননেতার প্রয়াণ
দিবস:
আন্তর্জাতিক চা দিবস
খাগড়াছড়ি হানাদারমুক্ত দিবস (বাংলাদেশ)
সান নিউজ/এনজে