নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপন
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর), ২৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: নীলিমা ইব্রাহিম’র জন্ম
ঘটনাবলী:
খ্রিষ্টপূর্ব ৫৩৯ - ইরানে হাখামানেশিয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সাইরাস ইরাকের ঐতিহাসিক বাবেল শহর দখল করে।
৬৩৫ - খালিদ বিন ওয়ালিদ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক জয় করেন।
১৫৫৬ - মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের সূচনা হয়।
জালালউদ্দিন মুহাম্মদ আকবর মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট, যিনি ১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দ অব্দি রাজত্ব করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে ইনি মহান শাসকদের অন্যতম হিসেবে মহামতি আকবর নামেও পরিচিত।
পিতা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন। বৈরাম খানের তত্ত্বাবধানে তিনি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন। ১৫৬০ সালে বৈরাম খাঁকে সরিয়ে আকবর নিজে সকল ক্ষমতা দখল করেন।
আরও পড়ুন: সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ’র প্রয়াণ
কিন্তু আকবর ভারতবর্ষ ও আফগানিস্তানে তার সাম্রাজ্য বিস্তার চালিয়ে যান। ১৬০৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় সমস্ত উত্তর ভারত তার সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে। আকবরের মৃত্যুর পর তার পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীর ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণ করেন ও সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন।
সাম্রাজ্যের রাজপুতদের সাথে সুসম্পর্ক রাখার স্বার্থে আকবর বিভিন্ন রাজবংশের রাজকন্যাদের বিয়ে করেন। তবে তার স্ত্রীদের মধ্যে সবচাইতে আলোচিত হলেন যোধা বাঈ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে ডাক ব্যবস্থা চালু
রাজ্য শাসনের জন্য আকবর আমলাতন্ত্র চালু করেন এবং প্রদেশগুলোকে স্বায়ত্বশাসন দান করেন। আকবরের আমলাতন্ত্র বিশ্বের সবথেকে ফলপ্রসূ আমলাতন্ত্রের মধ্যে অন্যতম।
তিনি প্রত্যেক অঞ্চলে সামরিক শাসক নিয়োগ দেন। প্রত্যেক শাসক স্বশাসিত প্রদেশের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। সম্রাট আকবর শাসিত সাম্রাজ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের শাস্তি ছিল একমাত্র মৃত্যুদন্ড।
১৭৭০ - তামার পয়সার বদলে ‘আনি’র প্রচলন শুরু হয়।
১৭৯২ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৮১২ - কুইন্সটন হাইডমের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮১৫ - সিসিলির রাজা জোযামিন মোরাটের মুত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
১৮৮৪ - ওয়াশিংটন সম্মেলনে গ্রিনউইচ সার্বজনীন মেরুমধ্যরেখা হিসেবে গৃহীত হয়।
১৯২৩ - আঙ্কারাকে তুরস্কের নতুন রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
১৯৩৭ - চীনের জাতীয় বিপ্লবী বাহিনীর নতুন চতুর্থ আর্মী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৩ - ইতালি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪৪ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুগোশ্লাভিয়ার বিখ্যাত নেতা মার্শাল টিটো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা বাহিনীর সহায়তায় জার্মানীর দখলে থাকা যুগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড মুক্ত করতে সক্ষম হন।
১৯৪৬ - মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও লর্ড ওয়াডেল এর ফলপ্রসূ আলোচনার পর নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটি কর্তৃক অন্তবর্তীকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রীর পদে যোগদানের প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
১৯৬২ - যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে পানামা খাল অঞ্চল নতুন পানামা খালের সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার জন্যে একটি উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
১৯৬৬ - শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন চলাকালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান অস্ত্র প্রয়োগের ভয় দেখালে তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
১৯৮৯ - আধুনিক বিশ্বের বৃহত্তম ব্রোঞ্জ বৌদ্ধ মূর্তি ২৬.৪ মিটার উঁচু থিয়েনথান বৌদ্ধমূর্তির নির্মাণকাজ হংকংয়ের তায়ুএ পাহাড়ে সমাপ্ত হয়।
১৯৯০ - ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও তাত্ত্বিক লে দাক থো মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯১ - বাংলার প্রাচীন প্রেক্ষাগৃহ স্টার থিয়েটার আকস্মিক অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়।
১৯৯৪ - মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সারাদেশে কমপক্ষে কয়েক হাজার লোক যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যক্তিগত আইসক্রিম কোম্পানির উৎপাদিত আইসক্রিম খাওয়ার ফলে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে, কিন্তু কেউ মারা যায়নি।
১৯৯৭ - ৫ দিনের সফরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জেমস টি উলফেনসন ঢাকা আগমন করেন।
১৯৯৯ - ভারতে হিন্দুত্ববাদী দলের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।
২০০১ - ভারতীয় সংসদ ভবনে আতঙ্কবাদী হামলা, সব আতঙ্কবাদী সমেত মোট ১৫ জনের মৃত্যু।
২০০২ - বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেত্রী ইলা মিত্র মৃত্যুবরণ করেন।
২০০৪ - ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি কার্ডিয়াক সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়।
২০০৬ - শান্তিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের নোবেল পুরস্কার লাভ।
২০২০ - বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে "নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ" জারি করা হয়।
২০২১ - বাংলাদেশে দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন কুমিল্লা শহরের নানুয়ারদীঘি এলাকার একটি পূজামণ্ডপ থেকে কোরআন পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় ধর্মান্ধ গোষ্ঠি কর্তৃক পূজা মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনার সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: হেলাল হাফিজ’র জন্ম
জন্মদিন:
১৮৬২ - পর্যটক ও লেখক মেরি কিংসলে।
১৮৯০ - কনরাড রিক্টার, মার্কিন ঔপন্যাসিক। (মৃ. ১৯৬৮)
১৯১১ - অশোক কুমার, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। (মৃ.১০/১২/২০০১)
১৯২৫ - মার্গারেট থ্যাচার, লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। (মৃ.০৮/০৪/২০১৩)
১৯৩৮ - হুগো ইয়াং, ইংরেজ সাংবাদিক ও লেখক।
১৯৪৮ - নুসরাত ফতেহ আলি খান, পাকিস্তানি কাওয়ালি সঙ্গীত শিল্পী।
১৯৭৯ - ওয়েস ব্রাউন, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৯৪ - লিটন দাস, বাংলাদেশী ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন: ফরাসি বিপ্লবের সূচনা
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৮২২ - আন্তেনিও কানোভা, ইতালীয় ভাস্কর।
১৮৮২ - জোযেফ আর্থার গোবিনো, ফরাসী দার্শনিক ও লেখক।
১৯১১ - ভগিনী নিবেদিতা, (আসল নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল), অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদ্ভূত ভারতহিতৈষী সমাজকর্মী, লেখিকা, শিক্ষিকা এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা। (জ. ১৮৬৭)
১৯৬৪ - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, কথাশিল্পী, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। (জ. ১৮৯০)
১৯৬৪ - গোলাম মোস্তফা, বাঙালি কবি।
১৯৭১ - আবদুল মোনেম খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
১৯৮৩ - অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক। (জ. ১৯৩৩)
১৯৮৭ - কিশোর কুমার, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা ও গায়ক। (জ. ১৯২৯)
১৯৮৭ - অমলেন্দু বিশ্বাস, বাংলাদেশী যাত্রা অভিনেতা ও পরিচালক।
২০০২ - ইলা মিত্র, বাঙালি মহীয়সী নারী, তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী। (জ. ১৯২৫)
২০০৬ - ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক প্রতিভা বসু(জ.১৯১৫)
২০০৭ - ওবায়েদ উল হক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার।
২০১৩ - জনপ্রিয় বাঙালি সাহিত্যিক চিত্তরঞ্জন মাইতি। (জ.১৯২৫)
২০২০ - রশীদ হায়দার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি লেখক, কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক। (জ. ১৯৪১)
আরও পড়ুন: বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহ শুরু
দিবস:
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস৷
আজ আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’। দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত
১৯৮৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিন সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উদ্যাপিত হয়ে আসছে। দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এ উদ্যোগ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। গত ২ দশকে এ ভূখণ্ডে ১৮৫ টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
আরও পড়ুন: বিশ্ব অহিংস দিবস, মহাত্মা গান্ধীর জন্ম
পূর্বাভাস ও পূর্ব প্রস্তুতির কারণে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা গেলেও প্রতিনিয়ত চরিত্র বদলাচ্ছে দুর্যোগের। এছাড়া নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে ভূমিকম্প, বজ্রপাত ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ।
বিশেষজ্ঞরা দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত জনবল কাঠামো গঠনের পাশাপাশি স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিয়েছেন।
সান নিউজ/এনজে
