নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: কাজী ইমদাদুল হক’র জন্মদিন
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
রোববার (৫ নভেম্বর), ২০ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: দীনেশচন্দ্র সেন’র জন্মদিন
ঘটনাবলী:
১৫৫৬ - পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হেমু পরাস্ত হন।
১৭৯৫ - বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ পত্রিকায়।
ক্যালকাটা গ্যাজেট বা কলকাতা গ্যাজেট ছিল বাংলার একটি ইংরেজি সংবাদপত্র, যা ১৭৮৪ সালে ঔপনিবেশিক অফিসার ফ্রান্সিস গ্ল্যাডউইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ভারতের প্রথম সংবাদপত্রগুলির মধ্যে একটি ছিল।
ক্যালকাটা গ্যাজেট ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কর্মকর্তা এবং প্রাচ্যবিদ ফ্রান্সিস গ্ল্যাডউইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটির প্রথম সংখ্যা ৪ মার্চ ১৭৮৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদপত্র জনসাধারণের তথ্য প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে।
গেজেট প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞাপনের জন্য সরকারকে চার্জ করেছিল। কিন্তু সরকার গেজেটটি বিনামূল্যে ডাক প্রচলন এবং বিনামূল্যে ডাক সরবরাহ করার পরে বন্ধ করে দেয়। সরকার ১৭৮৭ সালে এটি প্রত্যাহার করে।
আরও পড়ুন: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়’র জন্মদিন
১৭৮৭ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সিস গ্ল্যাডউইন আর্থার মুইর, হার্বার্ট এইচ. হ্যারিংটন এবং এডমন্ড মরিসকে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ দেন। ৩ জনই সংবাদপত্রের সাথে জড়িত সাধারণ নাগরিক ছিলেন। ১৮১৫ সালের জুন মাসে বেঙ্গল মিলিটারি অরফান সোসাইটি দ্বারা সরকারী গেজেট তৈরি করা হয়।
সমস্ত সরকারি বিজ্ঞাপন কলকাতা গেজেট থেকে সরকারি গেজেটে সরানো হয়েছিল। বেসরকারী বিজ্ঞাপনদাতারাও সংবাদপত্র ত্যাগ করে এবং বিজ্ঞাপনের আয় হ্রাস পায়। অতঃপর সংবাদপত্রের কর্মচারীরা ধর্মঘটে যান।
১৮১৮ সালের জুন মাসে ক্যালকাটা গেজেট কলকাতা মর্নিং পোস্ট, হিটলির মালিকের কাছে বিক্রি হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর ১৮১৮ তারিখে জেমস সিল্ক বাকিংহাম কর্তৃক কলকাতা জার্নাল নামে একটি নতুন সংবাদপত্রের পক্ষে কলকাতা গেজেটের প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: জুভেন্টাস ফুটবল ক্লাব গঠিত
নাট্যমঞ্চ প্রথম বাংলা নাট্যমঞ্চ নির্মাণ করেন রুশ মনীষী লেবেদেফ। ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ডোমতলায় (বর্তমান এজরা স্ট্রিট) তিনি ‘বেঙ্গলী থিয়েটার’ স্থাপন করে ২৭ নভেম্বর কাল্পনিক সংবদল নামক একটি বাংলা অনুবাদ-নাটক মঞ্চস্থ করেন।
এর আগে কলকাতায় ইংরেজদের প্রতিষ্ঠিত দুটি নাট্যমঞ্চ ছিল, যেখানে কেবল ইংরেজি নাটকই অভিনীত হতো। লেবেদেফের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে উনিশ শতকে বাঙালিরা কলকাতায় বেশ কয়েকটি নাট্যমঞ্চ নির্মাণ করেন। যেমন: হিন্দু থিয়েটার (১৮৩১), ওরিয়েন্টাল থিয়েটার (১৮৫৩), জোড়াসাঁকো নাট্যশালা (১৮৫৪), বিদ্যোৎসাহিনী মঞ্চ (১৮৫৭) ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: রফিকউদ্দিন আহমদ’র জন্ম
১৯ শতকের শেষভাগে ঢাকায়ও কয়েকটি নাট্যমঞ্চ নির্মিত হয়, যেমন: পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি (১৮৬৫), ক্রাউন থিয়েটার মঞ্চ (১৮৯০-৯২ এর মধ্যে), ডায়মন্ড জুবিলি থিয়েটার (১৮৯৭) ইত্যাদি।
সে সময় মুন্সীগঞ্জ শহরে ‘জগদ্ধাত্রী নাট্যমঞ্চ’ নামে একটি মঞ্চ নির্মিত হয়, যা এখনও বর্তমান। ২০ শতকের প্রথম ২ দশকে ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি মঞ্চ নির্মিত হয়, যেমন: খুলনা থিয়েটার (১৯০৫), করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব ( টাঙ্গাইল, ১৯১১) ইত্যাদি।
এ সময় টাঙ্গাইলের সন্তোষ, এলেংগা, শিবপুর, আলোয়া ও করটিয়ার জমিদাররা বেশ কয়েকটি মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ঢাকায় নির্মিত হয় মাহবুব আলী ইনস্টিটিউট (১৯৫০)।
আরও পড়ুন: মতিউর রহমান’র জন্ম
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘকাল যাবৎ ঢাকায় স্বতন্ত্র কোন নাট্যমঞ্চ নির্মিত না হলেও বেশ কয়েকটি সাধারণ মঞ্চ বিশেষভাবে নাট্যাভিনয়ের জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে, যেমন: মহিলা সমিতি মিলনায়তন, গাইড হাউস মিলনায়তন ইত্যাদি।
সম্প্রতি ঢাকার গুলিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৬০০ আসনবিশিষ্ট ‘ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ’। এখানে প্রধানত নাট্যাভিনয় হয়। এগুলো ছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সাধারণ মঞ্চে নাটকের অভিনয় হয়।
যেমন: ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তন, গণগ্রন্থাগার মিলনায়তন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন, কচিকাঁচা মিলনায়তন, ওয়াপদা মিলনায়তন, অশ্বিনীকুমার টাউন হল (বরিশাল, ১৯৩০), জে.এম.সেন হল (চট্টগ্রাম), মুসলিম হল (চট্টগ্রাম) ইত্যাদি।
১৯১১ - ইতালি তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ত্রিপোলি দখল করে নেয়।
১৯৪৫ - কলাম্বিয়া জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৭৫ - অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক সেনাবাহিনীর হাতে পদচ্যুত হন।
১৯৯৩ - ফ্রান্স, জার্মানি ও বেলজিয়াম ন্যাটোর বিকল্প ইউরোপীয় বাহিনী ইউরো কর্পস গঠন করে।
১৯৯৬ - পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ খান লেঘারি বেনজির ভুট্টোর সরকারকে বরখাস্ত করেন এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন।
২০০২ - যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট বুশের রিপাবলিকান পার্টি বিজয় লাভ করে।
২০২০ - নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেন জেসিন্ডা আরর্ডান।
আরও পড়ুন:
জন্মদিন:
১২৭১ - মাহমুদ ঘাযান, মঙ্গোল শাসক।
১৮৫৪ - পল সাবায়টিয়ার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ।
১৮৭০ - চিত্তরঞ্জন দাশ, বাঙালি আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। (মৃ.১৬/০৬/১৯২৫)
১৮৮৫ - উইল ডুরান্ট, আমেরিকান ইতিহাসবিদ, দার্শনিক ও লেখক।
১৮৮৭ - বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়, স্বদেশী আন্দোলনের প্রথম যুগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও বিপ্লবী।(মৃ.১৪/০১/১৯৫৪)
১৮৮৮ - লোকগীতি সংগ্রাহক ও কবি আশুতোষ চৌধুরী। (মৃ.২৭/০৩/১৯৪৪)
১৮৯২ - জে বি এস হ্যালডেন, বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী। (মৃ.০১/১২/১৯৬৪)
১৮৯৩ - প্রতিমা ঠাকুর, ঠাকুর পরিবারের লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ। (মৃ.১৯৬৯)
১৯০১ - এডি পেন্টার, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯০৫ - ধীরাজ ভট্টাচার্য, বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের সফল অভিনেতা। (মৃ.১৯৫৯)
১৯১৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিকে বাণী রায়। (মৃ.১৯৯২)
১৯২০ - ডগলাস নর্থ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।
১৯৩৬ - উভে জেলার, প্রখ্যাত জার্মান ফুটবলার।
১৯৪৮ - উইলিয়াম ড্যানিয়েল ফিলিপ্স, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও অধ্যাপক।
১৯৫৪ - জেফ্রি স্যাক্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ।
১৯৫৫ - ভারতের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক করণ থাপার।
১৯৫৯ - ব্রায়ান এডামস, কানাডীয় গায়ক, গিটারবাদক ও গীতিকার।
১৯৬৪ - আবেদি পেলে, ঘানার প্রখ্যাত ফুটবলার।
১৯৭৪ - অ্যাঞ্জেলা নাথালিয়া গসসোও, জার্মান গায়ক ও গীতিকার।
১৯৭৯ - ডেভিড সুয়ায, হন্ডুরাসের ফুটবলার।
১৯৮৩ - মাইক হাঙ্কে, জার্মান ফুটবলার।
আরও পড়ুন: ইন্দিরা গান্ধী’র প্রয়াণ
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৩৭০ - ক্যাসিমির তৃতীয় গ্রেট, পোলিশ রাজা।
১৮৭৯ - জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, স্কটল্যান্ডীয় গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১৫ - ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফিরোজ শাহ মেহতা। (জ.১৮৪৫)
১৯৩০ - খিস্টিয়ান ইজক্মান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ চিকিৎসক ও রোগবিদ্যাবিৎ।
১৯৪৪ - আলেক্সিস কাররেল, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি সার্জন ও জীববিজ্ঞানী।
১৯৫৫ - মরিস উট্রিল উটরিল, ফরাসি চিত্রশিল্পী।
১৯৬০ - কোটনা ম্যাক সেনেট, কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৭৪ - অহীন্দ্র চৌধুরী, বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব। (জ.১২/০৮/১৮৯৫)
১৯৭৫ - এডওয়ার্ড লাউরি টাটম, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান জেনেটিসিস্ট ও অধ্যাপক।
১৯৮২ - ফরাসি চলচ্চিত্রকার জাক তাতি।
১৯৯৫ - ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন।
২০০৬ - ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আল দুজাইল ট্রায়ালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
২০০৭ - নিল্স লিয়েডহল্ম, সুইডিশ ফুটবলার ও ম্যানেজার।
২০১১ - ভূপেন হাজারিকা, স্বনামধন্য ভারতীয় কন্ঠশিল্পী। (জ.০৮/০৯/১৯২৬)
২০১২ - যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পাল, কিংবদন্তি বাঙালি যাত্রাশিল্পী।
২০২১ - ‘দুঃখের রানী’ হিসেবে পরিচিত ব্রাজিলের জনপ্রিয় গায়িকা মারিলিয়া মেন্ডনকা। (জ.২২/০৭/১৯৯৫)
সান নিউজ/এনজে