নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ চালু
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর), ২৮ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৬ সফর ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী:
৭১১ - তারেক বিন যিয়াদ তার বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে স্পেনে প্রবেশ করে।
১০৯৬ -পিটার দি হারমিটের অধীনস্থ একদল ক্রুসেডার বুলগেরীয়ার সোফিয়ায় পৌঁছায়।
১১০৯ -ক্রুসেডাররা ত্রিপোলি নগরী দখল করে।
১১২৫ -ডিউক লোথারিয়াস জার্মানির রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১২৩৩ -ক্রুসেডার নৌ-সেনারা মিশরের ঐতিহাসিক আলেক্সান্দার বন্দরটি অবরোধ করে।
১২৫০ -ক্রসেড যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে ঐতিহাসিক মানসুরিয়ে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
১৪৪২ -আলফনসো নেপলসের রাজা হন।
১৫০১ - মাইকেল এঞ্জেলো বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন।
১৫৪৩ - ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরি ষষ্ঠবারের মতো বিয়ে করেন।
১৫৭৬ -হোসেন কুলি খান বাংলার শাসক নিযুক্ত হন।
১৫৮০ -স্লাভিক ভাষায় বাইবেল প্রকাশিত হয়।
১৬০৯ -অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী। স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক (Muh-he-kun-ne-tuk) নামে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস
১৬৭৪ -শিবাজি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেন।
১৬৮৩ -অষ্ট্রিয়া ও পোল্যান্ডের সেনাদের সাথে ওসমানীয় বাহিনীর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৭০০ -গ্রিনল্যান্ড গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।
১৭৮০ -বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়।
১৭৮৮ -নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৭৮৯ -মার্কিন সরকার নিউ ইয়র্ক ব্যাংক থেকে প্রথম ঋণ নেয়।
১৮২৩ -ভারতে তৈরি প্রথম বাষ্পীয় জাহাজ ‘ডায়না’ আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে।
১৮৪৭ -আমেরিকা-মেক্সিকো যুদ্ধে মেক্সিকো দখল করে আমেরিকা।
১৮৪৮ -সুইজারল্যান্ড ফেডারেল স্টেটে পরিণত হয়।
১৮৭৮ -ব্রিটিশ সেনারা সাইপ্রাস দখল করে।
১৮৯৮ -প্যারিসের ২০ হাজার রাজমিস্ত্রি ধর্মঘট করে।
১৯০৫ -নরওয়ের স্বাধীনতার শর্তাবলী ঘোষিত হয়।
১৯১২ -যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
১৯১৫ -ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে গদর পার্টির ২৪ জন কর্মীর ফাঁসি হয়।
১৯১৯ -অ্যাডলফ হিটলার জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দেন।
১৯২০ -কাজী নজরুল ইসলাম ও মোজাফ্ফর আহমদের সম্পাদনায় দৈনিক ‘নবযুগ’ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯২২ - লিবিয়ার আজিজিয়ায় পৃথিবীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয় ১৩৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
১৯২৪ - চীনে গৃহযুদ্ধ বাঁধে।
১৯৪০ - বাকিংহাম প্যালেসে বোমাবর্ষণ করে জার্মানি।
১৯৪১ - মস্কোতে ইঙ্গ-রুশ চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৪১ - মস্কোতে প্রথমবারের মতো জার্মান বাহিনী বোমা বর্ষণ করে।
১৯৪৩ - জার্মানি মুসোলিনিকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে।
১৯৪৩ - জেনারেল চিয়াং কাইশেক চীনা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হন।
১৯৪৪ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৪৮ - ভারতের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল স্বাধীন হায়দ্রাবাদ রাজ্যকে ভারতের সাথে যুক্ত করতে হায়দ্রাবাদে সেনাবাহিনীকে প্রবেশের অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৯৫৯ - সোভিয়েত মহাকাশযান লুনিক-২ চাঁদে অবতরণ করে।
১৯৬১ - পরমাণু পরীক্ষা বিরোধী বার্ট্রান্ড রাসেল ও আর্নল্ড ওয়েস্কার গ্রেফতার হন।
১৯৭৪ - সামরিক অভুত্থানে ইথিওপিয়ার সম্রাট হাইলে সেলাসি ক্ষমতাচ্যুত হন।
১৯৭৫ - ব্রিটেনে নগ্ন দৌড়ের ঘটনা দেখা দেয়।
১৯৭৫ - ব্রিটিশ কমনওয়েলডের রাগবির ফাইনাল খেলা চলছিল।
১৯৮০ - তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান হয়।
১৯৯০ - মস্কোয় দুই জার্মানির একত্রীকরণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯১ - হংকংয়ের ছিডে বিমানবন্দরে হংকংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টাকা ছিনতাই ঘটনা ঘটে।
১৯৯৩ - যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে ইসরাইল ও পিএলও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সীমিত স্বায়ত্বশাসন সংক্রান্ত ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৩ - জাপানের উত্তরাঞ্চলের ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১৯৬ জন মারা যান।
১৯৯৫ - শ্রীলঙ্কায় এক বিমান দুর্ঘটনায় ৭৫ জন নিহত হন।
১৯৯৮ - বুরকিনো যশো স্থলমাইন নিষিদ্ধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
১৯৯৮ - ফ্রান্সের প্যারিসে ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়, সেই খেলায় ফ্রান্স ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। ম্যাচটি সারা বিশ্বে ১.৭ বিলিয়ন লোক প্রত্যক্ষ করে।
১৯৯৯ - শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকায় আগমন।
২০০০ - তুরস্কে ভূমিকম্পে ১০৮ জনের মৃত্যু।
২০০১ - পূর্ব তিমুরে পার্লামেন্ট সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এটাই প্রথম পার্লামেন্ট।
২০০২ - চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে ৮ ছাত্রলীগ নেতা নিহত।
২০০৩ - যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ভুল করে আট ইরাকি পুলিশকে হত্যা করে।
২০০৮ - দিল্লীতে এক সিরিজ বোমা হামলায় ৩০ নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী’র জন্ম
জন্মদিন:
৭৮৬ - আব্বাসীয় খলিফা আল মামুন ইবনে হারুন।
১০৮৭ - বাইজেনটাইন সম্রাট জন দ্বিতীয় কমনেনাস।
১৬৯৪ - কোরিয়ার শাসক ইয়ংজো জোসেওন।
১৮৬৫ - আফ্রো-আমেরিকান বিজ্ঞানী জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার।
১৮৮৬ - রবার্ট রবিনসন, নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ।
১৮৮৭ - রসায়নে নোবেলজয়ী [১৯৩৯] সুইস বিজ্ঞানী পিওপোল্ড রুৎসিকা।
১৮৯৪ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জনপ্রিয় বাঙালী কথাসাহিত্যিক। (মৃ.০১/১১/১৯৫০)
১৮৯৭ - এরিন জুলিও কুরি, প্রখ্যাত ফরাসী রসায়ন ও পদার্থবিদ।
১৯১৩ - উইলিস ইউগেন ল্যাম্ব, নোবেলজয়ী মার্কিন পদার্থবিদ।
১৯১৩ - জেসি ওয়েন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৌড়বিদ।
১৯১৬ - ওয়েল্সীয় সাহিত্যিক রুয়াল দাল।
১৯২৩ - অরুণাচল বসু একজন বাঙালি কবি এবং অনুবাদক। (মৃ.২৪/০৭/১৯৭৫)
১৯৩১ - নিমাইসাধন বসু, বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ। (মৃ.১৭/০৮/২০০৪) [১]
১৯৩৭ - লিওনেল জস্প্যাঁ, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৩ - ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো।
১৯৭৭ - নাথান ব্রাকেন, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার।
১৯৮৯ - জার্মান ফুটবলার থমাস মুলার।
আরও পড়ুন: শাইখ সিরাজ’র জন্ম
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৫৯৮ - স্পেনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ।
১৮৭২ - জার্মান বস্তুবাদী দার্শনিক ল্যুদভিক ফয়েরবাখ।
১৯০২ - ইতালির সন্ত জোহানেস গোয়ালবার্তাস।
১৯৮১ - ইউজিনিও মন্তাল, নোবেলজয়ী ইতালিয় কবি ও গল্পকার।
১৯৯১ - ইরানের বিশিষ্ট মনীষী আল্লামা সাইয়্যেদ তাহের সাইয়্যেদযাদেহ হাশেমী।
১৯৯২ - অ্যান্থনি পারকিন্স, মার্কিন অভিনেতা। (জ. ১৯৩২)
২০০৯ - শাহ আবদুল করিম, বাংলাদেশি বাউল গানের শিল্পী। (জ. ১৯১৬)
কিংবদন্তি বাউল শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস আজ। প্রতি বছর এই দিনে তাঁর স্মরণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা আয়োজন হয়ে আসছে। বাউল গানের সাধক-অনুরাগীরা তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি নিয়ে বন্দনা করে চলেছেন।
১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে জন্ম শাহ আবদুল করিমের। বাবা ইব্রাহীম আলী ও মা নাইওরজানের দরিদ্র পরিবারের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাঁর বেড়ে ওঠা। শৈশবে একতারা হয়ে উঠেছিল করিমের নিত্যসঙ্গী।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাউল ও আধ্যাত্মিক গানে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে তালিম নিতে ছুটে গিয়েছিলেন কমর উদ্দিন, সাধক রশিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহীমের মতো বাউল সাধকের কাছে। সাধনার মধ্য দিয়ে নিজেকে তাদের যোগ্য শিষ্য হিসেবে প্রমাণ করেন। শাহ আবদুল করিম সংগীতের প্রতি এতটাই অনুরাগী ছিলেন যে এর বাইরে তিনি অন্য কোনো পেশা বেছে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন না।
গান বাঁধা, গান গাওয়া আর কৃষিশ্রমের মধ্য দিয়ে পুরো জীবন পার করেছেন। ১ হাজার ৬০০-এর বেশি গান লেখা ও সুর করার মধ্য দিয়ে তিনি কড়া নেড়ে গেছেন অগণিত সংগীতপ্রেমীর মনে।
তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’, ‘বসন্ত বাতাসে’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘কেমনে ভুলিব আমি’সহ অসংখ্য গান আজও শ্রোতাদের মনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে। সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।
২০১৪ - প্রণোদিত প্রজননের জনক ড.হীরালাল চৌধুরী,প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী।(জ.২১/১১/১৯২১)
আরও পড়ুন: বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ’র প্রয়াণ
দিবস:
ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে ৷ (সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় শনিবারে পালিত হয়)
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস ৷
সান নিউজ/এইচএন