নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: সুশীলকুমার মুখোপাধ্যায়’র জন্মদিন
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
রোববার (১৯ নভেম্বর), ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: মজলুম জননেতার প্রয়াণ আজ
ঘটনাবলী:
১৮১৬ - পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৬৩ - মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গেটিসবার্গে তার বিখ্যাত স্বাধীনতার ভাষণ দেন।
১৯৪২ - সোভিয়েত ইউনিয়ন স্তালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।
১৯৭৭ - মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত অধিকৃত বায়তুল মোকাদ্দাস সফর করেন।
১৯৮২ - দিল্লিতে নবম এশিয়ান গেমস শুরু।
১৯৯০ - ওয়ারশ’ ও ন্যাটো জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতারা প্যারিসে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পূর্ব ও প্রাচ্যের দুই ব্লকের মধ্যকার শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটান।
১৯৯৯ - চীন প্রথমবারের মতো শেন ঝু স্পেসক্রাফট মহাকাশে প্রেরণ করে।
১৯৯৫ - বাংলাদেশ সরকার হুমায়ুন আজাদের নারী বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী’র প্রয়াণ
জন্মদিন:
১৭১১ - মিখাইল লোমোনোসভ, রুশ পদার্থবিদ, রসায়নবিদ ও জ্যোতির্বিদ। (মৃ. ১৭৬৫)
১৮০৫ - সুয়েজ খালের নকশাকার ফরাসি প্রযুক্তিবিদ ভিকঁৎ ফ্যের্দিনা মারি দ্যা ল্যেসেপস।
১৮২৮ - লক্ষ্মী বাঈ, ঝাঁসির রাণী ও ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের পথিকৃৎ। (মৃ.১৭/০৬/১৮৫৮)
১৮৩১ - জেমস গারফিল্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিংশতিতম রাষ্ট্রপতি। (মৃ. ১৮৮১)
১৮৩৮ - ব্রাহ্ম সমাজের নেতা ও সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেন। (মৃ.০৮/০১/১৮৮৪)
১৮৪৩ - রিচার্ড আভেনারিউস, ছজার্মান বংশোদ্ভূত সুইস দার্শনিক ও অধ্যাপক।
১৮৫২ - আম্মেম্বল সুব্বা রাও পাই, ভারতের বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কানাড়া ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা। (মৃ.২৫/০৭/১৯০৯)
১৮৭৭ - বাঙালি কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়। (মৃ.০৫/০২/১৯৫৫)
১৮৭৭ - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বা নিরালম্ব স্বামী। (মৃ.১৯৩০)
১৮৮৭ - জেমস ব্যাচেলার সামনার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।
১৯১২ - জর্জ এমিল পালাডে, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রোমানীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।
১৯১৩ - অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়, বাঙালি অভিনেতা এবং গায়ক। (মৃ.২৭/১১/১৯৮৪)
১৯১৪ - একনাথ রানাডে , ভারতের সমাজ সংস্কারক এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক সংগঠক। (জ.২২/০৮/১৯৮২)
১৯১৫ - আর্ল উইলবার সাদারল্যান্ড জুনিয়র, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ফার্মাকোলজিস্ট ও প্রাণরসায়নবিদ।
১৯১৭ - ইন্দিরা গান্ধী, ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও ভারতের প্রথম মহিলা ও তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। (মৃ.৩১/১০/১৯৮৪)
১৯১৮ - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক। (মৃ.০৮/০৫/১৯৯৩)
১৯২৫ - সলিল চৌধুরী, প্রখ্যাত বাঙালি গীতিকার সুরকার। (মৃ.০৫/০৯/১৯৯৫)
১৯৩৬ - ইউয়ান ৎসে লি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তাইওয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।
১৯৫০ - রেহানা সুলতান, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৫১ - জিনাত আমান, ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী।
১৯৫৩ - সুবীর নন্দী, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। (মৃ.০৭/০৫/২০১৯)
১৯৫৪ - আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, মিশরের ফিল্ড মার্শাল, রাজনীতিবিদ ও মিশরের ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট।
১৯৬১ - মেগ রায়ান, আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।
১৯৬২ - জোডি ফস্টার, মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৭৫ - সুস্মিতা সেন, ভারতীয় অভিনেত্রী ও ১৯৯৪-এর মিস ইউনিভার্স।
১৯৮৫ - ক্রিস্টোফার ঈগলস, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৭ - সিলভিয়া সোলার এস্পিনসা, স্প্যানিশ টেনিস খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: সুভাষ দত্ত’র প্রয়াণ
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৬৬৫ - নিকোলাস পউসিন, ফরাসি বংশোদ্ভূত ইতালীয় চিত্রশিল্পী।
১৮২৮ - অষ্ট্রিয়ার খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ ফ্রান্তেয সোবের্ট।
১৮৩১- তিতুমীর, প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী, ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী।
তিতুমীর, যার প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী (জন্ম ২৭ জানুয়ারি, ১৭৮২, ১৪ মাঘ, ১১৮২ বঙ্গাব্দ, মৃত্যু ১৯শে নভেম্বর, ১৮৩১) ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিরোধী ব্যক্তিত্ব। তিনি বাঙ্গালা আমিরাত নামক স্বল্পস্থায়ী রাষ্ট্রের বাদশাহ ছিলেন।
তিনি ব্রিটিশ শাসন ও তাদের অনুগত অত্যাচারী হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং তার বিখ্যাত বাঁশের কেল্লার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ব্রিটিশ সেনাদের সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় এই বাঁশের কেল্লাতেই তার মৃত্যু হয়।
তিতুমীর ১৭৮২ সালের ২৭ জানুয়ারি (১৪ মাঘ ১১৮২ বঙ্গাব্দ) ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হায়দারপুর (মতান্তরে বাদুড়িয়া থানার বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর) গ্রামে একটি সুন্নী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: মীর মশাররফ হোসেন’র জন্ম
তার পিতার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মাতার নাম আবিদা রুকাইয়া খাতুন। তিতুমীরের পরিবারের লোকেরা নিজেদের হযরত আলীর বংশধর বলে দাবি করতেন। তার এক পূর্বপুরুষ সৈয়দ শাহাদত আলী ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরব থেকে বাংলায় আসেন।
শাহাদত আলীর পুত্র সৈয়দ আবদুল্লাহ দিল্লির সুলতান কর্তৃক জাফরপুরের প্রধান কাজী নিযুক্ত হন এবং তাকে মীর ইনসাফ খেতাবে ভূষিত করা হয়। শাহাদত আলীর বংশধরগণ ‘মীর’ ও ‘সৈয়দ’ উভয় পদবীই ব্যবহার করতেন। তিতুমীরের প্রাথমিক শিক্ষা হয় তার গ্রামের বিদ্যালয়ে।
পরবর্তীকালে তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসাতে লেখাপড়া করেন। ১৮ বছর বয়সে তিতুমীর কোরআনে হাফেজ হন এবং হাদিস বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। একই সাথে তিনি বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত
তার জন্মের পর তার একবার অসুখ হয় সেই অসুখের জন্য ডাক্তার দিলেন ভীষণ তেতো ওষুধ, এ ওষুধ শিশু তো দূরের কথা, বুড়োরাই মুখে নেবে না। কিন্তু প্রায় ১০/১২ দিন তিনি এ ওষুধটি হাসিমুখেই খেলেন। এতে বাড়ির সবাই অবাক।
তাই প্রথমে তার নাম হয় তেতো।এরপর তিতু এবং সবশেষে তিতুর সাথে মীর লাগিয়ে হয় তিতুমীর।
তিতুমীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করেছে। ১৯৭১ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কলেজ কে তার নাম অনুসারে সরকারী তিতুমীর কলেজ নামকরণ করা হয়। তার নামে বুয়েট এ একটি ছাত্র হলের নামকরণ করা হয় তিতুমীর হল। বিবিসির জরিপে, তিনি ১১ তম শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিতুমীরের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ১০ ডিসেম্বর শেখ মুজিবুর রহমান খুলনা শহরে রূপসা নদীর তীরে 'বানৌজা তিতুমীর' নামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি কমিশন করেন ও ‘নেভাল এনসাইন’ প্রদান করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজের নামকরণ করা হয় বিএনএস তিতুমীর। রাজশাহী ও নীলফামারী জেলার চিলাহাটি স্টেশনের মধ্যে 'তিতুুমীর এক্সপ্রেস' নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাত শহরে চাঁপাডালি মোড়ে শহরের মূল বাসস্ট্যান্ডকে তিতুমীরের নাম যোগ করে তিতুমীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল করা হয়েছে।
১৮৫০ - রিচার্ড মেন্টর জনসন, তিনি ছিলেন আমেরিকান কর্নেল, আইনজীবী ও রাজনীতিক।
১৯৪২ - ব্রুনো সচুলয, পোলিশ চিত্রশিল্পী ও সমালোচক।
১৯৫৫ - ডা পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত চিকিৎসক।
১৯৮৮ - জাতীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের রূপকার ও চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান।
১৯৮৯ - এম এ জলিল, বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও সামরিক কর্মকর্তা।
২০০৪ - জন রবার্ট ভেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও অধ্যাপক।
২০০৭ - সঞ্জীব চৌধুরী, সাংবাদিক, সঙ্গীত শিল্পী, প্রথা বিরোধী মানুষ, দলছুট ব্র্যান্ডের গায়ক ছিলেন।
২০১১ - ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার।
২০১৩ - ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ প্রাণরসায়নী ও অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার লাভ
দিবস:
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস
বিশ্ব শৌচালয় দিবস
সান নিউজ/এনজে