নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: বাষ্পচালিত প্রথম বাস নির্মাণ
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর), ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: নায়ক সালমান শাহ’র জন্ম
ঘটনাবলী:
১৭৯২ - ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৮৫৭ - দিল্লীর সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
১৯৪২ - ইউক্রেনের দুনাইভসিতে জার্মান নাৎসি বাহিনী ২৬৮৮ জন ইহুদিকে হত্যা করে।
১৯৬৪ - যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পায় মাল্টা।
১৯৬৫ - গাম্বিয়া, মালদ্বীপ ও সিঙ্গাপুর জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৭১ - ভুটান, বাহরাইন ও কাতার জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৭১ - কলকাতায় অ্যাসোসিয়েশন ফর ইমপ্রুভমেন্ট অব ম্যাথমেটিক্স টিচিং প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্যারাগুয়ে।
১৯৭৪ - হন্ডুরাসে জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যায় ৮০০০-এরও বেশি লোকের মৃত্যু।
১৯৭৬ - জাতিসংঘে যোগ দেয় সেশেল।
১৯৮০ - ইরাকের সাবেক বাথ সরকার ইরানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আগ্রাসন মুলক যুদ্ধ শুরু করেছিলো।
১৯৮১ - যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পায় বেলিজ।
১৯৮৪ - ব্রুনাই জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৯১ - সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা পায় আর্মেনিয়া।
২০১৩ - আল-শাবাব জঙ্গিরা নাইরোবির ওয়েসগেট শপিং মলে হামলা করে। এতে ৬২ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয় এবং ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়।
১৯৭০ - সোভিয়েত কেট লুনা-১৭- এর চন্দ্রে অবতরণ।
২০২২ - কলকাতায় আলিপুর মিউজিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
আরও পড়ুন: মোতাহের হোসেন চৌধুরী’র প্রয়াণ
জন্মদিন:
১৮৪২ - দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ, উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩৪ তম সুলতান।
১৮৬৬ - এইচ জি ওয়েল্স, ইংরেজ ঔপন্যাসিক। (মৃ.১৩/০৮/১৯৪৬)
১৮৭৫ - কুসুমকুমারী দাশ, খ্যাতনামা বাঙালি মহিলা কবি। (মৃ.১৯৪৮)
১৮৯১ - ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি লেখক, গবেষক ও সম্পাদক। (মৃ.১৯৫২)
১৮৯৮ - তুষারকান্তি ঘোষ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি সাংবাদিক। (মৃ.১৯৯৪)
১৯০১ - লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
১৯০৯ - ঘানার জাতীয়তাবাদী নেতা কোয়ামে নক্রুমার।
১৯১৯ - ফজলুর রহমান মালিক, ইসলামের অন্যতম পরিচিত বিদ্বান ব্যক্তি।
১৯২৬ - পাকিস্তানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নূরজাহান।
১৯৪৭ - স্টিফেন কিং, মার্কিন লেখক।
১৯৫৪ - শিনযো আবে, জাপানী সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
১৯৫৭ - অস্ট্রেলিয়ার ২৬ তম প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড।
আরও পড়ুন: বিনয় মজুমদারের জন্ম
মৃত্যুবার্ষিকী:
খ্রিস্টপূর্ব ১৯ - পুবলিয়ুস ভেরগিলিয়ুস মারো, প্রাচীন রোমান কবি।
১৮৩২ - ওয়াল্টার স্কট, স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা এবং কবি। (জ.১৫/০৮/১৭৭১)
১৮৬০ - জার্মান দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ার।
১৯৩৩ - ইংরেজ লেখিকা ও ভারত হিতৈষী এ্যানি বেসান্ট।
১৯৪৪ - গোপাল সেন, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
দিবস:
স্বাধীনতা দিবস - মাল্টা ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
স্বাধীনতা দিবস - বেলিজ ১৯৮১ সালে যুক্তরাজ্যের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
স্বাধীনতা দিবস - আর্মেনিয়া ১৯৯১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস।
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বা বিশ্ব শান্তি দিবস হলো জাতিসংঘ-ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস, যা প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত দিবসটির উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন; এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলসমূহে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
দিবসটি ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম উদ্যাপিত হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক দলের সদস্য এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে থাকেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস
প্রতিবছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে “শান্তির ঘণ্টা” বাজানোর মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্যাপনের সূচনা হয়। বিশ্বব্যাপী (আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়া) শিশুদের থেকে সংগৃহীত ধাতব মুদ্রা গলিয়ে নির্মিত এই ঘণ্টা জাপানের কার্যরত জাতিসংঘের সংগঠনসমূহ ১৯৫৪ সালে নিউ ইয়র্কের সদর দপ্তরে উপহার হিসেবে প্রদান করে।
এই ঘণ্টা স্মরণ করিয়ে দেয়: “যুদ্ধের পরিণাম মানুষের মৃত্যু”। এছাড়া ঘণ্টাটির পার্শ্ববর্তী সড়কে ইংরেজিতে “স্থিতিশীল বৈশ্বিক শান্তি দীর্ঘজীবী হোক” বাণী খোদাই করা রয়েছে। সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের অনুষ্ঠানসমূহের জন্য জাতিসংঘ একটি অনুসন্ধানযোগ্য মানচিত্র প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব আলৎসহাইমার রোগ দিবস।
সান নিউজ/এনজে